somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্যামেরা দিয়া ফটু তোলা রে ফটোগ্রাফী বলে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমে যেইটা করতে হইবো তা হইলো একখান ক্যামেরা কিনতে হইবো। কি ক্যামেরা কিনবা তা তোমার ওপরে । সব ক্যামেরাতে সব কিছু পাইবা না।
শেখ মুজিব বলেছেন "তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়া ঝাপাইয়া পড়। "
আমিও কই যার যেইটা আছে (যে যেইটা কিনতে পারে) তাই নিয়া ঝাপাইয়া পড়।
যতটুকুন জান তাতেই চলবো।
১) ক্যামেরা খান কিইন্যা বা যেইটা আছে ঐটা অন করো
২) ক্যামেরা যেই ভাবে আছে তাই দিয়া ধুমাইয়া ছবি তুলা শুরু করো।
ধানখেত থাইক্যা গম খেত, আম গাছ হইতে নারিকেল গাছ, বিলাইকুত্তা থাইক্যা বাঘ ভাল্লুক , বাসার পিচ্চি থাইক্যা দাদা-দাদী সামনে যা পাও তার ছবিই তুলতে থাকো ।
তুলতেই থাক তুলতেই থকো .............
কি ভুল হইছে .... পরে দেখবা। :)
*******
যারা যারা ধুমাইয়া ছবি তুলতে ছিলা - এইবার একটু ক্ষান্ত দেও ....বহুত ফটো তুলছো-তুলা ছবি গুলার দিকে একবার তাকাও। ছবিগুলি কি তোমার পছন্দ হইছে ? ;)
আসো এইবার কই ক্যামেরা কেমনে ধরতে হয় ?











বুঝতে পারছো বৎসগন ? বুদ্ধিমানদের জন্য এইটাই যথেষ্ট ;)
আর একটা কতা কইয়া দেই ..... সেইটা হইলো রুল অফ থার্ড ..... যেই ছবি তুলবা তাতে অনুভুমিক এবং লম্বিক বরাবর তিনভাগে ভাগ করতে হইবো অনুভুমিক এবং লম্বিক লাইনগুলা যে জায়গায় ছেদ করছে ছবির সাবজেক্ট বা মূল বিষয়কে তার আসে পাশে রাইখ্যা ছবি তুললে ছবি সুন্দর হয়। সব সময় রুল অফ থার্ড মানতে হইবো তেমন কথা নাই তবে বেশীরভাগ ছবি এইভাবে তুললে ভাল হয়।
নীচের ছবি গুলা দেখ ...



কোন কোন ক্ষেত্রে সাবজেক্টকে ডায়েগোনালি সেটিং করলে ছবি সুন্দর হয় ও ছোট ফ্রেমে বড় সাবজেক্ট কভার করা যায়।


ক্যামেরাটা ঠিক মতো ধইরা আবার ফটো তুলা শুরু করো ........
******
একটু থাম । কয়ডা কথা শুন বৎসগন।


আগের পর্ব
এক নম্বর কথা হইতেছে যে ছবি তুলনের কোন নিদৃষ্ট নিয়ম নাই। তবে, মনি ঋষিগন নির্দেশনামূলক কিছু জিনিস বইল্যা গেছে। মানলে মানতে পারো না মানলে নাই। ছবি তুলা বন্ধ কইরো না।
সর্বজন গ্রহনযোগ্য অনেক নির্দেশনা আছে কিভাবে একটি ভাল ছবি তুলা যাইতে পারে।
কিছু কিছু জিনিষের সমন্বয় ঘটাইতে পারলে আসলেই ছবি ভাল হয়।
ক্যামেরায় ক্লিক করলে ছবি উঠবো। ক্যামেরার সামনে যা আছে সেটাই তারে কি ভাল ফটো বলা যাইবো? শিল্পী অনেক ভেবেচিন্তে ছবির মধ্যে যা বক্তব্য সেটা ফুটিয়ে তোলে। ফটোগ্রাফার হিসেবে বৎস সেটাই তোমার দায়িত্ব।
কাজেই ছবি উঠানোর আগে একবার নিজেকে প্রশ্ন কর, হে মহান ফটোগ্রফার আপনি কিসের ছবি উঠাইতে যাইতেছেন ? এর বক্তব্য কি ? ব্যক্তির ছবি উঠালে তার পোষাক, পরিবেশ, আলো এগুলা মানানসই আছে কি ? অন্য কোন পরিবর্তন কি আনয়ন যোগ্য? এর পর ক্লিক মারেন।
কি শিখলাম ? - ছবিরও বক্তব্য আছে :) এবং সেটা তোমার দ্বায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে ।
আসো আরও কিছু জিনিসের প্রতি নজর দেই।
যে ছবিটা তুলতে যাইতেছো সেটার মূল বিষয়/সাবজেক্ট রুল অব থার্ড অনুযায়ী বসাও যদি দেখ যে বিস্তর খালি জায়গা, তাতে মূল সাবজেক্ট থেক কম গুরুত্বের কোন বিষয় তুলে ধরা যাইতে পারে যাতে একটা সমতার ভাব আসে। নীচের ছবিটা দেখঃ

