মুখবন্ধ
-------
সে দৌড়াচ্ছে !
একটু এদিক ওদিক পা ফেলছে তবে দৌড়াচ্ছে নিজের যত শক্তি আছে সে শক্তি দিয়ে । খুব ভাল করেই জানে থামলেই তাকেও তার বন্ধুদের মত মরতে হবে । শরীর চলছে না কিন্তু মন বলছে পা থামলেই তার নিঃশ্বাসও থেমে যাবে । ঠিক তার বন্ধুদের মতই ।
একটু আগেই তার বন্ধুদের মেরে ফেলা হয়েছে । কোন বন্দুক ব্যবহার করা হয় নি । আওয়াজ হয় নি তাই । সব কিছু যেন চোখের নিমিষেই ঘটনা ঘটলো । ধারালো ছুরি দিয়ে গলাটা চিরে দেওয়া হয়েছে কেবল । ফিনকি দিয়ে রক্ত তখনও বেরুচ্ছিলো । তার চোখের সামনেই । সে কেবল বিস্ফোরিত চোখে চেয়ে ছিল ! কিছুই করার ছিল না ।
সে আর দেখে নি । সদর দরজা আগলে তাদের একজন দাড়িয়ে ছিল । সেখান থেকে বের হওয়ার কোন উপায় ছিল না । তাই পাশের জানলা দিয়েই সে লাফিয়ে পরেছে । নিচে ডাস্টবিনের উপর পরেছে সোজাসুজি ! বেশি না, কেবল তিন তলা ছিল বলেই হয়তো সাহসটা করতে পেরে ছিল । খোলা ডাস্টবিনের উপর পরেছে বলে এখনও পা ফেলতে পারছে নয়তো সেটাও সম্ভব হত না ! পরে থাকতো পা ভেঙ্গে । তবুও তার ব্যাথা কম লাগে নি ।
আরও কিছু দুর যাওয়ার পর সে অনুভব করলো তার পা এবং মাথায় অসম্ভব ব্যাথা করছে । মাথায় হাত দিতেই আঠা আর ভেজা ভেজা কিছু একটা অনুভূত হল । বুঝতে কষ্ট হল না যে মাথা কেটে গিয়ে রক্ত বের হচ্ছে । বাঁ পা টা ফেলার সাথে সাথেও একটা ব্যাথা অনুভব করছে সে । তবে পা টা ভেঙ্গে যায় নি এটা সে নিশ্চিত । সে এসব আমলে নিলো না ! তাকে এখন দৌড়াতে হবে । পেছনে যমদূত এগিয়ে আসছে । যে কোন ভাবেই তাকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে ।
আরও কিছুদুর এভাবেই টালতে টালতে এগিয়ে গেল সে । এখনও ঠিক মত বুঝতে পারছে তারা এতো জলদি তাদের খোজ পেয়ে গেল কিভাবে । খোজ পাওয়ার তো কথা না । সব রকম সতর্কতা তারা অবলম্বন করেছিল । নিয়ম নেমেই সব কিছু করেছে তারা ঠিক যেমন টা যেভাবে করার করার কথা ছিল । তাহলে ভুলটা হল কোথায় ! তাদের মধ্যে কি কেউ বেঈমানী করছে ? তার মাথায় এরকম হাজারও চিন্তা চলে আসলো । কিন্তু এসব এখন ভাবার সময় নেই । এসব ভেবে এখন লাভও নেই । যদি এদের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে তাহলে পরে ভাবা যাবে । এখন তার প্রধান চিন্তা হচ্ছে তাদের কাছ থেকে দুরে থাকতে হবে । যদি বাঁচতে ইচ্ছে করে তাহলে তাদের হাতে ধরা পরা চলবে না । কোন ভাবেই চলবে না ।
আরও কয়েক পা এগিয়ে যেতেই ফোন বেজে উঠলো । বিশেষ নাম্বার থেকে ।
-হ্যালো ।
-কোথায় তোমরা ?
-ধরা পরে যাচ্ছি !
