সব কিছুকে নির্বোধের ন্যায় হা করে দেখা একটি অভ্যাসে দাড়িয়ে গেছে। এতো এতো ঘটনার পরও কখনই মনে হচ্ছে না যে এসব হওয়ার পেছনের কারণগুলো কি। দেশ যখন পুড়ে তখন একটি বিশেষ সম্প্রদায়গোষ্ঠীকে টার্গেট করা হয়। এটি দীর্ঘদিনের চাল। কিন্তু এর প্রকৃত কারণগুলো নিয়ে কেউ ভাবে না। আসলে নিজের ভাবনা যার, সে নিজেই কিছু ভাবছে না। আক্রান্ত হচ্ছে - আবার বাচার জন্য আক্রমণকারীর ঘরেই আশ্রয় খুজছে। এই যে মনের অবস্থা এটিকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবো। কে বিশ্বাস করবে দীর্ঘশ্বাসের যাতনা?
রাষ্ট্রকে কখনও নিজের করে ভাবার ফুরসতই পাচ্ছে না একটি জনগোষ্ঠী। রাষ্ট্রের দু'পক্ষ যখন মুখোমুখি হয় তখন শীলাপাথরের ঘষ্টানীতে মরিচের যে দশা হয় আজ হিন্দুসম্প্রদায়ের সেই করুণ পরিণতি। আজ আত্মসমালোচনা করতে হলে আমাদের নিজেদেরই আগে করা উচিৎ। কারা এসব দাবার চাল ব্যবহার করছে। কারা সবচে লাভবান হচ্ছে - হিন্দুদের ঘরবাড়ি মন্দিরে আগুন দিয়ে। এই সূত্রগুলো আজ হিন্দুদেরকেই খুজে বের করতে হবে এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে নির্ভয়ে দাড়াতে হবে। মৃত্যু তো এমনিতেই আসে তাহলে সত্য উদঘাটন করে, সত্য কথা বলে মৃত্যুকে কবুল করার মধ্যেও এক ধরণের শান্তি রয়েছে।
আক্রান্ত হবার মতো কোনো ঘটনার পর যারা সহানুভূতি নিয়ে আসেন তাদেরও এক ধরণের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে। তা বুঝা যায় তাদের কার্যক্রমে ও প্রচার স্পৃহার লালসা দেখেই। এগুলোকেও আমলে নিতে হবে শত্রু-মিত্র চেনার জন্য। তাতে মানুষ লজ্জায় পড়ে হলেও সৎ হতে চেষ্টা করবে। নিজেকে প্রচারের খাতায় বিকিয়ে দেবে না। যে জনগোষ্ঠী পাশাপাশি বসবাস করে। এক ধর্মের মানুষ অন্যধর্মের মানুসের সঙ্গে হাটবাজার, সামাজিক বিয়েশাদী, ঈদ পুজাপর্ব কোনো কিছুতেই বাধাগ্রস্থ হয় না, কেবল রাজনীতির মঞ্চে আগুন ধরলেই তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে তা মেনে নেয়া যায় না। এর এজন্য আজ স্পষ্টভাবেই বলতে চাই, এসব নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য দায়ী রাজনীতিবিদরাই।
আমাদের এসব বিবেচনায় এনে নতুন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। সে যুদ্ধ হবে প্রকৃত শত্রুকে চিনিয়ে দেয়া।