আলোর ভেতরে উড়ন্ত কৃমির আওয়াজ থামছে না। তোমার জন্ম ও যোনিকুঞ্জে জারুল ফুটেছে, অথচ বেড়ালের আর্তস্বর আজো গগণ বিদীর্ণ করা; তারা থামছে না। আরমানি আয়নায় দেখি বৃক্ষের কেশর, আর তোমার হাত-পা-আঙুলের পাশে থেঁতলে পড়া গান্ধীর শিশ্ন, ক্রন্দনরত...
তুমি তবে নারী নও
পুরুষ নও
তুমি ঈশ্বর নও
মানুষ নও
অথচ তোমার স্তনমূলে নিরন্তর ঘাই দেয় আনাকুন্ডা শাবকেরা। তুমিও প্রেমিক এক
মৃত বাঘিনীর উলান চুষে দাও, ছাতি ভ'রে দুগ্ধ পান করো; অতঃপর উদগত ক্ষুধায় আরো বেঁকে যাবে অর্জুনের তীর, হারপুন তোমার। ঝেড়ে ফেলো উদ্ধৃত পালক, ঝেড়ে ফেলো কাশি ও পুতনা বীর্য; আজ এই পূর্ণিমার রাতে বহুজন আমরা একজন হয়ে মদ ও মূত্র পান শেষে ফিরে যাবো পৃথিবীর প্রাচীন গুহায়; প্রত্নভূম আমাদের সাঁইজির মাজার।
ঘুম আসে
কৃষ্ণ সর্পের পোঁদের ভাঁজের মতো দু'চোখ বুঁজে আসে। অথচ দেখি ঘাসের স্তন বেয়ে নেমে পড়ছে দুধ সবুজ স্লেটের ওপর
নখের গুঁড়ি সাদা হয়ে আসে
কৌটার ভেতর থেকে বের হয় বহুবর্ণ আগুনের জিব।
ওহে মানুষ ও জন্তু-সন্তান আমার
মসজিদের নিতম্বের খাঁজে পুদিনার পাতা হেসে উঠছে দেখে
তোমরাও চুম্বন করো আর
চুম্বকের পাহাড়ে রেখে যাও জন্মের দাগ
আজ জন্মদিন।
আজ জন্মের ও মৃত্যুদিন তোমার আমার
বিবস্ত্র বাতাসে চলো ঘুড্ডি উড়াই
দুই হাতে শক্ত করে ধরে রাখি উরুর নাটাই...
.................. লিখেছেন কবি লাবণ্য প্রভা