-কি বলছো এসব ?
-হুম ! আমাদের খবর কেউ লিক করেছে । কিভাবে করেছে আমরা জানি না কিন্তু করেছে ।
-ইভান আর নিক কোথায় ?
-ডেড !
-তুমি কোথায় ?
-খুব শীঘ্রি আমিও ওদের কাছেই যাবো ।
-বি সিরিয়াস ।
-আর কত সিরিয়াস হব ? ইয়া বড় চাকু হাতে তিন জন মানুষ আমাকে মারতে আসছে আমার দুই বন্ধুকে আমার চোখের সামনে জবাই করেছে আর তুমি বলছো বি সিরিয়াস । শালা বাঞ্চুদ তোর জন্য আজকে আমার এই অবস্থা ! তুই বলে ছিলি কোন সমস্যা হবে না । তাহলে ?
ওপাশ থেকে কোন কথা শোনা গেল না কিছুক্ষন । তারপর আওয়াজ এল
-ফাইল টা কোথায় ?
-আছে ।
-আমাকে বল ।
-কেন ? যাতে আমাকে তুমি না বাঁচাও । শুনো তুমি যদি ফাইল টা চাও তাহলে আমাকে এই সমস্যা থেকে তোমাকেই রক্ষা করতে হবে । নয়তো কোন দিন ফাইল টা তুমি পাবে না । আমি তো মরতেছি কিন্তু এইটা শিওর করে যাবো যেন সেটা তোমার হাতে না পড়ে । এখন কি করবে সেটা তোমা ব্যাপার । রাখছি ।
আর কথা বাড়ালো না সে । ফোন টা রেখে দিল । কি-প্যাডে হাত চলল দ্রুত । একটা বিশেষ নাম্বারে একটা মেসেজ পাঠালো । তারপর জোড়ে একটা আছাড় দিয়ে ফোনটা ভেঙ্গে ফেলল ।
দৌড়াতে লাগলো আবারও । কেন জানি মনে হচ্ছে তার পেছনে আর কেউ আসছে না । একটু কি দাড়ানো যায় কোথাও । মাথার ভেতর টা চক্কর দিয়ে উঠছে । কত-সময় জ্ঞান ধরে রাখতে পারবে সে সেটা জানে না । তার কেবলই মনে হচ্ছে তাকে দৌড়াতে হবে । তাকে দৌড়াতে হবে ! দুরে কোথাও তার জন্য কেউ অপেক্ষা করছে । তার কাছে যেতে হবে । তাকে যেতে হবেই । সে আরও জোড়ে দৌড়াতে লাগলো !
-------------
অধ্যায় এক
------------
রাফাত আহমেদের মাথায় কিছুই ঢুকছে না । মেজাজ খারাপ তার এই জন্য । যে কোন কিছু ব্যাপারে যদি সব কিছু জানতে না পারে তাহলে তার মেজাজ গরম হয়ে থাকে সব সময় । যে কোন কেইস তার হাতে আসার সময় থেকে একে বারে শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার মেজাজ এই জন্য বেশ খারাপ থাকে । এই জন্য তাকে যারা চিনে কিংবা যারা রাফাতের কাছের মানুষ তারা এই সময়ে তার কাছ থেকে একটু দুরুত্ব বজায় রাখে । এই সময়ে তারা রাফাতের কাছ থেকে দুরে থাকার চেষ্টা করতে । এমন কি রাফাতের সেই বিশেষ মানুষটিও তার কাছ থেকে এই সময়ে একটু দুরে থাকে । পারতপক্ষে বাধ্য না হলে ওকে ফোন করে না ।
গতকাল রাতেই ঠিক যখনই বাসায় যাবে তখনই বড় স্যার আজিজুর রাহমান তার রুমে তাকে ডেকে পাঠালো । রাফাত একটু অবাক হল এই দেখে যে এখনও তার স্যার অফিসে আছে । এতো রাত পর্যন্ত সাধারনত আইজি সাহেব অফিসে থাকে না । তাহলে আজকে কেন ?
