[কয়দিন ধইরাই ব্লগে জামাতি হেইট ক্যাম্পেইন আবার পুরাদমে চালু হইছে। বিভিন্ন রাজনীতিবিদ কে কবে বঙ্গবন্ধুরে গালি দিছিল, আর এখন শেখ হাসিনার লগে ঘুরে- তাগো লম্বা ফিরিস্তি। এর মধ্যে হিডেন বার্তাটা হইলো- এরা খারাপ হইলে বাকিদের কি দোষ! বঙ্গবন্ধু বাকশালের নামে চল্লিশ হাজার মুক্তিযোদ্ধা মারছেন, কয়েক লাখ জাসদ মারছেন, সংসদে আইসা হুংকার দিছেন- কোথায় আজ সিরাজ শিকদার, তার ছেলে রাইতের বেলা বাংলাদেশ ব্যাংকে ডাকাতি করে, মেজর ডালিমের বউরে তুইলা নিয়া রেইপ করে ইত্যাদি ইত্যাদি আমাদের বহুদিন ধইরা গিলাইতেছেন জনাব ইসা খা, সর্বজনশ্রদ্ধেয় ফিরোজ কামাল, বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি খন্দকার মুশতাকের সুযোগ্য ভাগিনা মাহমুদুর রহমান, শেখ হাসিনার সাবেক ব্যক্তিগত সচিব মতিউর রহমান রেন্টু ও তাদের ব্লগীয় উত্তরসূরীরা। কারণ স্বাধীনতাপক্ষের রাজনীতিবিদগো দুইনম্বর বানাইতে পারলে যুদ্ধাপরাধীগো দুইনম্বরী জায়েজ হয়, মুক্তিযোদ্ধাগো যুদ্ধাপরাধী বানাইতে পারলে রাজাকার-আলবদরগো যুদ্ধাপরাধের কোনো মানে থাকে না। একটু আগে একজনের একটা লেখা পইড়া আমার মাথায় আসলো, আমি যদি ওগো মতো কিছু লিখতে চাইতাম, তাইলে কেমন হইতো। নীচে একটা নমুনা দিলাম, কিভাবে প্রতিষ্ঠিত সত্যের মধ্যে আমি কিছু মনগড়া কাহিনী ঢুকাইতে পারি।]
গোলাম আযমকে শুয়োরের বাচ্চা বলেছিলেন মতিউর রহমান নিজামী
পল্টন ময়দানে যেদিন মতিয়া চৌধুরী বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গশত্রু বললেন, ঠিক সেদিনই পাকিস্তানের লাল মসজিদের সামনে অত্যন্ত উত্তেজিত অবস্থায় পাওয়া গেলো মতিউর রহমান নিজামীকে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গোটা পূর্ব পাকিস্তানকে কাপিয়ে দেওয়া ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতির মুখে অশ্রাব্য সব গালিগালাজ, আর মওলানা আবদুর রহিম, কামারুজ্জামান, দেলোয়ার হোসেন সাঈদীরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন। নিজামী বললেন, শালার ব্যাটা গোলাম আযম, শালা শুয়োরের বাচ্চা। ফিরোজ কামাল তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বললেন- শালাকে জুতা দিয়ে পেটানো দরকার, ছিলো প্রভাষক নামের আগে লেখে প্রফেসার, সারাদিন উর্দূ মারায় সে নাকি আবার বাঙালীগো ভাষা সৈনিক,আসলে শালা বাটপার একটা। এরপর ঘটনা যা জানা গেলো তাতে নিজামীর কোনো দোষ খুজে পেলেন না কেউ। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ধর্মনিরেপক্ষতার নামে ধর্মহীনতা কায়েম হয়েছে, মসজিদ সব মন্দির হয়ে গেছে, সাচ্চা মুসলমানরা ৫ ওয়াক্ত পুজা করে, তাই ইসলামকে বাঁচাতে বাংলাদেশে জিহাদ ফরজ ইত্যাদি বয়ান দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান রক্ষা কমিটি গঠন করেছিলেন গোলাম আযম,মো্টা অংকের টাকা অনুদান হিসেবে বাগিয়েছিলেন সৌদি বাদশাহ ফয়সালের কাছ থেকে ।সঙ্গে আরো যোগ হয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের কিছু ধনী শেখের দেয়া পেট্রো ডলার, ইনারা দিনমান সুরা (কোরআনেরটা না, বোতলেরটা) ও সাকি (পড়ুন বলিউডের নায়িকা)নিয়ে পড়ে থাকেন বলে গুনাহর কাফফারা দেন জিহাদিদের চাঁদা দিয়ে।সব মিলিয়ে টাকার পরিমান কম নয়। কিন্তু কাউকে ভাগ না দিয়ে গোলাম টাকাটা একাই মেরে দিয়েছেন।সে টাকায় ম্যানচেস্টারে বিশাল এক বাড়ি কিনেছেন।শুনে সাঈদী বললেন-শালে সুওর কি আওলাদ।

