somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্রষ্টার ধর্মচিন্তা

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



There are more things in heaven and earth, Horatio,
Than are dreamt of in your philosophy.
- Hamlet (1.5.167-8), Hamlet to Horatio


আমার ধর্মজ্ঞান ক্লাস টেনের 'ইসলাম শিক্ষা' পর্যন্ত। কাজেই এই পোস্টে আমার অজ্ঞতাজনিত সীমাবদ্ধতাকে নাস্তিকতায় রূপান্তর না করলেই ভাল হয় :| কিংবা করলেও জগতের খুব বেশি কিছু যায়-আসে না /:)

কে কাকে সৃষ্টি করেছে; স্রষ্টা সৃষ্টিকে নাকি সৃষ্টি স্রষ্টাকে? নিঃসন্দেহে বলবেন, এ এক চরম নাস্তিকতাপূর্ণ উদ্ধত প্রশ্ন! পৃথিবীতে মানুষ আছে বলেই ধর্ম আছে নাকি ধর্মই মানুষের সৃষ্টি করেছে! আমার যতদূর ধারণা, ধর্ম সৃষ্টির বহুপূর্ব থেকেই 'স্রষ্টা' ধারণার উৎপত্তি। আদিমতম মানুষের জ্ঞানের প্রাথমিক ধাপে মূলতঃ অজানা কিংবা অব্যাখ্যাত বিষয়গুলোকে ব্যাখ্যায়িত করার চেষ্টা থেকেই আরও রহস্যময় 'স্রষ্টা'র আগমন। মানুষ বহুকাল আগে থেকেই সূর্য, আগুন বা মানুষের থেকে অধিকতর শক্তিশালী কিছুতে স্রষ্টাকে খুঁজে পাবার চেষ্টা করেছে। এক্ষেত্রে সবাই সবার মত করে স্রষ্টা তৈরী করে এবং তাকে খুশি করার চেষ্টা করে। যদিও প্রিমিটিভ এজে এই চেষ্টার অধিকাংশই ছিল সহিংস!



ধর্ম হল সমাজের সেই আদিমতম উপাদান যা একটি শিশু ভূমিষ্ট হওয়া মাত্র তাকে সমাজের অন্যান্য অংশ থেকে আলাদা করে ফেলে। একটি অদ্ভুত এবং অদৃশ্য আবরণ তার চোখে দিয়ে দেয়। যাতে সে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা ভাবতে শেখে। এই আলাদাভাব হতে পারে নিজেকে অন্যের থেকে উন্নত ভাবা যদি সে সংখ্যাগুরু হয় আর উল্টোটাও হতে পারে যখন সে সংখ্যালঘু হয়। ধর্ম সবসময়ই মানুষের মাঝে প্রচ্ছন্নভাবে একটি অহেতুক এবং অলীক অহংবোধের জন্ম দেয়। যা তাকে কোন কারণ ছাড়াই অন্য ধর্মাবলম্বী থেকে উন্নত ভাবতে শেখায়। এবং অনেকক্ষেত্রেই এর প্রকাশ হয় অন্য ধর্মের উপর নিপীড়নমূলক পন্থায়! উদারপন্থী ধর্ম বলে কিছু নেই। ধর্মে সেকুলারিজম এক ধরণের 'স্বস্তিদায়ক' ভ্রান্তি। একটি ধর্ম কখনই অন্য ধর্মের বিস্তার সহজভাবে মেনে নিতে পারে না, এবং এটাই স্বাভাবিক। যেহেতু এটি একটি মানবসৃষ্ট ব্যবসা, তাই সকলেই নিজের বাজার টিকিয়ে রেখে অন্যের বাজার কিভাবে ধরা যায় তাই চিন্তা করবে। এতে স্রষ্টার কোন হাত নেই। আপনার জন্মের সহস্র বছর আগে থেকেই ধর্ম ছিল এবং আপনার মৃত্যুর লক্ষাধিক বছর পরেও তা থাকবে। কাজেই, যা আপনি অর্জন করেন নি তা রক্ষারদায় আপনার উপর কেন বর্তাবে? বর্তায়, কারন এটি আপনার জন্য ব্যবসা, মুনাফার উপায়; স্রষ্টার জন্য নয়। আর তাই তিনিও এ নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না।