রুমে ঢুকতেই বুঝতে পারলো যে অবস্থা কিছুটা সিরিয়াস ! কোন কিছু নিয়ে একটু চিন্তিত ।
-রাফাত ।
-জি স্যার ! আপনি এখনও এখানে ?
-হুম !
হুম বলেই আজিজুর রাহমান কিছুটা সময় চুপ করে রইলো । তারপর বলল
-শুনো আমাদের উপর থেকে একটা নির্দেশ এসেছে । খুবই দরকারী এবং গুরুত্বপূর্ণ । ব্যাপারটার সাথে অনেক কিছু জড়িয়ে আছে ।
রাফাত ঠিক বুঝতে পারলো না তাকে এরকম দরকারি ব্যাপারে বলার কি আছে । সে এখনও এমন কোন গুরুত্বপূর্ন অফিসার হয়ে ওঠে নি । হ্যা যদিও বেশ কয়েকটা কেসে তার সাফল্য অন্য যে কোন অফিসার থেকে অনেক এগিয়ে, কিন্তু সেগুলো কেবলই সাধারন কেস । এমন কি কদিন আগের দুজন বিদেশী মার্ডার কেসের একটাও তাকে দেওয়া হয় নি । অতি গুরুত্বপূর্নের অযুহাতের আরও বড় কাউকে দেওয়া হয়েছে । যদি ব্যাপার টা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে তাহলে তার মত অফিসারের সাথে এই ব্যাপারে আলোচনাই করার কথা না ।
আইজি আজিজুর রাহমান বললেন
-কাল সকালে আমাদের এখানে আমেরিকা থেকে কয়েকজন গুরুত্বপূর্ন লোক আসবে ! তারা আমেরিকাম সরকারের সব থেকে গুরুত্বপূর্ন লোকজনদের মাঝে পড়ে । তারা একজন মানুষের খোজে আসছে এখানে । আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে । উপর থেকে এই ব্যাপারে কঠিন নির্দেশনা দেওয়া আছে । আমি চাই তুমি তাদের কে হ্যান্ডেল কর ।
-আমি !!
-হ্যা তুমিই । আমি চাই এটা তুমি কর । ওদের সহযোগিতা কর । ওরা যা যা বলে সেটার ব্যবস্থা কর ।
এবার ব্যাপার টা রাফাত বুঝতে পারলো কেন তার মত নবীন একজন অফিসারকে এই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে । তাদের সহযোগিতা কর এই লাইনটার আরও একটা অর্থ হচ্ছে তারা যা যা বলে সেটা অনুযায়ী কাজ কর । পরিস্কার বাংলায় তাদের হুকুম শোনে ।
কিছু বলতে যাচ্ছিলো কিন্তু রাফাত জানে সেটা বলে লাভ নেই । মুখের কথা মুখের ভেতরে রেখেই রাফাত আইজি সাহেবের রুম থেকে বের হয়ে এল । মেজাজ টা তার তখন থেকেই গরম । তার স্যার তাকে একদল মানুষের হুকুক শোনার জন্য ঠিক করে দিয়েছে । সরকারী চাকরী করলেই এরকম সবাই কে শুনতে হয় সেটা রাফাত খুব ভাল করেই জানে তাই বলে অন্য দেশের মনুষের কাছ থেকেও হুকুম শুনতে হবে ? এটা রাফাতের মোটেই ভাল লাগে নি । সেই রাত থেকেই তার মেজাজ গরম হয়ে আছে । এখন সকালে অফিসে এসেও সেই মেজাজ খারাপ ভাব টা যায় নি । বরং আরও বাড়ছে যেন ।
একটু আগে তার কাছে খবর এসেছে সেই আমেরিকার লোকগুলো আজকে সকালেই ঢাকায় এসে পৌছিয়েছে । আমেরিকান এম্বাসিতে আছে আপাতত । তাকে ফোন করে জানানো হয়েছে তারা খুব শীঘ্রই তারা অনুসন্ধানে বের হবে । তাকে যথা সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে যেতে বলা হয়েছে । এই জন্য মেজাজটা আরও খারাপ হয়ে আছে ।
