প্রাণহীন অরন্যের বিরানে বিচরণ করে ক্ষণগুলোর আবেগ ছুঁয়ে দেখার অবকাশ আর হয়নি,
রাত জেগে জেগে ঘুমের খোঁজে হন্যে হয়ে উড়ে বেরিয়েছি,
ঘুরে বেড়িয়েছি কতো প্রান্তর নিজ কল্পনার মাঝে, ঘুমিয়ে পরা আর হয়নি।
স্বপ্নমাঝে আরেকটু বিষাদী হবার প্রচণ্ড আকাংখা নিয়ে চোখ বুজে অপেক্ষায় থাকি,
অপেক্ষায় থাকি ঘুমের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলার! অপেক্ষা ফুরায় না কভু,
ভাবি অন্ধকারের এ পথ আর কতটা বাকি?
সুপ্ত মনবেদন এর প্রদর্শনে কিছু চেয়ে নেওয়ার মানবতা আমি নই,
অনুভূতির সাথে দু’দণ্ড কিছু গল্পের আঁকিবুঁকি তাই আর হয়না।
আমি ঘুমন্ত সচেতনতার নামান্তর, পষ্ট চেতনায় বাঁচি অচেতন-
ভালবাসা আমাকে আর ছোঁয়না কোন মেঘলা বিকেলে,
মৃত্যু গননায় বেঁচে থাকাকে বিদায়ে করেছি কলংকিত আজ প্রতি ভোর-সকালে।
স্বপ্নগুলো সত্যি হবার ছিল, শত্রু হল অকালে,
ভুল পথে হেঁটে অনেকটা বেশী গিয়েছি চলে।
ঘুমের প্রশান্তিকে পুঁজো করিনা আর,
কল্পনার সাথে কথোপকথন হয়না; শুধু নিজেকে ভেঙে চলেছি আমি, নিষ্ঠুর হাতে বারবার।
নিজেকে ছিঁড়ে দেখেছি, চর্মগর্ভে আদিম নিজেরে,
ছিঁড়েছি হাড়-পাঁজর, হিঁচড়ে টেনেছি হৃদপিণ্ড।
আমি দেখেছি মস্তিষ্কের প্রতিটি আন্দোলন আর করেছি রক্তে পিপাসা মোচন,
হিংস্র বহ্নিতে অঙ্গার হয়ে অস্থি শূন্যে বিসর্জন,
জীবন হবার কতো প্রয়াসে করেছি বরন মরন।
ঘুমুতে পারিনা, স্বপ্ন দেখিনা কোন প্রহরে,
শুনতে পারিনা, সূর কোন চেনা, কবিতা কোন জানা,
আপন কর্ণকুহরে।
মানব নই আর, পিশাচের দীর্ঘশ্বাস শুধু আমাতে,
কুৎসিত, বড্ড রক্তাক্ত লাশের আবহ আমাকে ঘিরে।
মৃতের আত্মা নই, জীবনের স্বত্বা নই, হারানো প্রেতাত্মা নই,
ধ্বংস আমি, নিয়ত নিজেতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হই।
(৩/৩/২০১৩, সকাল ৭:০৯ মিনিট)
উৎসর্গঃ প্রিয় সহব্লগার কাণ্ডারি অথর্ব ও একজন আরমান-কে। যৌথ প্রয়াসে তাদের পছন্দের কবিতা সংকলন পোস্টে আমার কয়েকটি কবিতা স্থান পেয়েছে তা ভাবতেও অবাক ও অনেক ভাল লাগছে। কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা সত্যিই আমার জানা নেই।