হরণ হয়েছি বারবার; সাদা ক্যানভাসে ফিনফিনে সুতোর আঁচড় বা তীক্ষ্ণ-সূচালো তুলিতে। দি দালি ইউনিভার্স, লিথোগ্রাফ অথবা উদ্ভিদের ছায়ায়। মূর্ত-বিমূর্ত কাননে প্রত্নবুনন, আত্মসন্ধিৎসায় গূঢ় মডার্নিজম, প্রতিটি দ্বান্দ্বিক ইম্প্রেশন অতীত থেকে আরও অতীতে নিয়ে গেছে। আদিম কম্পাসের বিশুদ্ধতম প্রতিধ্বনিতে থাকা তুখোড় শব্দটি ধাবিত করেছে অগ্রে। পরাবাস্তব নকশায় হারিয়ে যেতে যেতে, ইংমার সিকোয়েন্স টেনেছেন ঊর্মি হাওয়ার আশ্চর্য স্পন্দনে।
দুনে দো পিলাত এর রুপালি বালুতে হাঁটু মুড়ে আকাশগঙ্গা দেখার সাধ জেগেছে। ক্লান্তিবশত পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্ররা সংলাপ জুড়েছে মরমীয় চিন্তায়। অখল দৃষ্টিকোণের দুমুঠো আয়োজন ভুলে শাহাবুদ্দিনের ফিগারিটিভ চিত্রগুলো হারপুন ছুড়েছে সদ্য আবিষ্কৃত অলিন্দে। সবুজ ছাপচিত্র, বৈচিত্র্যসঞ্চারে আমারে করেছে রূপমুহুরী ঝর্ণা। মেঘমেদুর শীতলতা পাশ কাটিয়ে হাঁসফাঁস বসন্তে জোতির্বিদীয় অনুষঙ্গ; ক্রিপটন গ্রহের খোঁজে পাড়ি দিয়েছে হাজারো পৃষ্ঠা।
ক্ষ্যাপাটে চঞ্চলতা পৈত্রিক সূত্রে ফিরে আসে জীবন্ত জনমে, অমনি ফোন্টেইনব্ল ফরেস্ট ! ঝিনুকের তরী নিসর্গের মাধুরী মিশিয়ে আলোকরঞ্জিত করলো ব্যক্তিবিশ্বকে। তমিস্রার কালো জোছনা, সুগন্ধ ঘন রহস্যে নিরুপায় হলে; আমি ঘোলা জলে নারী-অবয়ব দেখি !
অর্কেস্ট্রার কড়া স্বরে মথিত আবেগ ঠিক তখনই সাক্ষাৎ পায় আ্যাবরোজিনসদের। ফ্রান্সিস ক্রিকের হাইপোথিসিস, যজ্ঞসূত্র নিরূপণে “গড হেলমেট” বিষয়ক অগ্নিপ্রপাত বইয়ে দেয়। শারীরিক যন্ত্রণা এগোতে থাকে এবং আমি সাইবেরিয়ান পাখিদের ডানায় বিরল প্রজাতির সাম্রাজ্যবাদ দেখি, লণ্ডভণ্ড এক মহাকাল দেখি।
স্যার আপনি এখানে ! একখানা অটোগ্রাফ দিন না প্লিজ ....
স্থান: প্রাদো মিউজিয়াম, মাদ্রিদ
অন্ধবিন্দু | সামহোয়্যার ইন...ব্লগ