সকালে ঘুম চউক্ষে এসএমএসটা দেখলাম- বড়ভাই, ৭২ ঘণ্টা লিখুম না। দ্যাখি ক্যাডায় কি লিখে।"Ó দ্যাখা যায়, তাতে কুনু সমস্যা দেখি না। রাগু, ছাগু একাই একশ। এহামিদাপু আর আশরাফ রামছাগল আছেন। ব্লগ কারো অভাবে ভুগব না। বিনোদনো অফুরান।
অফিসে আইসা পড়লাম বাটে। বিপ্লব রহমান নতুন ব্লগার। তার প্যাশনটাই অন্যরকম। একটা কমেন্ট পাইলে তার উওজনায় আমার চেয়ার থেইকা পড়ার দশা। ওয়ালী পোস্ট দিছে, বিপ্লব কয় বস, উত্তর দিবেন না? কইলাম উত্তর দেয়ার পোস্ট না। তাছাড়া আগামী ৭২ ঘণ্টা কিছু লিখুম না। সে কয় কাহিনী কি, কইলাম কুনো কাহিনী নাই। তার অনেক প্রিয় ব্লগার কিবোর্ড বিরতি দিছে শুইন্যা সে আবেগময় পোস্ট দিছে। সংহতি জানাইছে এবং নিজে সারাদিন লগইন থাইক্যা মজা নিছে।
ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো করছি আমিও। কারণ হোসেইন যখন রাজাকার বিরোধী একটা ইস্যু তুইল্যা এই ব্লগবিরতি জোরদার করার পোস্ট দিল, আমি তিনটা নিকে তারে ১৫ রেটিং দিয়া সংহতি সংহতি কইয়া চ্যাচাইছি। এরমইধ্যে জেবতিক আরিফ জিগাইছে কি হইছে, তখনো আমি জানিনা কিছু। পরে যখন জানলাম, তখন এইটারে এমন কিছু মনে হয় নাই। আমি ৭২ ঘণ্টা লিখলাম না, পড়লাম- কারো কিছু আসে যাইতেছে না এতে। যদিও অমনিবাস নিকে দুইটা পোস্ট দিয়া বলছি হরতাল বইল্যা কিছু হয় নাই। কিন্তু সেইটা এস্টাবলিশ কইরা পক্ষে বিপক্ষে দারুণ সব পোস্ট। হামিদাপু সবাইরে খিচুড়িখোর বানাইছে। ছাগু বলে গালিবাজরা না থাকায় তার শান্তি বোধ হইতাছে- পুটকি রেস্টে আছে। ম্যাগালোম্যানিয়াক রাগু মাসীমা আরো জটিল পোস্ট ছাড়ছেন, তারমতে এই হরতালটার পরিকল্পনাটা তার হাতে থাকলে অতীব সফল একটা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার তৌফিক তার হইত। ছাগুর ভাষায় লিখলেন- অতি পোলাপাইন্যা একটা কাম হইছে। তার হাসতে হাসতে জান শেষ। তারপরো হাস্যকর এই প্রক্রিয়ায় তিনি সম্পৃক্ত হইছেন, কারণ এতে তার কারেণ্ট কোনো প্রিয় মানুষ যোগ দিছেন। যদিও এরপর তার প্রলাপ থামে নাই। ঠিকি গোটা সাতেক ছেড়ে দিছেন এবঙ যথারীতি কিস্তিতে।
জামাল ভাস্কর, শরত এবং সাদিক এই তথাকথিত হরতালের বিরোধিতা করছেন, পোস্টাইছেন। আসল কথা হইল হরতাল বইল্যা আসলে তো কিছু হয় নাই। যাক ভাস্কর-শরত তার কথা কইছেন। সাদিক আবার মুক্তিযুদ্ধের অবমূল্যায়নে ভীষণ ব্যথিত হইছেন।
রাজাকার বিরোধীতায় এই হরতাল!! ক্যামনে কইতে পারলেন আপনারা? বিশ্বাসইবা করলেন ক্যামনে!! এইখানে এমন কোন বালের রাজাকার আছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী কোনো ব্লগারের থেকে কোনো দিক থিকা আগাইয়া আছে?ইয়া? কবিতায়? প্রবন্ধে? ভালোবাসায়? খেলায়? পোস্টিংয়ে? এক আবাল আশরাফ, বিজলীর খড়ি আর আস্তচোদা যাবতীয় বালছাল যাইচ্ছা লিখতারে- ওগো লিখা পড়লাম না। ঠাস। ওরা ওগোরে রেটিঙ চুদাক। পুটকি খাউজাইয়া দিক। কই আমিতো আশরাফ বা হামিদরা ব্লগে ঢুইক্যা কিছু কইনা । কারণ ইনটেনশনাল এই সব পোস্ট। দিনকাল কিংবা সঙগ্রামে দেখেন আগে ছাপছে। ওগো তো এলেমই নাই নিজে কিছু লিখব। নিজে চিন্তা করব। আর আছে ছাগুরাম। নিজেরে অতীব চালাকচতুর ভাবে। ট্র্যাকার বসাইছে নিজের ব্লগে। সামহোয়ার এইটা পারমিট করে কীনা এই নিয়া মনে হয় একটা আলোচনা হইতারে। তাইলে আরো কঠিন স্ক্রিপ্ট ঢুকানোর হ্যাডম আমি পিয়াল রাখি।
যাউগ্গা। তিরিভুজ বিনোদন জুগাইছেন, মাহবুব মুর্শেদ আর রেজওয়ানরে আইটি মূর্খ ডাকছেন। এই সুরে আরো অনেকেই গান গায়। কিছুই করার নাই। সবচেয়ে মজার গানা গাইছেন কৌশিক সাব। হযরত মুজিবের ডাকে ডাক পারছেন। ভালোই, সেই ডাকে আর কেউ না আসুক আমি ল্যাঞ্জা নাড়তে নাড়তে আইছি। জয় বাংলার সে কি মজমা। নাকি কৌশিক?
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৭ বিকাল ৪:১৮