[দায়মুক্তিঃ এই রচনাটি কঠিন বাস্তব হইতে অনুপ্রাণিত হইয়া লেখা। নাম ব্যতীত সকল চরিত্র বাস্তব। কাহারও সাথে মিলিয়া গেলে ইহা নিতান্তই কাকতালীয় বলিয়া বিবেচনার অনুরোধ রইলো।]
১.
বিগত কয়েকদিন যাবৎ মোখলেস বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছে! তাহার বহুসন্ধানের ফল মিলিয়াছে। সে তাহার বহু প্রতীক্ষিত স্ত্রীর সন্ধান পাইয়াছে। তো, তাহার সহকর্মী শুধাইলো,"ওহে, তোমাকে ইদানীং বেশ হালকা মনে হইতেছে, কাহিনী কি হে?" মোখলেস প্রত্তুত্তরে কহে, "ইয়ে, মানে...উনার সন্ধান পাইয়াছি"। সহকর্মী বুঝিয়া লয়, "তো, তাহার হাইট কত?" মোখলেস কহে "পাঁচ ফুটের কাছাকাছি মনে কয়"। শুনিয়া সহকর্মী কহেন, "তুমি আমার জুনিয়র, ছোট ভাইয়ের মত, প্রথম বিবাহ বলিয়া কথা। তাই বলিতেছি, একখানা প্রবাদ আছে "বাটি (বাইট্টা), শয়তানের লাঠি!" তো একটু বুঝিয়া শুনিয়া অগ্রসর হইয়ো আর কি!"
শুনিয়া মোখলেস দমিয়া যায়। হাজার হোক অভিজ্ঞ জনের কথা!
২.
বিগত কয়েকদিন যাবৎ মোখলেস বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছে। তাহার বহুসন্ধানের ফল মিলিয়াছে। সে তাহার বহু প্রতীক্ষিত স্ত্রীর সন্ধান পাইয়াছে। এইবার তার হাইট ঠিক আছে। কোন সমস্যা হইবে না। এইবার সে আর উক্ত সহকর্মীর সাথে এই লইয়া কোন আলাপে গেল না। বলা তো যায় না, কে কোন উদ্দেশ্য লইয়া কি বলে! তাহার অপর এক সহকর্মী শুধাইলো "ওহে, তোমাকে ইদানীং বেশ হালকা মনে হইতেছে, কাহিনী কি হে?" মোখলেস প্রত্তুত্তরে কহে, "ইয়ে, মানে...উনার সন্ধান পাইয়াছি"। সহকর্মী বুঝিয়া লয়, "তো, তাহারা কয় ভাইবোন?" "আজ্ঞে, তিন ভাইবোন। সে মেঝো জন" মোখলেস কহে। কিঞ্চিৎ ভাবিয়া এইবারের সহকর্মী কহিলো "কি আর বলিব, ভালোই তো মনে হইতেছে, তবে একটা কথা আছে আর কি "মাইজ্জা (মেঝো), খায় দুনিয়া ভাইজ্জা"। তো একটু বুঝিয়া শুনিয়া অগ্রসর হইয়ো আর কি!"
শুনিয়া মোখলেস পুনরায় দমিয়া যায়। হাজার হোক অভিজ্ঞ জনের কথা!
৩.
বিগত কয়েকদিন যাবৎ মোখলেস বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছে। তাহার বহুসন্ধানের ফল মিলিয়াছে। সে তাহার বহু প্রতীক্ষিত স্ত্রীর সন্ধান পাইয়াছে। এইবার তার হাইট ঠিক আছে, মেঝোজনও নহে। আর কোন সমস্যা হইবে না। সে ঠিক করিয়াছে, বিবাহ সংক্রান্ত বিষয়ে দাপ্তরিক সহকর্মীদের সহিত আর কোন প্রকার আলোচনাতেই সে যাইবে না। কাছের একখানা বাল্যবন্ধুকে বলিল "ইয়ে, মানে...উনার সন্ধান পাইয়াছি। খুব শীঘ্রই শুভকর্মটি সাধন করিবো। অবশ্যই থাকিতে হইবে।" বন্ধু কহিল "তো, আমাদের হবু ভাবীর দেশের বাড়ী কোথায়? বিএনসিসি নহে নিশ্চয়?" মোখলেস কহে "আরে না, তোমার কি মাথা নষ্ট নাকি হে। উনার বাড়ী ময়মনসিংহ।" বন্ধু শুনিয়া দম নিয়া কহে "গফরগাঁও নিশ্চয় নহে?" মোখলেস ভ্রু কুঞ্চিত করিয়া কহে "কেন, কোন সমস্যা?" বন্ধু কহে "না না, কোন সমস্যা নহে...তবে শুনিয়া ছিলাম যে, উক্ত অঞ্চলের লোকেরা একটু মাথা গরম হয় আরকি। হাওড় এলাকার তো...একটু বুঝিয়া শুনিয়া অগ্রসর হইয়ো আর কি!" মোখলেসও ভাবিয়া দেখিলো, কথা তো এতবারে ভুল বলে নাই। মেয়েটার সাথে কথা বলার সময় কেমন কেমন যেন লাগিয়াছিল!
