কিছু কিছু মৃত্যুশোক কখনোই ভোলা যায় না। কিছু কিছু শোক বয়ে বেড়াতে হয় সারা জীবন। আজ তেমনি একটি শোকের দিন। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, সকাল আটটা। বাজছে বিউগলের কঠিন সুর। আজকের বিউগলের আওয়াজটা অন্যান্ন দিনের চেয়ে করুণ সুরে বেজে উঠছে যেন। BDR সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে দরবার হলে, হন হন করে নিঃসব্দে ঢুকছে সৈনিকরা, আজও ওদের হাতে কোন অস্ত্র নেই, কারন আইন-শৃক্ষলা রক্ষায় শুধুমাত্র বাহিরে ডিউটির সময়ই কেবল অস্ত্র ও গুলি দেয়া হয়। সকাল ৯ টায় পুর্বনির্ধারিত মিটিং। যা দরবার নামে প্রচলিত। এই দরবার হলেই ঘটে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এবং দেশের ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ড। যা বিডিআর বিদ্রোহ নামে পরিচিত পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের অষ্টম বার্ষিকী আজ।
২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদস্যরা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা পিলখানা এলাকায় অবস্থিত বিডিআর সদর দপ্তরে বিডিআর থেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের কর্তৃত্বের অবসান, রেশন ও বেতনবৈষম্য দূর করাসহ বেশ কিছু দাবিতে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। অনেকেই নানা ভাবে সেদিনের দরবার হলের ঘটনার বিবরন দেন, কিন্তু সেগুলো পরে ঘটনার নিষ্ঠুরতা জানার পর এবং সজনের কান্নাকাটিতে পরিস্থিতির চাপে কিছুটা মোটিভেটেড বলে মনে হয়েছে। বিপুল সংখক বিভৎস মৃতদেহ দেখে তীব্র প্রতিক্রীয়া, আবেগের ভেতর থেকে আসল সত্য বের করে আনা সত্যই কঠিন ছিল। কিন্তু কেন এ হত্যাজগ্য, এই ঘটনা কি পুর্ব পুর্বপরিকল্পিত? না নিছক উত্তেজনার বসে? কি ঘটেছিল সেদিন?
বিডিআর সৈনিকদের চাপা ক্ষোভ অনেক বছর আগে থেকেই ছিল। নব নির্বাচিত সরকার অপেক্ষাকৃত কম রক্ষনশীল, কম সেনা তোষনকারি এবং উদার মনে হওয়া প্রধানমন্ত্রীকে বেশ কিছুদিন আগেই তৈরি করা মুল তিনটি দাবি সহ ৬ দফা দাবি সহ একটি স্মারক লিপি দেয়ার উদ্যোগ চলছিল, তাদের ধারনা হয়েছিল নবনির্বাচিত আওয়ামি সরকারই তাদের জুলুম কিছুটা নিরসন করতে পারবে। কিছুদিন আগে স্থানীয় সাংসদ তাপস জিগাতলা দলীয় ক্যাম্পে এলে তার কাছে কিছু সৈনিক পরামর্শের জন্য আসে, তিনি সুধু রেশনের ব্যাপারটা ছাড়া অন্য ব্যাপার গুলো তার আওতার বাইরে বলে জানান। পরে তাদেরকে প্রপার চ্যানেলে যাওয়ার উপদেশ দেয়া হয়। পরে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে যেয়েও কোন সুবিধা পায়নি। এরপরের মাসে বিডিআর সপ্তাহে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু ডিজি সাকিল এভাবে দেয়া ঠিক হবেনা মন্তব্য করেন, নিজেই প্রধানমন্ত্রির হাতে তুলে দিয়ে কথা বলবেন বলে মত দেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী প্যারেডে সালাম গ্রহন করার জন্য পিলখানায় আসলে তিনি তা দেননি বা আলোচনার চেষ্টাও করেন নি।
২৫ ফেব্রুয়ারি ঘটনার কিভাবে সুত্রপাত হল এই নিয়ে অনেক ধরনের বক্তব্যই হাজির করা হচ্ছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মেজর জায়েদীর বিবরনে একটি প্রতিবেদন "প্রথম আলো"তে প্রকাশিত হয়েছিল। প্রতিবেদনটি প্রথম আলোরে সৌজন্যে এখানে তুলে ধরা হল।
