তাদের গাড়ি যখন পল্টনে মোড় নিয়েছে এমন সময় বিপরীত দিক থেকে ছুটে আসা দুটো ডাটসান গাড়ির ভেতর থেকে কিশোরী কণ্ঠে আর্তচিৎকার শোনেন তারা। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি দুটো ঘিরে ফেলে মুক্তিবাহিনীর অন্য সদস্যরা। দুজন যুবক দৌড়ে পালায়, ধরা পড়ে চার জন। ভীত সন্তস্ত্র কিশোরী দু'জনের কাছে যা জানা গেল, তারা অবাঙ্গালী। এই ছয়জন তাদের বাসায় লুটপাট চালিয়ে, নগদ 50 হাজার টাকা ও দুবোনকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল, আর তাদের বৃদ্ধ মোটর মেকানিক পিতাকে বেধে রাখা হয়েছে গাড়ির পেছনের বনেটে। ঠিকই দেখা যায় সত্যি বলছে মেয়েরা।
এরপর দুস্কৃতিকারি 4 জনকে জনসমুদ্রে পরিণত হওয়া স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সদ্য স্বাধীন দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের আচরণ কেমন হওয়া উচিত সে নিয়ে বক্তব্য রাখেন কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান। এবং মঞ্চে তোলা হয় মেয়ে দুটোকে। তাদের বক্তব্য শোনার পর, জনতার কাছে রায় চাওয়া হয়- তারা সমস্বরে দাবি জানান মৃতু্যদন্ডের। পরে চারজনকে একটি করে গুলি ও বেয়নেট চার্জ করে শাসতি কার্যকর করে মুক্তিবাহিনী। ছবিতে বেয়নেট হাতে চার্জে যাচেছন স্বয়ং বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি।
ছবিটি সরাসরি ধারণ করে বেশ কিছু বিদেশি মিডিয়ার প্রতিনিধিরা ও যথারীতি তুমুল সমালোচনার ঝড় তোলে। এবং দেশের বাইরে থাকা স্বাধীনতা বিরোধিরা একে ব্যবহার করে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণায়।
তথ্যসূত্র : স্বাধীনতা '71 (কাদের সিদ্দিকী)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:১১