২০০০ সালে একটি গেম খেলতাম, নাম 'ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট'। সেখানে আমি ছিলাম গড। বিভিন্ন গ্রামের গ্রামবাসীর উপর আমি আমার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারতাম দুটি উপায়ে। একটি ভয় দেখিয়ে আরেকটি তাদের উপকার করে। যতই আমার অনুসারী বাড়ত ততই বাড়ত আমার ক্ষমতা। আর ক্ষমতা বাড়লে আমি অন্যান্য গডদেরকেও পরাজিত করতে পারতাম সহজে। এ ছিল বাস্তব ধর্ম ব্যবস্থারই এক প্রতিফলন।



আমাদের মুসলমানদের জন্য কোরআন হচ্ছে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এটি যেমন সত্য, তেমনি এটাও সত্য আমদের জীবন-প্রণালী গত দেড় হাজার বছরে ব্যাপক বিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। সেখানে বিভিন্ন আয়াত নাজিল হয়েছে বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে। তখনকার মহাজনী সুদের কারবার আর এখনকার অর্থের মান কমে গিয়ে ইনফ্লেশন এডজাস্টমেন্টের জন্য সুদ দিয়ে জমাদারকে সুবিধা দেয়া দুটি পৃথক ধারণা। সুদকে মুনাফা বলে চালানোর সুযোগ হয় ধর্মীয় অভিযোজনের অভাব থেকেই। কিছু বিষয় চিরন্তন, আর কিছু পরিবর্তশীল। আর এ পরিবর্তনশীলতাকে না মেনে একাধারে দেড় হাজার বছর আগের বিবেচনায় সবকিছু হারাম দাবী করাতেই বরং ধর্ম হুমকীর মাঝে পড়ে। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়িটা আমাদের মুসলমানদের মজ্জাগত একটি বিষয়। আমরা স্রষ্টার সন্ধান করি না, কেবল করি ধর্মীয় আচারের বাহুলতা। আর এ কারণেই, অতি তুচ্ছাতিতুচ্ছ এবং অর্থহীন কারণে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। যেমন 'ইনোসেন্স অফ মুসলিম' নামের হাস্যকর একটি ক্লিপ (চলচ্চিত্র নয় কোন মতেই) কিভাবে সারা পৃথিবীতে তান্ডব তৈরী করেছিল মনে আছে নিশ্চয়। সেখানে মুসলমানদের যুদ্ধপরায়ণ, হিংসুটে একটি জাতি হিসেবে কটাক্ষ করা হয়েছে। এবং এ পরপরই অতি-প্রতিক্রিয়া দেখাতে গিয়ে আমরাই বারংবার নিজেদের হিংসাপরায়ণ জাতি হিসেবে পৃথিবীর কাছে তুলে ধরছি, যা কিনা আদতে ঐ হাস্যকর, অর্থহীন ক্লিপটিকেই সমর্থন করে। আচার সর্বস্ব ধর্ম আমদের জীবন সরল করার পরিবর্তে ক্রমশ আরও জটিলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। লোক দেখানো আচার আমাদের মাঝে শঠতার বীজ বপন করে শৈশবেই। আমাদের দেশে একইসাথে পাতলা লেগিংস পড়ে উরু দেখিয়ে হিজাব পড়ে চুল ঢেকে রাখাটা নিঃসন্দেহে স্ববিরোধী আচরণ।



সকল ধর্মেই আমরা মূলত অরাধনা করি এক অদৃশ্য শক্তির, আকারে বা নিরাকারে। আমরা তা-ই বিশ্বাস করি, যা আমাদের ব্যাখ্যার অতীত। আমি মনে করি, সবারই স্রষ্টা এক এবং ধর্মও অভিন্ন। আর তা হল মানবধর্ম। সকল ধর্মেরই মূল কথা হল অপরের কল্যাণ সাধন, নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন। কাজেই এ নিয়ে কোন পক্ষের আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু গোলযোগ তখনই বাঁধে যখন ধর্ম কেবলই ব্যক্তিস্বার্থে কোন সুবিধা লাভের জন্য ব্যবহৃত হয়।