"ডাল-ভাত কর্মসুচি নিয়ে ডিজিকে কৈফিয়ত তলব, বাইরে থেকে গুলি শুরু বিডিআর সদর দপ্তরের জিম্মিদশা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় মেজর জায়েদিসহ ১০ জন কর্মকর্তা মুক্তি পেয়েছেন। এঁরা পিলখানার বিডিআর সদর দপ্তরের ৪ নম্বর গেট দিয়ে বেরিয়ে আসেন। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মেজর জায়েদি। তিনি জানান, উচ্ছৃঙ্খল বিডিআর সদস্যদের হাতে শতাধিক কর্মকর্তা মারা গেছেন। মেজর জায়েদি বলেন, ‘আমরা ১০ জন কর্মকর্তা বের হয়ে এলাম। এঁদের মধ্যে লে. কর্নেল একজন, বাকি নয়জন মেজর। আহত হয়েছেন শতাধিক, অধিকাংশই কর্মকর্তা। নারী-শিশুদের কী অবস্থা, জানি না।’
মেজর জায়েদি ক্ষুব্ধ বিডিআর সদস্যদের বিদ্রোহের শুরুর মুহুর্তের একটি বর্ণনা দিয়েছেন সাংবাদিকদের। এবিসি রেডিও থেকে প্রাপ্ত তাঁর সে বক্তব্যে মেজর জায়েদি বলেন, ‘‘নিয়মানুযায়ী দরবার হলে সব কর্মকর্তাকে উপস্থাপিত হতে হয়, আমিও হয়েছিলাম। দরবারের শুরুতে মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল স্যার বক্তব্য দেন। একপর্যায়ে তিনি ডাল-ভাত কর্মসুচির কথা বললেন। সঙ্গে সঙ্গে এক সৈনিক এসে স্যারের কাছে কৈফিয়ত তলব করে। কথা বলার সময় সে কাঁপছিল এবং নিজেই পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন অফিসার ওকে ধরে ফেলেন। শাকিল স্যার মোটামুটি সেফ হয়ে যান। কিন্তু এক-দুই মিনিটের মধ্যেই বাইরে থেকে গুলির শব্দ আসতে থাকে। তখন শাকিল স্যার সবাইকে বের হয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আমি চিৎকার করে সবাইকে বলি, ‘তোমরা কেউ বের হয়ো না। সবাই চলে এসো।’ তারা শোনেনি। এ অবস্থায় শুনি, দ্বিতীয় ওয়েভ আসছে। তারা আরও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে, আরও গুলি করতে করতে আসছে। তখন আমাদের এক অফিসার ওই সৈনিকের অস্ত্র নিয়ে গুলি করতে থাকে। আমরা তাকে থামাই এবং বলি, ‘এটা ঠিক নয়। আমরা একজন, আর বাইরে ওরা এক শরও বেশি সৈনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আছে। তুমি কিছু করতে পারবে না।’ সে সঙ্গে সঙ্গে থেমে যায়।’’
এক বুক নিঃশ্বাস নিয়ে মেজর জায়েদি বলতে থাকেন, ‘‘এ সময় আমার সাবেক সিও (কমান্ডিং কর্মকর্তা) জেনারেল তারেক স্যারের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলি। উনি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। তাঁকে বললাম, ‘স্যার, কিছু একটা করুন। না হলে আমরা সবাই মারা যাব।’ একপর্যায়ে জেনারেল শাকিল বললেন, ‘তুমি মোবাইলটা আমার হাতে দাও।’ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাইন কেটে যায়। তারপর জেনারেল শাকিল স্যার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। এদিকে পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। কোনোমতেই যখন পারা যাচ্ছে না, তখন ওনাকে বলা হলো, ‘আপনি তাদের আশ্বস্ত করুন। ওরা যেন গুলি না করে। আমরা সমস্ত দাবি-দাওয়া মেনে নেব’।’’
