পারভিনের মেয়েটি মারা গিয়েছে, তার ভাগ্য ভালো সে মারা গেছে তা না হলে সে বড় হয়ে তার জন্মস্থান লিখতে বা বলতে গিয়ে শিউরে উঠতো, ঘৃণা ভেসে উঠতো তার চোখেমুখে! পারভিন তার এই বাচ্ছা পেটে নিয়ে তিনটে হাসপাতাল ঘুরে শেষমেশ আজিমপুর মাতৃসদনের সামনের রাস্তায় বাচ্ছাটিকে কয়েক মিনিটের জন্য পৃথিবীর নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছে! ১৫০০ টাকা ঘুষ না দিতে পারায় তার এই পরিণতি দেখতে হয়েছে! আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রী কি ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন? উনার ব্যর্থতা কি মেনে নিবেন? পদত্যাগ না করুক আজিমপুরের সেই মাতৃসদনের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ ইশরাত জাহানকে কি একটু বকে দিবেন? নাকি একটা বিবৃতি দিবেন, মাথাপিছু ১৬০৪ ডলার আয় করে সে টাকা গুলি কি করেছে, তার উচিত ছিলো সেখান থেকে ২০০ ডলার আলাদা করে রাখা ঐ জরুরী অবস্থায় ঘুষ দেওয়ার জন্য!
মানুষের মৌলিক ৫টি অধিকারের একটি চিকিৎসা সরকার ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করছে মাতৃসদনে নাকি নামমাত্র মূল্যে প্রসূতি মায়েরা সেবা পাচ্ছে! আমি গুগুলে মাতৃসদন লিখে সার্চ দিলাম তারমধ্য ১০ টি লিংক পেলাম এর মধ্যে ৮লিংকই এই সদনের দুর্নীতি আর অমানবিক চিকিৎসা সেবার খবর! এগুলি কিসের লক্ষন? ৪৬ বছর পরেও এসে পারভিনেরা রাস্তায় সন্তান প্রস্রাব করে! এর থেকে লজ্জা আর কি হতে পারে!
সূধাসদনে যিনি থাকেন তিনিও তো একজন মা, তিনি যে কলাগাছকে এই মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন তার কাছে কি এর ব্যাখ্যা চাইবেন? নাকি সূধাসদন পর্যন্ত এই খবর যাবেই না!
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:০২