তা ছাড়াও তারা কেন এই দেশে এসেছে এই বিশষে রাফাতের কোন ধারনা নেই । সে অবশ্য জানতে চেয়েছিলো কিন্তু তাকে বলা হয়েছে সেটা তার জানার কোন দরকার নেই । তাকে যা বলা হয়েছে সে যেন কেবল সেটার দিকে নজর দেয় ।
---------
সকাল থেকে থেকে টিপি টিপ বৃষ্টি শুরু হয়েছে । গায়ে গায়ে লাগে না এমন বৃষ্টি । সামনেই শীত নামবে । সেই শীত নামার জন্যই প্রতি বছর নভেম্বরের দিকে এই দেশে এমন বৃষ্টি নামে । কিন্তু সেটা জাহেদ খানের জানার কথা নয় । সে এই দেশে থাকেও না । এই দেশের আবহাওয়া সম্পর্কে তার জানারও কথা না ।
বিরক্ত হয়েই সে এয়ারপোর্টের উত্তর গেটে দাড়িয়ে আছে । একজনের আসার কথা ছিল তাকে রিসিভ করার জন্য কিন্তু তাকে দেখা যাচ্ছে না । অবশ্য এটা খুব একটা সমস্যার কথা না । জাহেদ খান এই খানে না থাকলেও এই দেশে সে এর আগেও বেশ কয়েকবার এসেছে । শেষবার বছর দশের আগে একবার এসেছিল একটা বিশেষ কাজে । আজকে এতোদিন পর এই দেশে এসে তার সব কিছু কেবল যেন অপরিচিত মনে হচ্ছে । সেই বার অবশ্য এই দিক টা আসা হয় নি । তার আগে আসা হয়েছিল । সেবার সে এসেছিল ইন্ডিয়ান বর্ডার ক্রস করে । বেনাপল দিয়ে । অন্য নামে অন্য কাজে ! তার কাজটাও সেদিকে ছিল । ঢাকায় আসার দরকারই পরে নাই । এবার অবশ্য এতো ঝামেলার দরকার নেই । আগের বারের মত অবৈধ পথে আসে নি সে । বৈধ পাসপোর্ট নিয়েই এসেছে যদিও সেটাও জালই বলা চলে । তবে সেটা ধরা কারো সাধ্য নেই । তার উপর পাসপোর্সের উপর আমেরিকার সিলটা তাকে বারড়ি সুবিধা দিয়েছে । তৃতীয় বিশ্বের লোকজন আমেরিকার সিটিজেনদের কি মনে করে কে জানে ।
জাহেদ খান তার মোবাইল ফোন টা বের করলো তার কন্ট্যাক্টকে ফোন করার জন্য । নাম্বারটা সেভ করা আছে । ফোনে ডায়েল করতে করতে যাবেই তখনই পেছন থেকে তার নাম ধরে কেউ ডাক দিল !
ঘুরে দাড়াতেই ২৫/২৬ বছরের একজনকে দেখতে পেল তার সামনে দাড়িয়ে আছে । হাত ছাতা নিয়ে এগিয়ে এসে মাথায় ধরলো ছাতাটা !
-সরি স্যার আসতে একটু দেরি হয়ে গেল । আসলে ঢাকায় কখন যে জ্যাম লেগে যায় তার কোন ঠিক নেই স্যার । আমি আসলে বুঝতে পারি নি ।
দেরী হওয়ার পেছনের আরও সাফাই গাইতে শুরু করলো সে । বিরক্ত হয়েই জাহেদ খান বলল
-হয়েছে । আগে থেকে এসব খেয়াল থাকে না ?
-মাফ করে দেন এইবারের মত । আর হবে না !
-হয়েছে । কি নাম তোমার ?
-মারুফ !
-শুধু মারুফ ?
জিহ্বায় একটু কামড় দিল মারুফ ! তারপর বলল
-মোহাম্মাদ মারুদ শেখ !