মেজর জায়েদি বলেন, ‘‘ততক্ষণে তারা (জওয়ানেরা) ভেতরে চলে আসে। আমি স্যারকে বলি, ‘স্যার, আমি ওদের জানি, ওদের সঙ্গে আমি কথা বলতে পারব।’ আমি মাইকে তাদের বলি, ‘আমি তোমাদের একসময় সেফ করেছিলাম। তোমরা গুলি খেয়েছিলে। তোমাদের ওপর আমার দাবি আছে। এখন কি তোমরা আমাকে সাহায্য করবে না?’ তাদের সামনে গিয়ে বলি, ‘তোমাদের মধ্যে যদি মানবতা না থাকে, তবে আমাকে গুলি করো।’ তখন তারা বলল, ‘ঠিক আছে, স্যার।’ কিন্তু একজন এসে আমাকে মারলে আমি পড়ে যাই। সঙ্গে সঙ্গে তাকে সরিয়ে দিয়ে দুজন জওয়ান আমাকে কোলে করে তাদের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা আমাকে গ্লুকোজ খেতে দেয়।’’
বিদ্রোহের দ্বিতীয় দিনে গতকাল মোট ২২ জন কর্র্মকর্তা মুক্তি পেয়েছেন। তাঁরা গত দুই দিন বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহী সদস্যদের হাতে আটক ছিলেন।"
প্রত্যক্ষদর্শি সৈনিকের বক্তব্যে জানা যায় যে হত্যাকারিরা প্রথমে আকাশের দিকে ফাঁকা গুলিবর্ষন করে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে, পর উত্তেজনা বেড়ে গেলে কয়েক জন দরবার হলের দেয়াল, বদ্ধ দরজা-জানালা লক্ষ করে এলোপাথারি ব্রাশফায়ার করতে থাকে। ডিজি সাকিল ও অফিসাররা বার বার ধমক দিয়ে সৈন্যদের দরবারে ফিরে আসতে বলতে থাকে , এর ভেতর সেনাপ্রধানের সাথে ফোনে কথা হয়। এর কিছু পরেই একপশলা গুলি ছুটে আসে, কিছু গুলি নরম দেয়াল-পার্টিশন কাঁচের দরজা ভেদ করে সাকিল সহ অন্যান্নদের দেহে বিদ্ধ হয়, অনেকেই মাটিতে শুয়ে প্রানে রক্ষা পান, কর্নেল কামরুজ্জামান সহ অনেকে স্টেজের পাসের উইংসে ঢুকে পরে গুলির হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করে। হাজার হাজার গুলি নিক্ষিপ্ত হলেও কোন বিদ্রহীকেই দরবার হলে ঢুকে দেখে গুলিকরতে দেখা যায়নি। দরবার হল লক্ষ করে হাজার হাজার গুলি নিক্ষিপ্ত হলেও অধিকাংশ সেনা কর্মকর্তার গায়ে কোন গুলি লাগেনি। হত্যাকারিরা হত্যা নিশ্চিত করতে একবারও হলে ঢুকেনি। বা লক্ষস্থির করে গুলি করতে দেখা যায় নি। বিডিআর এর ১৬,০০০ উচ্ছঙ্খল জোয়ানের গুলিবর্ষণে প্রান হারায় বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ সহ ৭৭জন উর্ধ্বস্থানীয় কর্মকর্তা। বিদ্রোহী জোয়ানরা হত্যা ছাড়াও পিলখানা অভ্যন্তরে বসবাসরত বিডিআর কর্মকর্তা ও তাদরে পরিবার পরিজনকে জিম্মি করে।
(উপর থেকে নীচে ১ম সারির ৪র্থ শহীদ কর্ণেল বি,এম জাহিদ হোসেন)
এ ছাড়াও এই হত্যাকাণ্ডে বিদ্রোহী বিডিআর এর গুলিতে কয়েকজন পথচারী ও ছাত্র নিহত হয়। কিছু রক্তপিপাসু সৈনিক ঘটনার পরপরই সাকিলের বাসভবন আক্রমন করে, অগ্নিসংযোগ-লুন্ঠন করে এতে মিসেস সাকিল নিহত হয়। সন্ধার পর কিছু দুষ্কৃতিকারি সৈনিক কিছু অফিসারের বাসা লুন্ঠনের সময় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। তবে ভিতরে আটকে পড়া শিশু ও মহিলাদের বিডিআর সদরদপ্তরের ভিতর থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছিলো। বিদ্রহের ১২ ঘন্টা পর বহুল আলোচিত প্রাক্তন বিডিয়ার মহাপরিচলক জেনারেল অবঃ ফজলুর রহমান সহ দুজন প্রাক্তন BDR প্রধান BBC কে একটি সাক্ষাৎকার দেন। তিনি এই বিদ্রহের কারন হিসাবে সরাসরি BDR পরিচালকদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন। ডিজি সাকিল গং দের তীব্র সমালোচনা করে বলেন দুর্নিতি, অনিয়ম এবং পরবর্তিতে “কমান্ড ফেইলিওরের” কারনে এই বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। তত্তাবধায়ক সরকারের সেইসময়ের কিছু কর্মকান্ডও সৈনিক অসন্তোষের কারন বলে উল্লেখ করেন। BBC কে তিনি আরো বলেন তার আমলেও সৈনিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছিল। তিনি