ধর্মকে বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা এক হাস্যকর প্রয়াস ছাড়া আর কিছু নয়। যেখানে ধর্মের ভিত্তি হল বিশ্বাস আর বিজ্ঞান হচ্ছে পরীক্ষণমূলক। আর তাই জ্ঞানী-গুণীদের মেরাজের বিষয়কে টাইম ডায়ালেশনের মাধ্যমে সত্য প্রমাণের চেষ্টা নিতান্তই শিশুতোষ আচরণ বলেই মনে হয় আমার কাছে। অথবা কোরআনে বর্ণিত, শূণ্য থেকে আমাদের সৃষ্টি এবং শূণ্যতেই আমদের শেষ হয়ে যাওয়াকে বিগ ব্যাং থিওরীর পূর্ববর্তী ভার্সন হিসেবে বিবেচনা করাও বোকামী। আমাদের পবিত্র কোরআনের বহু বিষয় আছে যা ব্যাখ্যা করা যায় না বা আমদের ক্ষুদ্রসীমায় বোধগম্য নয়, তবে কি সেগুলো অবিশ্বাস করবো? তা নিশ্চই নয়। মুসলিম হিসেবে কোরআনের সকল বানী বিনা দ্বিধায় বিশ্বাস করতে এবং মানতে আমি বাধ্য। সেখানে যুক্তি-তর্কের কোন স্থান নেই। কাজেই, তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা টেনে এনে আশিংক বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাসের প্রশ্নই ওঠে না! মনে রাখতে হবে, ধর্ম এবং বিজ্ঞান এক অপরের পরিপূরক বা প্রতিদ্বন্দ্বী, কোনটাই নয়। দুটি সম্পূর্ন ভিন্ন বিষয়। কাজেই, বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মের মাজেজা ব্যাখ্যা করা কিংবা ধর্মের মাঝে বিজ্ঞানকে খুঁজলে অহেতুক কালক্ষেপনই হবে মাত্র।



মানবিকতা যখন অনুপস্থিত ধর্ম সেখানে মানুষকে খুব বেশী কিছু শেখাতে পারে বলে আমার মনে হয় না। আর ধর্ম যে স্বজাতির মাঝে ভ্রাতৃত্যবোধ জাগ্রত করতে পারে না, তা-ও প্রমাণিত হয়েছে সহিংস রক্তক্ষয়ের মাধ্যমে। এক দঙ্গল মুসলিম রাষ্ট্রের মাঝে ইহুদী ইসরায়েলের বেয়াড়াভাবে বেড়ে ওঠা এবং ফিলিস্তিনের দ্বিধাবিভক্তি তারই প্রমান। কিংবা, ধর্মীয় ভিত্তিতে জন্ম নেয়া পূর্ব-পশ্চিম পাকিস্তান যে কেবল জামায়াতী ইসলামীর মত ধর্মবেশ্যারই জন্ম দিয়েছে, তা এখন নিশ্চিত করে বলা যায়। ধর্ম-ব্যবসায় বোধকরি স্রষ্টাও খুব একটা আগ্রহ দেখান না। তাঁরই সৃষ্টি গণিকালয়ের খোঁজে নামলে বাধা দেয়াটা তাঁর নীতিবিরুদ্ধ। আর তাই, আমাদের বিবেক যখন নিরুত্তাপ হয়, সৃষ্টির উল্টো হয়ে ঝুলে থাকাতেও স্রষ্টার কোন বিকার দৃশ্যমান হয় না...। কদাচিৎ মনে হতেই পারে, হয়তো মানিক বন্দোপাধ্যায়ের ভদ্রপল্লীতে স্রষ্টা আবাস গেড়েছেন।



