[নাদিম কাদির একজন সাংবাদিক। শুধু সাংবাদিক নন, বিখ্যাত সাংবাদিক- ওকাবের প্রেসিডেন্ট। উপস্থাপক। বাজারে তিনটি বই বেরিয়েছে। আমার কাছে তার এসব পরিচয়কে ছাপিয়ে গেছে তিনি একজন শহীদের সন্তান। উত্তরসূরী ফোরামে তার একটি লেখা পড়ে চোখে জল এলো। অনুবাদ করার লোভ সামলাতে পারলাম না। মনে পড়লো জহির রায়হানের ছেলে অনল রায়হানের কথা। বাবার মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করতে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছিলেন, সফল হয়েছিলেন। অনলের সঙ্গে নাদিমের তফাত, তিনি জানতেন তার বাবাকে কারা মেরেছে। অনলের মতোই নাদিম তার বাবার কবর খুঁজে বেরিয়েছেন। সফল হয়েছেন, কিন্তু ট্রাজেডিটা এখানেই। । তার বাবা কোথায় শায়িত জেনেও কিছু করতে না পারার অক্ষমতা কুড়ে খাচ্ছে তাকে। এ গল্প এক অসহায় সন্তানের গল্প। যে জায়গার কথা বলা হচ্ছে তার আশপাশ দিয়ে ছিলো আমার নিত্যকার আসাযাওয়া। সে কারণেই বেদনাটা হয়তো বেশীই বুকে বেজেছে আমার।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক যে কোনো পোস্ট এখন থেকে শুধু জন্মযুদ্ধ গ্রুপে দেওয়া হবে। এই পোস্টটি এর আগে শুধু চট্টগ্রাম গ্রুপ ও জন্মযুদ্ধ গ্রুপে গেছে। বিষয়টি সমসাময়িক এবং আলোচিত বলেই প্রথম পাতায় আবার পোস্ট করা হলো। ]
১৫ এপ্রিল ১৯৭১। ঘুম ভাঙলো ফজরের আজানে। বিশ্বাসীদের উপাসনার ডাক দেয়া হচ্ছে। অব্শ্য এদের বেশীরভাগই ততদিনে হয় পালিয়েছেন, নয়তো মারা পড়েছেন পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে। বাবাকে দেখলাম লুঙ্গি আর গেঞ্জি পড়ে বাসার পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। জিজ্ঞেস করলাম, “কোথায় যাচ্ছো বাবা?” উনি আমার দিকে তাকালেন, তারপর থেমে আমার কাছে ফিরে আসলেন। আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললেন, “তোমার বাবা কোথাও যাচ্ছে না।”
এরপর এলো সেইদিন, ১৭ এপ্রিল ১৯৭১। দুয়ারের ঘণ্টি বাজলো, সেইসঙ্গে বুটের সপাট লাথি। অনেকগুলো সেপাই নিয়ে একজন পাকিস্তানী ক্যাপ্টেন আমাদের বাসায় ঢুকলেন। দরজা খুলতেই আমাকে জিজ্ঞেস করল, “তোমার বাবা কোথায়?” আমার পিছু নিয়ে তারা শোবার ঘরে ঢুকল আর বাবাকে বললো, “তুমি একজন বেইমান। তোমাকে গ্রেপ্তার করা হলো... তৈরি হয়ে নাও।“
এরপর সেই ক্যাপ্টেন আমার বাবা লেফট্যানেন্ট কর্ণেল মোহাম্মদ আবদুল কাদিরকে (ইঞ্জিনিয়ারিং কোর) স্ত্রীর সঙ্গে জরুরী কোনো কথা থাকলে সেরে নিতে বললো। আমার গর্ভবতী মা তখন নিথর নিশ্চুপ তার পাশে দাঁড়িয়ে। একটা নেভি জিপে করে তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি দৌড়ে গেলাম সিড়ির দিকে, তাকে হাতনেড়ে বিদায় দিলাম। বাবাও হাত নাড়লেন। আমি কখনোই ভাবিনি এটাই আমাদের শেষ দেখা হতে যাচ্ছে। এরপর আমি অনেক প্রার্থনা করেছি যাতে বাবার সঙ্গে আমার আবার দেখা হয়। ভাবিনি কয়েক যুগ পরে এসে তাকে স্বশরীরে না পেলেও তার শেষ বিশ্রামের জায়গাটাকে খুজে পাবো।
