শর্তাবলীঃ
১। যেতে হবে বাই রোডে।
২। নাক সিটকানো যাদের স্বভাব, তারা দূরে থাকুন।
৩। সাথে একটি স্মার্ট ফোন নিয়ে যান।
৪।। ২ বা তার বেশি মানুষের জন্য এই খরচ প্রযোজ্য হবে। একজন হলে হোটেল ভাড়া বেশি পরবে।
৫। বাস, ট্রেন বা হোটেল সব নন এসি। এসি তে খরচ বেশি।
৬। যেহেতু কম খরচে ভ্রমন তাই একটু ঝামেলা হবে, মেনে নেয়ার মানসিগতা থাকা চাই।
এই ট্যুরে যা যা দেখবঃ
১। ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম
২। ফোরট উইলিয়াম,
৩। হাওড়া ব্রীজ
৪। হাওড়া স্টেশন, (এই স্টেশনে ২৭ টা প্লাটফর্ম)
৫। মেট্রো রেল স্টেশন দেখা ও রেলে চড়া।
৬। দীঘা সাগর সৈকত (নতুন ও পুরাতন ২ টাই।)
৭। দীঘা স্টেশন।
৮। হুগলী ব্রীজ (বিদ্যা সাগর সেতু)
৯। ইন্ডিয়ান রেল মিউজিয়াম
১০। জেমস প্রিন্সেট
১১। রেসকোর্স,
১২। ময়দান।
১৩। ইডেন গার্ডেন পার্ক
১৪। ইডেন গার্ডেন স্টেডিয়াম।
১৫। নিউ মার্কেট
১৬। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল
১৭। বনগাঁ স্টেশন
১৮। দমদম স্টেশন।
বিঃদ্রঃ রেল স্টেশন গুলো আসলে আপনার আসা যাওয়ার মধ্যেই পরবে। আপনি একটু ঘুরে দেখবেন আর ছবি তুলবেন।
সাথে যা রাখবেনঃ
১। অবশ্যই পাসপোর্ট
২। পাসপোর্টের ফটোকপি।
৩ ভিসার ফটোকপি।
৪। ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
৫। চাকুরী করলে এনওসি এর কপি রাখুন। (না হলে ২০০ টাকা গচ্ছা দিতে প্রস্তুত থাকুন যা হিসেবের বাইরে)
৬। গামছা।
৭। স্মার্ট ফোন বা (সম্ভব হলে কলকাতার একটা ম্যাপ)
৮। তেল ক্রিম লোশন যে যা মাখেন সাথে নিন।
৯।। ক্যামেরা (ঘুরবেন ছবি তুলবেন না তা কি হয়?)
কিভাবে কি করবেনঃ
ঢাকা থেকে বেনাপোলের টিকেট কাটুন। এমন ভাবে কাটুন যেন সকাল ৬ টার আগে বেনাপোল নামতে পারেন। ভাড়া ৫০০ টাকার মত। আমি মাদারীপুর থেকে গিয়েছিলাম তাই ঢাকা থেকে ভাড়া জানিনা।
তবে শ্যামলী এসি বাসে ঢাকা থেকে কলকাতার ভাড়া ১৭০০ টাকা। এটার সুবিধা এক বাসেই কলকাতা নামা যাবে। মাঝে নামতে হবে ইমিগ্রেশন এর জন্য। পার হয়ে আবার ওই বাসে উঠে যাওয়া যায়। যেহেতু আমরা কম খরচে যাব, তাই এই প্রক্রিয়া বাদ।
সকাল ৬ টার সময় ভ্যান বা অটো রিকশা করে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন অফিসে যান, ভাড়া জন প্রতি ১০ টাকা। সেখানে ফর্ম নিয়ে দারান অনেকেই আছে, তাদের ১০ টাকা দিলে তারা ফর্ম পূরণ করে দিবে। লাইনে দাঁড়ান। ৬.৩০ এর সময় এটা খোলে। যদি আপনি দালাল না ধরতে চান, তাহলে একাই ভিতরে ট্র্যাভেল ট্যাক্স জমা দিন। জন প্রতি ৫০০ টাকা। ২টা ডকুমেন্ট দিবে। সাথে রাখুন। ভেতরে একটা কাগজ রেখে আরেকটায় সিল মেরে ফেরত দিবে।
আরেক্তু সামনে গেলে আপনার পাসপোর্ট ও ভিসা চেক করে ওই তারিখের একটা সিল দিবে যে আপনি বাংলাদেশ ছেরে যাচ্ছেন। (আমি ফর্ম পুরনের পরে এক পুলিশের সাহায্যে এটুকু করেছিলাম সবার আগে, আমরা ২ জন তাকে ১৫০ টাকা দিয়েছিলাম, তিনি ট্রাভেল ট্যাক্স ২ জনের জমা দিয়ে পাসপোর্টে সীল এনে দিয়েছিলেন। আমাকে শুধু ট্রাভেল ট্যাক্সের কাগজে সীল নিতে হয়েছিল আরেকটা কপি জমা দিতে হয়েছিল।)
ব্যাস বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ। অপেক্ষা করুন। ইন্ডিয়া তে ৬.৩০ বাযে বাংলাদেশের ৭টায়। ওপাশ থেকে খুলে দিলে একে একে এগিয়ে যান। যাওয়ার সময় বাংলাদেশি ২ জন পুলিশ বসে বসে আপনার ভিসা ও সীল চেক করে তারপর ছারবে। আপনি ছাত্র বা ব্যাবসায়ী হলে ছেরে দিবে, কিন্তু চাকুরী করলে এনওসি চাইবে। না দিতে পারলে ৫০০ টাকা চাইবে, মুলা মুলি করলে ২০০ টাকায় হবে।
এবার ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশনের দিকে এগিয়ে যান।
(চলবে)
২য় পর্ব।
৩য় পর্বের লিংক।
চতুর্থ পর্বের লিংক।
৫ম ও শেষ পর্বের লিংক।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৪