টাকার পরিমান নেহাতই কম নয়।এনিয়ে বাদশাহর কাছে অভিযোগ করে লাভ হয়নি। তার কথা: এমন সফেদ দাড়িওয়ালা লোক, আলেমই হবে জালেম না। এই কে আছিস, এই সাঈদীকে ঘাড়ে ধরে বের করে দে। মঈনউদ্দিন লন্ডন গিয়েছিলো নিজামীর অসন্তোষের কথা জানাতে।গোলাম আযম তার স্বভাবসুলভ মিষ্টি হাসি দিয়ে (ইনসিসর টিথ বের করা)বলেছেন, নিজামী কি চায় আমি সত্যি আরব বেদুইনদের মতো টো টো করে ঘুরি? মুজিব আমার নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আমার ঘরবাড়ি কেড়ে নিয়েছে। নতুন বাড়ি যখন বানাবোই তখন করাচি-লাহোর কেনো, লন্ডনেই বানাবো। আর আমি বাচলে বাংলাদেশে ইসলাম কায়েম হবে, আমার ভালো মতো বাঁচাটা জরুরী।

এই কথা শুনে নিজামী আরো অগ্নিশর্মা।তার সঙ্গে কয়দিন আগেই দেখা হয়েছে রাও ফরমান আলীর।সিমলা চুক্তির অধীনে সদ্য ভারতীয় জেল থেকে বেরিয়েছেন।তার কাছে ১৯৭১ সালের নভেম্বরের পুরোটা ও ডিসেম্বরের দুই সপ্তাহের বেতন চাইতে গিয়েছিলেন নিজামী। বিস্মিত ফরমান বলেছেন- উও তো গোলাম সাব কো দে দিয়া। ২২ নভেম্বর পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়ার আগেই নাকি গোলাম রাজাকার ও আলবদরদের ফুল পেমেন্ট বুঝে নেন।শুনে কামারুজ্জামান বলেন- শালা সাচমুচ সুওর কি আওলাদ।
১৯৮১ সালে বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গনে মুসল্লীরা জুতাপেটা করেন গোলাম আযমকে।এই খবর পেয়ে নিউইয়র্কে স্বস্তিভরে একটি বিবৃতি দেন আশরাফুজ্জামান। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর ঠিক যেখানে বসে মালেক উকিল বলেছিলেন ফেরাউনের পতন হয়েছে, ঠিক একই জায়গায় বসে আশরাফ গোলাম আযম সম্পর্কে বলেন- আল্লাহ বাটপারের শাস্তি এভাবেই দেন, তার ঘরের উঠোনেই জুতার বাড়ি খেয়েছে জালিমটা।
(আপনাগো পছন্দ হইলে এমন আরো কিছু লিখতারি, তয় ওগো প্রচারে আলটিমেটলি কিছুই প্রতিষ্ঠিত হয় না, কিন্তু আমরা বানায়া না লিখলেও পাবলিক জানে সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস এবং তার বাহকদের সম্পর্কে)

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:১৫