কে স্রষ্টা আর আর কে সৃষ্ট তা অব্যাখ্যাত চিরকালই থেকে যাবে। তবে, ধর্ম টিকিয়ে রাখতে স্রষ্টার চাইতে সৃষ্টির ভূমিকাই মূখ্য বলে মনে হয়! আমি বিশ্বাস করি, কেউ একজন অাছেন যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন। আমাদের সকল কাজের ফল একদিন আমাদের কোনও না কোনওভাবে ভোগ করতেই হবে। তাই, বর্তমানে স্রষ্টার অনুপস্থিতিই ভবিষ্যতে তাঁর অস্তিত্বের জানান দিয়ে যায়। স্রষ্টার বিশালতা আর আমাদের অজ্ঞতা দুটোই অসীম। আমরা স্রষ্টার সন্ধান করি না বলেই তাঁর ব্যপকতা বুঝতে পারি না। তাই ভাবি, তিনিও আমারই মত। অন্যের কটুক্তি তাঁরও গায়ে লাগে, তিনিও আহত হন। কিন্তু সত্যি যে, আপনার আমার কোন আচরণেই তাঁর কিছুই যায় আসে না। স্বর্গ মর্ত্যের মাঝে এখনও বহুকিছু রয়েছে যা আমদের নির্ণয়ের অতীত। আর এখানে স্রষ্টার সৃষ্টিতে বিশ্বাসই একমাত্র সমাধান, ধর্মে নয়। ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় সবই আপেক্ষিক; স্থান-কাল-পাত্র ভেদে তা পরিবর্তিত হয় নিশ্চিতভাবে...কিন্ত মানুষের বিবেক স্থির...সহস্র বছরের বিবর্তনমুক্ত!



পরিশিষ্টঃ
অনেকেই পোস্টে রেফারেন্সের খোঁজ করবেন। এগুলো একান্তই আমার ব্যক্তিগত ভাবনা। এজন্য, আমার বিবেকের রেফারেন্সই যথেষ্ট বলে মনে করি। ধন্যবাদ। :)
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২০
৬৯১ বার পঠিত
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

১. ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মনে হয় ভালোই লিখেছেন তয় এখন টাইম নেই পরে পড়ুমনে।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩১

লেখক বলেছেন: তাইলে পরেই ধন্যবাদ কমুনে |-)

২. ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮

মেহেরুন বলেছেন: হুম!!!ভালো!! ভালো!!

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১

লেখক বলেছেন: :) :) :)

৩. ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৫

আছিফুর রহমান বলেছেন: আপনি বলেছেন ধরম নিয়া আপনার পরাশোনা দশ কেলাস। তাই এই প্রশ্ন গুলার উত্তরের জন্য আপনের আরো পড়াশুনা করতে হইবো। খালি প্রশ্ন করলে হবি না। উত্তরও খুজতে হইবো

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:১২

লেখক বলেছেন: এই লাইগাইতো আপনেগো মতন পড়াশুনা জানন পাবলিকরে জিগাইসি... =p~ =p~

জানলে কন শিখা লই... =p~ =p~

৪. ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০১

জুন বলেছেন: পোষ্ট নিয়ে পরে আলাপ করবো । এখন জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম :)

০৩ রা মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

লেখক বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ! :)

৫. ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৪৩

নীলপরি বলেছেন: ভালো

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৬. ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০২

মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বলেছেন: You can start from here

https://www.youtube.com/user/BayyinahInstitute
https://www.youtube.com/user/NAKcollection

১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ!

৭. ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫১

কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: ধর্মকে বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা এক হাস্যকর প্রয়াস ছাড়া আর কিছু নয়


কথাটা মানতে পারলাম না। আপনি যদি কোন ধর্মকে বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করতে না পারেন তবে জেনে রাখুন সেই ধর্ম বা আপনার সেই বিজ্ঞানের থিউরি মিথ্যা।

অন্য ধর্মের কথা জানি না,আমার ধর্ম ইসলামে এমন কোন কাজ নেই যা সত্য বিজ্ঞান দ্বারা ব্যাখ্যা করাযায় না। বিজ্ঞান ছাড়া ধর্মকে বলা হয় অন্ধ বিশ্বাস। যা আপনাকে বা আপনি অন্যকে যে কোন বিপদে ফেলতে পারেন।

আপনি কোন একটা কিছু বিশ্বাস করবেন অথচ না জেনে?/ না শুনে?? না বুঝে??

