সৌদি আরবের সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের প্রধান বিচারপতি সালেহ আল লুহাইদান এক রেডিও অনুষ্ঠানে ফতোয়া দিলেন যেহেতু টিভি চ্যানেলগুলোতে অনৈতিক অনুষ্ঠান দেখানো হয় তাই তাদের মালিকদের মেরে ফেলা জায়েজ আছে। ৭৯ বছরের এই বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ যিনি সৌদি আরবের বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠত তার মুখ থেকেই যখন এরকম হুমকি বেরিয়ে আসে তখন অশিক্ষিত মৌলবাদীরা কি করবে তা আল্লাহই মালুম। তিনি অবশ্য রেডিও অনুষ্ঠানের ব্যাপারে কিছু বলেন নি। নিজে রেডিও অনুষ্ঠানে ছিলেন বলেই কি?
এইখানেই শেষ নয়, সৌদি আরবের আরেক বিশিষ্ট আলেম শেখ মুহাম্মদ আল হাবাদান নতুন এক ফতোয়া দিয়েছেন। কালো নেকাব পরা মেয়েরা যেহেতু চোখে মেকাপ লাগায় তা অনেক পুরুষকে উত্তেজিত করে কুপথে নিয়ে যেতে পারে। তাই তিনি হুকুম দিয়েছেন এখন থেকে মহিলাদের নেকাবের পাশাপাশি এক চোখ ঢাকা থাকবে।
অবশ্য উনি বলেন নি যে কোন চোখ ঢাকা থাকবে, ডান না বাম। এতে একটি সমস্যা দেখা দেবে। কেউ চোখের পাতা ফেললে যেহেতু অপর চোখটি দেখা যাবে না তাই অনেকে মনে করতে পারে যে সে চোখের বিশেষ ভঙ্গী করে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। সেটি আরও কেলেন্কারীর জন্ম দিতে পারে। তাই মনে হয় পরবর্তী ফতোয়া আসবে যে মেয়েরা দুটি চোখই আবৃত থাকবে, কারন কোনক্রমেই মেয়েদের জন্যে পুরুষদের উত্তেজিত হতে দেয়া চলবে না।
বাহরাইনের ব্লগার এস্রা শেখের ফতোয়ার জবাব দিয়েছে :
"আলেমদের এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আমার একটি প্রস্তাব আছে। আপনারা যদি মহিলাদের চোখ দেখে উত্তেজিত হয়ে পরেন তাহলে আপনারা আপনাদের চোখ দুটি উপড়ে ফেলুন, তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। মেয়েরা আপনাদের বিকৃত মানসিকতার জন্যে আর কত মূল্য দেবে?"
প্যালেস্টাইনি ব্লগার হাইতাম সাব্বাহ এক চোখ খোলা বোরখায় মহিলাদের কেমন দেখা যাবে তা চিত্রে প্রকাশ করে বোঝার চেষ্টা করছেন শেখ মুহাম্মদ কি বোঝাতে চাইছেন।
সৌদি আরব একটি পরিপূর্ণ ইসলামী শাষনভিত্তিক দেশ। সে দেশে এরকম নাটক সার্কাস হচ্ছে। অথচ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে না।
বাংলাদেশে এখন ফতোয়া নিষিদ্ধ করা আছে যদিও অনেকে জানেনা বা মানে না। এখন আপনারাই বলেন আমাদের দেশে কি পরিপূর্ণ ইসলামী শাষনভিত্তিক প্রথা এরপরও লোকজন চাইবে?