আমি শুধু সত্যিটা জানতে চেয়েছি। জানতে চেয়েছি ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল আমার বাবা ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের লে. কর্ণেল মোহাম্মদ আবদুল কাদিরের ভাগ্যে কি হয়েছিল। গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার পর তার আর খোঁজ মেলেনি। তার ফেরার অপেক্ষায় প্রহর গুনে গুনে ১৯৯৯ সালে মারা গেছেন তার স্ত্রী হাসনা হেনা কাদির। আমার ভাইবোনদের মতো আমিও একই কথা বিশ্বাস করতে চেয়েছি। কিন্তু একইসঙ্গে চেয়েছি সত্যের মুখোমুখি হতে। ভালোভাবেই জানতাম সেটা সুখকর কিছু হবে না। তারপরও তার শেষ ঠিকানাটা জানা আমার কাছে খুব জরুরি ছিলো।
১৬ বছর খোঁজাখুজির পর আমি অবশেষে একটা সূত্র পেলাম। সূত্রের সূত্র আমাকে নিয়ে গেলো চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকায় বধ্যভূমিতে। ১৯৭১ সালে ৭০ নং পাঁচলাইশে থাকতাম আমরা, তার খুব কাছেই অবস্থান সেই গণকবরের। সে জায়গায় একটা দালান উঠছে। মালিকপক্ষ মুখ খুলতে নারাজ। সেখানে মাটি খোড়ার সময় তারা কিছু পেয়েছিল কিনা নাকি তারা স্বেচ্ছায় তা আবার মাটিচাপা দিয়েছে সেটা জানা গেলো না।
আমি সেখানে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে ছিলাম। চেচিয়ে বলতে ইচ্ছে করছিলো, “বাবা, শেষ পর্যন্ত পেয়েছি তোমাকে। দ্যাখো তোমার অন্তু বাবা এসে গেছে। ” চিৎকার করে কাঁদতে পারছিলাম না, কেউ না দেখে মতো চোখ মুছছিলাম শুধু। সেই অর্ধ-নির্মিত ভবনের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে আমি নিরবে প্রার্থনা করছিলাম আমার বাবার জন্য।
মুহূর্তের জন্য হারিয়ে গিয়েছিলাম, খুব অসুস্থ লাগছিল। কিন্তু আমার উপায ছিল না কোনো। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছিলাম আমাকে শক্তি দিতে যাতে বাবার সহযোদ্ধাদের সাহায্য নিয়ে জায়গাটার বিনির্মাণ করতে পারি। উদ্যোগটা নেওয়া হয়েছে এবং আশা করছি শুধু তার কবরটিই সুবিচার পাবে না, সেইসঙ্গে যোগ্য সম্মান দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধকালে তার ভূমিকাও স্পষ্ট করা হবে।
লেখাটা যখন লিখছি, তখনও আমার বড় বোন ও ছোটভাই এ সম্পর্কে কিছুই জানে না। লেখাটা বেরুনোর আগেই তাদের বলবো অবশ্য। বোনের জন্যই বেশী চিন্তা হচ্ছে কারণ উনি কতটা শক্ত থাকতে পারবেন তা নিশ্চিত বলতে পারছি না। আর কবরটা সংরক্ষিত না হওয়া পর্যন্ত সেখানে গিয়ে বাবার জন্য প্রার্থনা করাও তার জন্য সম্ভব হবে না। কিন্তু এটাই বাস্তবতা যার মুখোমুখি আমাদের হতে হয়েছে।
চট্টগ্রামে বেশ ক’বার আসাযাওয়ার পর মাকে বলেছিলাম যে তার প্রিয়জনের কবরের খোঁজ পেয়েছি। কিন্তু তাকে জীবন্ত ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। রেডক্রসের ট্রেসিং এজেন্সি ১৯৭৪ সালেই বলে দিয়েছিলো যে বাবা ‘নিখোজ এবং ধারণা করা হয় তাকে মেরে ফেলা হয়েছে’। কিন্তু তাতে তার পরিবার সন্তুষ্ট হয়নি। অনেক খোজখবর নেয়া হয়েছে কিন্তু কেউ বলতে পারেনি তাকে কোথায় মারা হয়েছে।
শুরুতে কেউ কেউ বলেছিল তাকে চট্টগ্রামের ফয়স লেকের ওখানে মারা হয়েছে। আমি প্রতিবছর সেখানে যেতাম। ফুল দিতাম, প্রার্থনা করতাম। ১৯৯১ সালে পেশাগত কারণে চট্টগ্রাম যাওয়ার কারণে আমি জোরেসোরেই তার হদিশ বের করতে উঠেপড়ে লাগলাম। বাবার ছবি নিয়ে পাঁচলাইশ এলাকায় অনেকবার গিয়েছি। চিনতে পারে ভেবে যুদ্ধের সময় কিংবা তার পরপর চট্টগ্রামে ছিল এমন লোকজনকে দেখিয়েছি। কিন্তু কিছুই মেলেনি। ২০০৪ সালের দিকে কে যেন বলল শহরের কোন পাহাড়ে নাকি হত্যা করা হয়েছে তাকে। কিন্তু কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি।