সবাই যে জায়গা থেকে সাবজেক্টরে দেখে সেইভাবে না দেখে ভিন্ন একটা জায়গা খুজে বের করো যেখান থেকে দেখলে সাবজেক্ট/ বিষয়টাকে চেনা যায় কিন্তু নতুন মনে হয়।
আসো নিচে একখান তাজমহলের ছবি দেখি

ধরো, একটি সুন্দর ফুলের ছবি উঠাইতে চাও। অনেকগুলার মধ্যে একটি ফুল গুরুত্বপুর্ন। ছবি সবাইরে দেখানোর পর লক্ষ্য করলা তারা সেই বিশেষ ফুলটি কেউ লক্ষ্য করছে না। কারন, ছবি উঠানো হয় নাই সেইভাবে। ছবি কাছে থেকে ছবি উঠান দরকার ছিল এমনভাবে যেখানে সেই ফুলটিই ছবির অধিকাংশ যায়গা জুড়ে থাকে। অন্য ফুলগুলির কাজ হইলো এই বিশেষ ফুলের সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলা। আবার যদি বিশেষ কোন বস্তু হয় তাহলেও একই নিয়মে ছবি উঠাও। ছবি উঠানোর জন্য যতটা সম্ভব কাছে যাও। কাছ থাইক্যা দেখার মজাই আলাদা। :)
মোদ্দা কথা হইতেছে তোমার কাছে যা গুরুত্বপূর্ণ তা যেন তোমার পুরা ছবির অধিকাংশ জায়গা দখল করে । জুম কইরাও কাছে যাওয়া যায়।

*****

যে ছবি তুলতে চাও তার মধ্যে যদি রেখাকৃতি কোন বিষয় বা সাবজেক্ট থাকে তাইলে তা সতর্কতার সহিত ছবিতে স্থাপন করো। সাটার টেপার আগে ভাবো কিভাবে বসাইলে সুন্দর হইবো কারণ রেখা একটা শক্তিশানী উপাদান যেকোন ছবির ক্ষেত্রে । এই রেখা তোমাকে সর্বপ্রথম আকর্ষন করবে এবং এর প্রারম্ভিক ও অন্তিম বিন্দু ছবির গুরুত্ব বাড়িয়ে দিবে। মনে রাখা প্রয়োজন আনুভুমিক রেখা আনুভুমিক রাখার চেষ্টা করা বাঞ্চনীয়। অনেক ধরনের রেখাকৃতি বিষয় পাওয়া যায়
বক্রাকৃতি

সরল /সমান্তরাল

আনুভুমিক

লম্বিক

কোন কোন সময় রেখাকৃতি বিষয় কে আড়াআড়ি স্হাপনে ছবির অন্যান্য বিষয় গোচরে আনা সহজ হয় বা অনেক জায়গার ছবির মধ্যে আনা যায়।

*****
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:০৩
১৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সুগন্ধে ভাসচ্ছে প্রাণ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ০৭ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯


আজ আকাশে মুক্ত বাতাসের ঘ্রাণ-
রক্ত মাটিতে- ফুটেছে লাল গোলাপ!
হাতে হাতে উড়ছে লাল সবুজের পতাকা;
তুমি মা, ফিরছো বলে- আনন্দে বয়ছে-
চির সবুজে, জনসমুদ্রে,শ্লোগানে বাংলাদেশ;
তুমি সাদা, নীল মেঘ- তুমিই চিরঞ্জীব!
তোমার আদর্শেই ঘুরছে দামাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুম্মাবার

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ০৭ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৪০

জুম্মাবার
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

প্রতি শুক্রবার ইমাম এর নেতৃত্ব
মেনে নিয়ে আমরা মুসলিমরা
হই একত্রিত, হই সম্মিলিত
ভুলে যাই সবাই হৃদয় ক্ষত!
খুতবা শুনি আমরা একাগ্রচিত্তে
চলে আসি সকলে একই বৃত্তে।
কানায় কানায় পরিপূর্ণ প্রতিটি মসজিদ
ঐক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসলে "ওরফে গফুর" এর উদ্দেশ্য কি....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭

আসলে "ওরফে গফুর" এর উদ্দেশ্য কি....


'ওরফে গফুর' এর লেখা আমি বহুবছর থেকেই পড়ি। ওনার লেখা পড়ে ওনার মতবাদ, আদর্শে আমি বিভ্রান্ত হয়েছি বারবার। কারণ, কোন এক পত্রিকায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষেরা একজোট হতে চাই

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ০৭ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫১



ভারত - পাকিস্তান যুদ্ধ বন্ধে কি করতে পারি আমরা? একজন নীতিবান, যুদ্ধবিরোধী ও মানবতাবাদী মানুষ হিসেবে একক এবং সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে আমরা অনেক কিছু করতে পারি। চলুন নিচে দেখা যাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

অপারেশন সিদুঁর বনাম অপারেশন নারায়ে তাকবীরের নেপথ্যে !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৭ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:২৮


বলতে না বলতেই যুদ্ধটা শুরু হয়ে গেল। না, যুদ্ধ না বলাই ভালো—রাষ্ট্রীয় অভিনয় বলা ভালো। ভারত ও পাকিস্তান আবার সীমান্তে একে অপরকে চেঁচিয়ে বলছে, "তুই গো-মূত্রখোর ", "তোর দেশ জঙ্গি"।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×