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮

লেখক বলেছেন: ধর্মকে বিজ্ঞানের আলোকে ব্যাখ্যা করতে গেলে তা সাংঘর্ষিক হয়ে যাবে! আর ধর্মের কিছু বিষয় হয়তো করা যাবে তবে অধিকাংশই অব্যাখ্যাত রয়ে যাবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮. ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়িটা আমাদের মুসলমানদের মজ্জাগত একটি বিষয়। আমরা স্রষ্টার সন্ধান করি না, কেবল করি ধর্মীয় আচারের বাহুলতা। আর এ কারণেই, অতি তুচ্ছাতিতুচ্ছ এবং অর্থহীন কারণে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়।[/si

স্রষ্টার বিশালতা আর আমাদের অজ্ঞতা দুটোই অসীম। আমরা স্রষ্টার সন্ধান করি না বলেই তাঁর ব্যপকতা বুঝতে পারি না। তাই ভাবি, তিনিও আমারই মত। অন্যের কটুক্তি তাঁরও গায়ে লাগে, তিনিও আহত হন। কিন্তু সত্যি যে, আপনার আমার কোন আচরণেই তাঁর কিছুই যায় আসে না। স্বর্গ মর্ত্যের মাঝে এখনও বহুকিছু রয়েছে যা আমদের নির্ণয়ের অতীত। আর এখানে স্রষ্টার সৃষ্টিতে বিশ্বাসই একমাত্র সমাধান, ধর্মে নয়।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৬

লেখক বলেছেন: তাই নয় কি? যদিও আমার ব্যক্তিগত ভাবনা।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ডায়েরী- ১৪৩

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:২৭

ছবিঃ আমার তোলা।

আজ সকালের কথা বলি।
ভোর সাড়ে ছয়টায় ঘুম থেকে উঠেছি। আসলে আমি উঠি নাই, সুরভি আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেছে। বিছানা থেকে নামার আগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেগম জিয়া ফিরুক!!

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:১০




বেগম জিয়া গুলশান ছেড়ে লন্ডনে চলে গেছেন; ব্লগে বিভিন্ন আলোচনা লেখা-লেখি চলছে,আপোষহীনতার অভাব কখনোই ছিলো না নাকি ;দেখতে শুনতে ভালো,বিদ্যায় টাইটানিক বহন করা মস্তিষ্ক। যাইহোক, বাঙালীদের জন্য এমন রাজনীতিবিদ... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ মূল্যবোধ.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:২৬

গল্পঃ মূল্যবোধ.....

নিগারের স্বামী মুকিতকে আমি চিনি। তবে তেমন ঘনিষ্ঠতা না থাকলেও মাঝেমধ্যে কথাবার্তা হয়। নিগার আমাদের দীর্ঘদিনের প্রতিবেশী কালাম ভাইর একমাত্র মেয়ে নিগার। কালাম ভাই আমার বয়োজেষ্ঠ। ছেলেবেলা থেকেই আমরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা কি ইডিয়টের লেভেলে?

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১০



আপনি বাংলাদেশে বাস করে, দেশের চলমান রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহকে কি সঠিকভাবে বুঝতেছেন, কিভাবে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিলো, কাহারা দেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন, কাহারা কি কারণে ইহার বিরোধীতা করেছিলো, ইহা ঠিক মতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার হাসান মাহবুবের কাছে প্রশ্ন, "আমার 'পরিশুদ্ধ' হওয়ার কি দরকার আছে?"

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০২



**** আমি চাঁদগাজী নিকে ব্লগিং করার সময়, ব্লগার হাসান মাহবুব আমাকে ১টা গালি দিয়েছিলেন; তিনি আমার ১ পোষ্টে মন্তব্য করেছিলেন; মন্তব্যটা ছিলো, "তুমি একটা মাদারচোদ"। আমি বিনিময়ে কিছু বলিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×