যখন হাল প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, মহান আল্লাহতায়ালা আমাকে চট্টগ্রাম নিয়ে গেলেন একটা বিশেষ কাজে। ২০০৭ সালে আমি সুদানে ছিলাম, সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতেই জাতিসংঘের একটি শান্তি মিশনের সদস্যদের উদ্দেশ্যে লেকচার দিতে সেখানে গিয়েছিলাম। কথায় কথায় অফিসারদের বলেছিলাম যে ১৯৭১ সালে আমার বাবাকে সেই শহরে হারিয়ে ফেলেছি, তার আর খোঁজ পাইনি। এরপর বিশাল একটা সূত্র মিললো। চট্টগ্রাম ব্রিগেডের লে. কর্ণেল বায়েজিদ আমাকে ডা. মাহফুজুর রহমানের লেখা ‘বাঙালীর জাতীয়বাদী সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধে চট্টগাম’ নামে একটি বই দেখালেন। লেখক শুধু খ্যাতিমান চিকিৎসকই নন, বিখ্যাত গবেষকও। সেই বইয়ের ৩৭১ নং পৃষ্ঠায় উনি লিখেছেন যে পাঁচলাইশে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সামনে এপোলো পলি ক্লিনিকের পেছনে আরো ৩৫ জনসহ কর্ণেল কাদিরকে হত্যা করা হয়েছিল।
আমি ডাক্তার রহমানকে খুজে বের করলাম, তিনি আমাকে নিয়ে গেলেন প্রত্যক্ষদর্শীর কাছে। নুরুল ইসলাম নামে এই ব্যবসায়ী ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামে আওয়ামী লিগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন। পরিচয় করিয়ে দিতেই তিনি ভেঙে পড়লেন। জানালেন কর্ণেল কাদিরকে তিনি চিনতেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল পাঁচলাইশের একটা খালি জায়গায় কমপক্ষে আরো ১৮ জন সহ তাকে গুলি করে মেরেছিল পাকিস্তানী সেনাবাহিনী যাদের সমাহিত করেছেন তিনি। কমপক্ষে পাঁচটি বুলেট বুকে নিয়ে লুটিয়ে পড়েছিলেন কর্ণেল কাদির। এও নিশ্চিত করলেন কর্ণেল কাদির তার অফিসের (অয়েল এন্ড গ্যাস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন যা এখন পেট্রোবাংলা) স্টোর থেকে বিস্ফোরক বিলি করেছিলেন এবং ১৯৭১ সালের মার্চে অফিসে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে ছিলেন। তার পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখেছে ৭০ নং পাঁচলাইশের সরকারী বাসভবনে বাংলাদেশের পতাকা ওড়াতে।
জিজ্ঞেস করলাম আমার বাবাকে কিভাবে চিনতেন। উত্তর দিলেন কর্ণেল কাদিরের মতো লোকজনের সঙ্গে সখ্য গড়তে দলীয় পরিকল্পনার অংশ ছিলো তা। নির্বাচন পরবর্তী অচলাবস্থা শুরু হওয়ার পর থেকে নিয়মিতই তার অফিস আর বাসায় আমি যেতাম। ইসলাম সাহেব একটি স্ট্রোকের শিকার হওয়ার পর থেকে আংশিক পক্ষাগাতগ্রস্থ। তারপরও কষ্ট স্বীকার করে আমাকে সেখানে (দার উস সালাম, ৩৪/এ পাঁচলাইশ) নিয়ে গেলেন। একাংশে দার উস সালাম, অন্য অংশে নতুন একটি ভবনের কাজ চলছে। এথানেই অবস্থান সেই গণকবরের। বললেন, “নির্বাচনের পরপরই তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল। অনেকবার তার অফিসে গেছি, বাসায়ও।” ইসলাম সাহেব যোগ করলেন যে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল দুপুর দুটোর দিকে তিনি গুলির শব্দ শোনেন। কাছাকাছি বিভিন্ন বাড়ির দারোয়ান এবং চাকরদের কাছে জানলেন কর্ণেল কাদিরসহ অনেক লোককে মেরে ফেলা হয়েছে।