-পুরা নাম বলবা সব জায়গায় ! নিজের নামের জন্য কখন লজ্জিত হবা না । ঠিক আছে ?
-জি স্যার !
-আর বারবার এই স্যার স্যার বলা বাদ দাও । হুজুর বলবা ! স্যার শুনতে ভাল লাগে না ! অন্তত নিজের লোকেদের কাছ থেকে তো নাই !
-জি স্যা..... জি হুজুর !
-হুম ! আমার থাকার কি ব্যাবস্থা হয়েছে ?
-দুইটাই হয়েছে । আপনি যেরকম ভাবে বলেছিলেন । হোটেলও বুক করা হয়েছে আর আমাদের সেফ-হাউজও আছেই । চাইলে আপনি আমাদের বাসায়ও থাকতে পারেন । সেখানেও সব ব্যবস্থা করা আছে ।
-আচ্ছা ! আর যেটার খোজ নিতে বলেছিলাম সেটা ?
-সেটাও চেষ্টা চলছে । ভেতরের একজনকে টাকা খাওয়ানো হয়েছে । সে বলেছে সে তথ্য বের করে দেবে ! আজকের বিকেলের ভেতরে হাতে পাওয়া যাবে ।
জাহেদ খানকে এবার একটু সন্তষ্ট মনে হল ।
মারুফ বলল
-আপনি খেয়ে বিশ্রাম করুন । জেট-লগটা কাটিয়ে নিন ! বিকেলে সব কিছু পাওয়া যাবে আশা করছি !
জাহেদ খানকে মারুফ একটা কালো সিডান গাড়ির দিকে নিয়ে ইঙ্গিত করে হাটতে লাগলো । জাহেদ খানের মাথার উপর তখনই মারুফ ছাতা ধরে রেখেছে । যডিও বৃষ্টি খুব একটা পড়ছে না । জাহেদ খান হাটতে আসে পাশে দেখতে লাগলো । তার মাথায় তখন অন্য চিন্তা । একটা বিশেষ কিছুর জন্য এবার তিনি এই দেশে এসেছেন । একজন বিশেষ মানুষের খোজে । তার একটা জিনিস তার কাছে রয়েছে । সেটা যেকোন ভাবেই উদ্ধার করতে হবে ।
চলবে.......
পরের পর্ব
গল্প থিমঃ থিম টা চিন্তা করেছি এমন যে সিআইএর মোস্ট সিক্রেট একটা ফাইল চুরি করে কয়েকজন মিলে । তাদের দুজন মারা পরে । একজন আহত অবস্থায় পালিয়ে যায় । কেউ কোন খোজ পায় না, ধারনা করা হয় যে সে আহত অবস্থায় নদীতে ঝাপ দেয় সেখানেই তার মৃত্য হয় । কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার খোজ পাওয়া যায় না আর, লাশও পাওয়া যায় না । সিআইয়ের হাতে কেবল একটা সুত্র আছে সেটা হল তার দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ এবং তার ফেলে যাওয়া ফাইল পত্র থেকে এই টুকু জানা গেছে যে যে পালানোর আগে সে কাউকে একটা মেইল করেছিল ।
সেই সুত্র ধরেই বাংলাদেশে চলে আসে সিআইএর বেশ কয়েকজন । বাংলাদেশ সরকার নিশ্চয়তা দেয় সেই সন্ত্রাসীকে ধরার জন্য সর্বোচ্চ সাহায্য দেওয়া হবে । বাংলাদেশ ইন্টেলিজেন্স এবং সিআইএ ছাড়াও আরও একজন তাকে খুজে বেড়াচ্ছে ।
আসলে কি এমন লুকিয়ে আছে সেই ফাইলে যা কোন ভাবেই আমেরিকান সরকার চায় না বাইরে আসুক ! অন্য পক্ষ্যটা কে ? কেন সে ফাইল টা চায় ? আর কিভাবেই বা ফাইল সম্পর্কে সে জানতে পারলো !
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