গভীর রাতে টেলিফোনের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল জেলারের ! বিরক্ত হয়ে ফোন রিসিভ করে বললেন
-হ্যালো !
-স্যার !
যুদ্ধপরাধীদের রাখা প্রিজন সেলের একজন গার্ড ফোন করেছে!
জেলার সাহেব বললেন
-আবার কি হল ? একটু আগেই তো ফোন দিছিলা ?
-জি স্যার ! এই চার বার !
-কি হইছে বল !
-স্যার ! কাদের মোল্লা আপনার সাথে কথা বলতে চায় !
জেলার সাহেব বিরক্ত হলেন আরো ! এই একজনই বাকী ছিল ! বললেন
-আচ্ছা দাও !
কিছুক্ষন পর কাদের মোল্লার আওয়াজ পাওয়া গেল । জেলার সাহেব বললেন
-কি ব্যাপার ?
-স্যার আমার কমোডটা ফুল হয়ে গেছে !
জেলার সাহেব অবাক হয়ে বললেন
-এতো জলদি ! কালকেই না ছুইপার দিয়ে পরিষ্কার করানো হল !
-স্যার, আমার একটু ডাইরেক্ট লাইনের প্রব্লেম আছে ! ৭১ এ যখন মুক্তি যোদ্ধাদের হুঙ্কার শুনছিলাম সেই বারও লাইন একেবারে ডাইরেক্ট হইয়া গেছিল ! আর থামেই না ! পাকি ক্যাম্পের পাশের একটা পুকুর ভইরা গেছিলো ! তারপর এক পাকি ডাক্তার থামাইছে ! আর এখন শাহবাগের ঐ হুঙ্কার শুইনাও আমার লাইন ডাইরেক্ট হইয়া গেছে !! থামতাছে না ! কমোড তো ভরবোই !!
জেলার সাহেব বললেন
-দেখি আজকের রাতটা কাটাও কোন রকম ! কালকে ব্যবস্থা করা যাবে !
-লাভ নাই স্যার ! সকাল হইতে হইতে সব কিছু ভেসে যাবে ! শেষে এই এলাকায় বদলাতে হবে !
-কোন ভাবে আটকানো যায় না ?
-না স্যার ! শাহবাগে যতক্ষন বাঘের হুঙ্কার চলবে আমার পাতলা পায়খানাও ততক্ষন চলবে !!
-আচ্ছা দেখি ! সেন্ট্রি কে দাও !
কাদের মোল্লা সেন্ট্রি ফোন দিয়েই আবার বাধরুমের দিকে দৌড় দিল !
-শোন কাদের মোল্লা কে কমন বাধরুমের দিকে নিয়ে যাও ! ঠিক আছে ?
-কিন্তু স্যার ! আরো তো কয়জন আছে ওখানে ??
-থাকুক ! যা বলছি কর !
-আচ্ছা !
কাদের মোল্লাকে কমন বাধরুমের ভিতর ঢুকিয়ে দিয়েই সেন্ট্রি বাইরে থেকে তালা মেরে দিল ! মোটা দুইটা বাধরুম রয়েছে ! কাদের মোল্লা যখন আর একটু ভিতরে গেল দেখল গোলাম আজম পাগলের মত একবার এই দরজায় আবার পাশের টাতে ধাক্কাচ্ছে !
-গোলাম ভাই কি করেন ?
-ছাগল বুঝিস না কি করি ! একটার ভিতরে মেশিন ঢুকছে আর একটার ভিতরে নিজ্জা হালায় ঢুকছে ! আর বাইর হয়োনের নাম নাই ! আমি বুইড়া মানুষ কেমনে সামলাই !!
-কন কি ? আপনাদের কমোডও ভইরা গেছে !
কাদের মোল্লা আর কিছু বলতে পারে না ! কেবল বাধরুমের দরজার কাছে এসে পজিশন নেয় ! যে কোন মুল্যেই তার এখন ভিতরে ঢুকতেই হবে !!!