যোগ করলেন, “অনেক ঝুঁকি নিয়ে সেখানে গিযেছিলাম... সঙ্গে আরো কয়েকজন ছিলো... কাছেই মক্কী মসজিদের ইমাম সাহেবকে ডেকে এনেছিলাম আমরা। খুব দ্রুত আর কেউ না জানে মতো আমরা মৃতদের ঠিকমতো দাফন করতে চাইছিলাম।” জানাজা পড়িয়ে একটা খালি জায়গায় তাদের দাফন করা হয়। কাছেই এলাকার একটা বড় ড্রেন গেছে জমিটার উপর দিয়ে।
এরপর হঠাৎ করেই ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের একজন শিক্ষিকা মিসেস রোকেয়া চৌধুরীর সঙ্গে দেখা হয় আমার। উনিও আমাকে গণকবর হিসেবে একই জায়গা দেখিয়ে দিলেন। উনিও শুনেছেন যে একজন বাঙালী সেনা কর্মকর্তাকে সেখান সমাহিত করা হয়েছিল। ভবনটির কেয়ারটেকারকে দেখিয়ে বললেন, “ভবনের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই আমি এখানে এসে শ্রমিকদের জিজ্ঞেস করেছি তারা দেহাবশেষ পেয়েছে কিনা... কিন্তু তারা সবসময় চুপ থেকেছে নয়তো অস্বীকার করেছে।” এও বললেন, “গণকবরের জায়গাটা অন্য অংশের থেকে একটু উঁচু।”
দাফনের জায়গার খুব কাছাকাছি থাকেন এমন একজন সাবেক ব্যবসায়ীকে খুঁজে বের করলাম। উনি তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। জানালেন তার অল্পবয়সী চাকর (দোহারের অধিবাসী আলাউদ্দিন, এখন আর তার ওখানে নেই) দাফনকারীদের সঙ্গে ছিলেন। জায়গাটাও দেখিয়েছেন। ১৪ থেকে ১৮ জন ছিলেন ওখানে। বললেন আগে কিছু মানুষ সেখানে এসে কবর জেয়ারত করতেন, কিন্তু তারা এখন আর আসেন না। তার ছেলেও সায় দিয়ে জানালনে যে তারা জমির মালিককে অনুরোধ করেছিলেন কবরের ওপর একটা বাগান বানাতে, কিন্তু ‘কিছু কারণে’ বেশি চাপাচাপি করেননি। ব্যবসায়ী ভদ্রলোক সেই এলাকায় সেনাদের নেতৃত্ব দেওয়া ক্যাপ্টেনের কথাও বললেন। লুটপাটসহ তার কিছু কর্মকাণ্ডের কথাও জানলাম।
আমার এই তদন্তের সময কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে যারা গোটা ব্যাপারটা ঘুরিয়ে দিতে সচেষ্ট ছিলেন। খোজ নিয়ে জানলাম যুদ্ধকালে তাদের ভূমিকা ছিল বিতর্কিত। স্থানীয় টাস্কফোর্সের কাছে আমার অনুরোধের প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে এক সপ্তাহের জন্য ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল। গণকবরে কর্ণেল কাদিরের লাশও ছিলো জানতে পেরে কর্ণেল রেজা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।
প্রিয় বাংলাদেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছে তাদের সম্মাণ করতেই আমাদের এখন এলাকাটা দ্রুত সংরক্ষিত করতে হবে।
আমাদের স্বাধীনতায় অবদান রাখার জন্য আমাদের উচিত হবে কর্ণেল কাদিরকে যথাযোগ্য সম্মাণ দেওযা। সেজন্য এটাকেই সঠিক সময় বলে মানছে তার পরিবার। হয়তো এজন্যই আল্লাহ আমাকে সেখানে নিয়ে গেছেন যাতে দীর্ঘ এক যন্ত্রণাময় যাত্রার শেষ হয।
বাবাকে নিয়ে নাদিম কাদিরের একটি ফুটেজও তুলে দিলাম
কৃতজ্ঞতা : উত্তরসূরী, জন্মযুদ্ধ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:১০