কতৃপক্ষকে শক্তিপ্রয়োগ না করে শান্তিপুর্ন ভাবে মোকাবেলা করতে পরামর্শ দেন। বিষ্ময়কর ব্যাপার হল এর দুদিন পর এই ফজলুর রহমানই ভোল পালটে ফেলেন। তিনি দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে সরকারের সমালোচনা করে বলেন প্রথম দিন ঘটনার পর পরই আলোচনায় সময় নষ্ট না করে সেনা অভিযান চালানো হলে নাকি অনেক জীবন বাঁচানো যেত.!! কিন্তু তিনি কোন ব্যখ্যা দেন নি। ভেতরে প্রায় ৯০ জন সেনা জিম্মি আর পরিবার বর্গ সহ তিনশতাধিক বেসামরিক ব্যক্তি, ১৬,০০০ বিদ্রোহী। সেইসময় সেনা অভিযান চালানো হলে লাশের সংখা ২-৩ হাজার হত, আর দেশব্যাপি ছড়িয়ে থাকা ক্যাম্পের সৈনিকদের প্রতিশোধমুলোক পালটা হামলায় দেশজুড়ে উম্মত্ত তান্ডব শুরু হয়ে যেত তখন এই স্বঘোষিত নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরাই বলতেন সরকারের আনাড়ী সিদ্ধান্তের কারনেই এই বিপুল রক্তপাত।
(শহীদ কর্ণেল বি,এম, জাহিদ হোসেনের স্ত্রী ছন্দার আহাজারী)
ঘটনার পরে ২৫শে ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্রোহীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলে বিডিআর এর সদস্যদের একাংশ আত্মসমর্পণ করে। ২৬শে ফেব্রুয়ারি সকালে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত বিডিআর ক্যাম্পে উত্তেজনার খবর পাওয়া যায়। ঐদিন প্রধানমন্ত্রী জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণে, বিডিআরকে আবারও তাদের দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
২৬শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বিদ্রোহী বিডিআর এর সকল সদস্যগণ তাদের অস্ত্র জমা দেন এবং বাংলাদেশ পুলিশ বিডিআর সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। বহুল আলোচিত পিলখানা হত্যা মামলার রায়ে ডিএডি তৌহিদসহ ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড; বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন; ২৬২ জনকে তিন থেকে দশ বছর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন ২৭১ আসামি।
আদালত পিন্টু ও তোরাব আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন; অনাদায়ে আরো পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার বেলা ১২টা ৩৫ মিনিটে রায় পাঠ শুরু হয়। রায় পাঠের শুরুতেই বিচারক মামলার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। এতে তিনি জানান, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ‘অপারেশন ডালভাত’ এর অর্থসংশ্লিষ্ট কর্মসূচিতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরকে জড়ানো ঠিক হয়নি। এছাড়া এই বিদ্রোহের তথ্য আগে জানতে না পারার ঘটনায় ‘গোয়েন্দা দুর্বলতা’ ছিল বলেও মনে করছে আদালত। রায় পাঠকালে সংশ্লিষ্ট আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
২০০৯ সালের এইদিনে বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানার দরবার হলে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনানীদের মৃত্যুতে আজো স্বজনদের আহাজারি,আকাশ বাতাস করে তোলে প্রকম্পিত।দেশবাসী আজ সেইসব শহীদদের স্মরন করছে গভীর বেদনায়। দেশের অকুতভয় বীর সেনানী বিডিআর বিদ্রোহে শহীদদের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৫