মোখলেস পুনরায় দমিয়া যায়। হাজার হোক বাল্যবন্ধুর কথা!
৪.
বিগত কয়েকদিন যাবৎ মোখলেস বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছে। তাহার বহুসন্ধানের ফল মিলিয়াছে। সে তাহার বহু প্রতীক্ষিত স্ত্রীর সন্ধান পাইয়াছে। এইবার তার হাইট ঠিক আছে, মেঝোজনও নহে, গফরগাঁও নহে। আর কোন সমস্যা হইবে না। সে ঠিক করিয়াছে, বিবাহ সংক্রান্ত বিষয়ে দাপ্তরিক সহকর্মীদের কিংবা বন্ধুদের সহিত আর কোন প্রকার আলোচনাতেই যাইবে না। তো কাছের এক আত্মীয়া হবু কনের ছবি দেখিয়া বলিলেন "মেয়ে তো চাপা শ্যামলা হে। তুমি করিতেছ কি? তুমি যেরূপ, স্ত্রীও যদি সেরূপ হয় তবে ভবিষ্যৎ তো অন্ধকার। তোমার মেয়েদের বিবাহ দিতে তোমার নাভিশ্বাস উঠিয়া যাইবে!"
অনাগত অন্ধকার ভবিষ্যতের আশঙ্কায় মোখলেস পুনরায় দমিয়া যায়। আত্মীয়া তার ভাল চায় বলিয়াই হয়তো সাবধান করিয়াছে। মোখলেস মনে মনে আত্মীয়াকে ধন্যবাদ দেয়।
৫.
বিগত কয়েকদিন যাবৎ মোখলেস বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছে। তাহার বহুসন্ধানের ফল মিলিয়াছে। সে তাহার বহু প্রতীক্ষিত স্ত্রীর সন্ধান পাইয়াছে। এইবার তার হাইট ঠিক আছে, মেঝোজনও নহে, গফরগাঁও নহে, চাপা শ্যামলাও নহে। সে পূর্ব নির্ধারিত দিনে কিছু নিকট আত্মীয় নিয়া হবু কনের সহিত কোন এক রেস্টুরেন্টে দেখা করিতে যায়। কনের বাবাও ছিল সাথে। বাবা বেশ ভাব নিয়া কহিল "শুনিলাম, তুমি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল বিষবিদ্যালয়ে পড়িয়াছ...আবার ঢাকগুড়গুড় বিষবিদ্যালয় হইতে এমবিএ করিয়াছ...বেশ বেশ। আমার কন্যাও উত্তরাঞ্চলীয় আর্ন্তজাতিক বিষবিদ্যালয়ে পড়িতেছে"। মোখলেস বিনয়ের সহিত কহে "আজ্ঞে"। "তা তুমি ডিপ্লোমা কোন বিষয়ে করিয়াছ?"। মোখলেস শুনিয়া বিষম খাইয়া যায়।
মোখলেস পুনরায় দমিয়া যায়। ডিপ্লোমা-বিএসসি যেথায় একদর সেথায় কি করিয়া যায়?
৬.
