আজ আমি গল্প লিখতে বসেছি,
শব্দের সমারোহে কথোপকথনে মেতে ওঠার ছিল প্রয়াস!
চেয়েছি লাইনগুলোয় অশ্রুজল এক উপাখ্যান ব্যাখ্যা করতে,
তপ্ত-ক্রন্দনরত অনুভূতিদের ডায়েরীর ক্যানভাসে আবদ্ধ করতে।
পারিনি! ফিরিয়ে দিয়েছে কথামালা আমায়, করে বিদ্রোহ নিষ্ঠুর,
ব্যর্থ আমি, অপ্রকাশিত গল্পখানি নিয়ে ফিরেছি নরকে ব্যাথাতুর।
আজ রাতে কবিতায় ভাসতে চলেছি,
অন্ত্যমিলের ছন্দময়তায় বিষণ্ণতাকে আঁকবো অসীম আবেগ দিয়ে,
আটকে যাওয়া কাব্যদের গতিদানের আকাংখা ধরে বুকজুড়ে,
শব্দের অভাবে খাবি খাওয়ার যন্ত্রণার পুড়ছি কাব্যদেবী!
চরণে লুটিয়ে পরে তোমার, চরন খুঁজে যাই শুধু বিফল হতে,
কবিতারা আমার হলে না তাই, স্বর্গলোক- এলাম বিদায় নিতে।
আজ ছবি আঁকবো বলে রংতুলি ছুঁয়েছি,
তপ্ত মানবীর প্রতিকৃতি আঁকবার প্রত্যাশায় আঁচড় কেটে গেছি,
ক্যানভাস জুড়ে অর্থহীন আঁকিবুঁকি আমায় জানিয়েছে আমি শিল্পী নই!
ক্রন্দনরত অভিশাপের ন্যায় জলরঙ এর ছটা অলৌকিক স্বর্গরুপ নিয়েছে,
তবু তোমার চোখ আঁকা হলো না দেবী, হলোনা নিঃশ্বাসের দ্রুততার শৈল্পিক রুপায়ন,
আমি হেরে গেছি রঙ-তুলি, শোণিতটুকু নিয়েও যদি দিতে একটি পলক এখন!
আজ আমি একরাশ সূর বেঁধেছি,
তোমাকে শোনাবো বলে ইউরিডিসি, আত্মহারা মোর সমস্তটা করে একত্র,
গেয়েছি শ্রেষ্ঠতর গান কোন! নেয়েছি সূর ঝংকারের চরম পরমে, করুণে,
তবু সামান্য বড্ড ফিকে পড়ে গেছে তোমার সুষমা সমুখে, লাবন্যটুকু বরণে!
আমি পারিনি তোমাকে করতে মুগ্ধ জানি, জেনেছি তোমার অসামান্যতা,
জেনেছি নিজের সমস্তটা জুড়ে বয়ে চলা প্রবল অযোগ্যতা! (ক্ষমীও! ক্ষমীও)
অবশেষে, আজ আমি ভালবেসেছি,
ইরৌস হয়ে খুঁজে মরেছি মহাকাশের সমস্তটা তছনছ করে,
তবু সন্নিকট সাইকির প্রণয় প্রলয়কে বিদ্ধ করা হলো না আমার,
লক্ষ্যভ্রষ্টতায় হারিয়ে তোমায় অপরূপা, হয়েছি দিগন্ত ওপারের সূর্যালোক
তোমায় পাওয়া হলো না বলে নিজেকে হারাবার আকুতিটুকুই সম্বল হোক,
প্রার্থিত মৃত্যুময়তার মোহনীয়তায় করো আচ্ছন্ন মহাকাল, হবো প্রণয়য়ের শোক।।
১৮/০৮/২০১৩, ০৪.২৮ A.M.
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৫