'বাংলাদেশী' জাতি হিসেবে আমাগো অনেক ব্যর্থতা আছে। 'বাংলাদেশী' কইলাম এই উদ্দেশ্যে যে আমাগো পাসপুটে জাতীয়তা এইটা লেখা আছে, আর এই 'বাংলাদেশী' শব্দটা শুধু মাত্র বাংলাদেশের ভৌগলিক সীমানার মধ্যে অবস্থিত সকল নাগরিককে ডিফাইন করে। এজন্য বাঙালি না কইয়া 'বাংলাদেশী' কইলাম, এর মইধ্যে কেউ রাজনীতি টোকাইতে যাইয়েন না! ত ব্যর্থতা প্রসঙ্গে কতা কইলে লিস্ট ফুরাইব না, তয় একখান ব্যর্থতা যেইটা বেশী প্রকট আকারে দেখা দিতাছে সেইটা হইল গিয়া আমাগো স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যে খানকির পুত গুলা পাকিগো দালালি করছে.... শুধূ তাই না এইদেশের নিরীহ মানুষ গুলারে ধইরা ধইরা জবাই করছে, রেইপ করছে, সেইগুলারে বিচার না কইরা উল্টা আরও সাধারণ ক্ষমা কইরা দেওয়া। এখন এই সাধারণ ক্ষমা ঘোষনা দেওনের পিছনে আসলেই কুনু রাজনীতি ছিল কিনা, নাকি মানবতা বোধ কাজ করছে, এই মানবতাবোধ কাজ করলে এইটা কি ধরনের মানবতা ছিল এই ফেরকায় না যাইয়া যেই কথাডা কইতে চাই সেইটা হইল গিয়া এক চরম আবালীয় কাজ ছিল এইটা। কিয়ের সাধারণ ক্ষমা? যার বাপ-ভাই-চাচা মারা গেছে, মা-বোন-খালা রেইপড হয়ছে সে ত আর ক্ষমা করে নাই!
যাই হোক, দীর্ঘ ৩৭ বছর পর আবার প্রসঙ্গ উঠছে বিচার করার। খুবই ভালা কতা, ২০ বছর ধইরা তাগোরে প্রতিষ্ঠত কইরা, ক্ষমতায় যাওনের সময় সঙগে লইয়া আবার একত্রে আন্দোলন কইরা যখন মৌজ শেষ হইয়া গেছে, তারপরও বিচারের কতা কওনের লাইগ্যা ভাল কতাই কইছে!
এখন কার বিচার করব?
উঃ- যুদ্ধাপরাধীদের।
এরা কারা?
উঃ- এরা জামাতীরা।
এদের কি শাস্তি হইব?
উঃ- কতল (এরচেয়ে সহনীয় কোন পন্থা জানা নাই!)
তারপর....?
তার কোন পর নাই, সবই আপন। জামাত ত আর নিষিদ্ধ হইল না! কেমনে কি? এই দলটাই ৭১ এ..... থামেন থামেন, এই দলটা কি কি করছে? এইবার আপনে যদি লিস্টি দেয়া শুরু করেন, তখন প্রশ্ন আইতারে কুনু প্রমাণ আছে? ...মানে!
মানে ৭১ জামাত কিচূ করছে নাকি? মানে জামাত নামে কুনু সংগঠন অপরাধ করছে? (এতটুকু পইরা আমারে আবার রাজাকার কইয়েন না, পুরাটা পড়েন!) অপরাধ ত করছে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস! হইতারে এই সংগঠনের নেতৃত্বে ছিল জামাতীরা..... কিন্তু তাগো ত বিচারে কতল হইয়া গেছে (কল্পনা করেন), এখন ত জামাত নিশ্পাপ!
কুনু যুদ্ধাপরাধী নাই। এখন তাগো রাজনীতি করতে সমস্যা কি?
এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নাই। যে কেউ এইখানে উত্তরটা শেয়ার করতারেন! তয় আমি ভাবতাছি অন্য কথা। ধরেন জামাত নিষিদ্ধ হইল না, বরন্চ নিশ্পাপ হইল, এখন কি করন যায়? এইটা ত মহা সমস্যা; তয় এইটারও একখান সমাধান আছে, সেইটা হইল গিয়া ধর্মকে ভিত্তি কইরা রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। তাইলে শুধু জামাত কেন, কুনু সংগঠনই বিশেষ কইরা ইসলামী সংগঠন রাজনীতি করতে পারবে না! বাহ বাহ, মরহাবা, মরহাবা,..... কি উত্তম, কি উত্তম (আমারে না, যে এই বুদ্ধি দিছে তারে!), এইটাই হইব।
কিন্তু ভাইজানেরা, এইবার একটু মনোযোগ দিয়া ভাইবা দেখেন, যদি ইসলামী (ধর্মীয়) রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় তাইলে কি এই দেশে যত ইসলামী দল আছে হেরা কি বইয়া বইয়া আঙুল চুষব? জামাত ত উপমহাদেশে ৬৫ বছর ধইরা রাজনীতি করতাছে, হেরাও কি বইসা থাকব? ত তাইলে তারা কি করতারে?
তাইলে তারা কি করতারে? - এই প্রশ্নের উত্তর খুজনের লাইগা আমার এত প্যাঁচাল।
এখন দেখেন, ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ, কিন্তু আদর্শবাদ ত আর নিষিদ্ধ না! তারমানে আদর্শ লইয়া রাজনীতি করন যাইব। যেমন আ.লীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লইয়া লাফাইব, বি.এন.পি জিয়ারটা লইয়া ফালাইব, বাম গুলান মাকর্স, লেলিন, চে, মে (মাও) এগুলানরে লইয়া খালাইব, এখন যদি ইসলামীরা বিশেষ কইরা জামাত যদি রাসুলের আদর্শ নিয়া রাজনীতি করবার চায় তাইলে কি হেগোরা মানা করন যাইব? ধইরা লন তারা জামাত ইসলাসী নাম পালটাইয়া 'শান্তি সংঘ' নাম লইল, তখন কি করবেন? 'আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই' এইটা পালটাইয়া যদি কয়, 'রাসুলের আদর্শ ফলো করুম, সৎ লোকর দেশ গরুম'..... কিছু কইতে পারবেন? রাজাকার গুলান ত আগেই মইরা গেছে, এখন নতুন গুলান যদি এই চিন্তা করে তখন তাগের এই চিন্তা করা কি রোধ করে পারবেন?
৬৫ বছর ধইরা এরা রাজনীতি করতাছে, এত সহজে কি এরা ছাইরা দিবো?
জামাত কি এতই ভুদাই(!)......?