মোখলেসের ফুরফুরে ভাবটা ইদানিং বেশ কমিয়া আসিয়াছে। এমন সময় এক ঘটক খবর দিল "যদি রাজ্য সহ রাজকন্যা পাইতে চান তবে এই দিনে, এই ক্ষণে ওয়েস্ট-টিন এ চলিয়া আসেন"। ঘটক কর্তৃক প্রদত্ত হবু কনের বায়োডাটাখানি পড়িয়া বেশ ভলোই লাগিল মোখলেসের, সুদিন আসিতে বুঝি আর বেশী দেরী নাই। মেয়েও বেশ মায়াময়ী মনে হইলো, সরকারী মেডিকেল হইতে পড়িয়াছে। তবে ওয়েস্ট-টিনএ যাইতে আমজনতা মোখলেস ইতস্তত বোধকরায় পিজার কুটিরে দিন-ক্ষণ ঠিক হইল। কনের ভাই-ভাবী আসিয়া মোখলেসের সাথে আলাপে বেশ প্রসন্ন হইলো। কহিল, আগামীকাল্য কনেকে নিয়া আসিবেন। তো, পরের দিন অফিস হইতে আগেভাগে বাসায় আসিয়া, শেভ করিয়া, ফেসওয়াশ দিয়া মুখ ধুইয়া রেডী হইল। ভাবিল, গতকাল যেহেতু অফিস হইতে গিয়াছিলাম তাই শু, ফরমাল শার্ট-প্যান্ট পরা ছিলাম। আজ যেহেতু বাসা হইতে যাইতেছি, তো ক্যাজুয়ালভাবেই যাই...তারাও আমাকে দুইভাবে দেখিয়া লউক।
তো, সকলকে প্রসন্ন করিয়া বাসায় ফিরিতে না ফিরিতেই ঘটকের ফোন।"আপনি কি স্যান্ডেল পরিয়া গিয়াছিলেন নাকি?" মোখলেস কহে "স্যান্ডেল নহে, স্যান্ডেল শু...আমি দিল্লি হইতে আনিয়া ছিলাম, উটের চামড়া হইতে নির্মিত।" ঘটক বিরক্ত হইয়া কহে "আরে ধুর মশাই, সেটা তো স্যান্ডেলে লেখা ছিল না। কনে পক্ষ বলিয়াছে, যে ছেলে স্যান্ডেল পরিয়া কনে দর্শনে আসে, তাহার নিকট কোনভাবেই মেয়ে দেয়া সমীচিন হইবে না"।
শুনিয়া মোখলেস দীর্ঘশ্বাস ফেলে!
৭.
মোখলেসের ফুরফুরে ভাবটা বেশ কমিয়া আসিয়াছে। এমন সময় এক ঘটক খবর দিল "যদি রাজ্য সহ রাজকন্যা পাইতে চান তবে এই দিনে এই ক্ষণে গুয়েরশানের নাদুস-নুদুস এ চলিয়া আসেন"। ঘটক কর্তৃক প্রদত্ত হবু কনের বায়োডাটাখানি পড়িয়া বেশ ভলোই লাগিল মোখলেসের, সুদিন আসিতে বুঝি আর বেশী দেরী নাই। বঙ্গদেশের বিশিষ্ট শিল্পপতির মেয়ে। মেয়েও বেশ সেইরাম মনে হইল। মেয়ে এবং তার পরিবারের সকলেই আমেরিকান নাগরিক। জিআরই না কোপাইয়াও যে আমেরিকা যাওয়া যায় তা এইবার সকলকে দেখাইয়া দিবে। রাতের সুখস্বপ্নে নিজেকে নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে দেখিতে পাইলো। যথারীতি পূর্বনির্ধারিত দিন-ক্ষনে সে পিতামাতা সহকারে উপস্থিত হইল। এইবার আর আগের ভুল সে করে নাই। অর্ন্তজাল ঘাটিয়া গু-গোল হইতে সেমি ফরমাল ড্রেসকোড জানিয়া নিয়াছে। শু তো পড়িয়াছেই আবার সদ্যক্রয়কৃত একখানা পোলো টিশার্টও ইন করিয়া পড়িয়াছে। নিজেকে দেখিয়া নিজেই বেশ সন্তুষ্ট হইলো। এইবার আর বোকা হওয়া যাইবে না। এইবারও সকলকে প্রসন্ন করিয়া স্ব-গৃহে আসিল মোখলেস।
নাহ্...ফিরিতে না ফিরিতেই এইবার ঘটক ফোন দেয় নাই। যাক্, বাঁচা গেল। এইবার আর মিস নাই। কিন্তু...ঘটক তো আর ফোনই দেয় না। অবশেষে, মোখলেস নিজেই ফোন দিল। ঘটক বলিল "আপনার টি-শার্টের রং তাহাদের মনঃপুত হয় নাই। নিম্নরুচির কোন ছেলের কাছে তারা তাহদের একমাত্র কন্যা দিতে অপারগতা প্রকাশ করিয়াছে"।
শুনিয়া মোখলেস দীর্ঘশ্বাস ফেলে!
৮.
মোখলেসের ফুরফুরে ভাবটা বেশ কমিয়া আসিয়াছে। কনে দেখার আগ্রহও মৃতপ্রায়। এমন সময় ঘটক একখানা কনের ছবিসহ বায়োডাটা আনিল। তবে এইবারের মেয়েটা তেমন আহামরি কিছু নহে। সে বাসস্থলীর অর্থনীতিবিদ্যায় পড়িয়াছে। পিতাও আবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা। এইবার কনে দেখিতে রওনা দিবার পূর্বে আয়নার সামনে দাঁড়াইয়া বেশ ভালোভাবে নিজেকে পর্যবেক্ষণ করিল। নাহ...পায়ে ঠিকই শু আছে আর পরনে আছে ফুলহাতা অফিসিয়াল শার্ট। আপত্তি করার কোন কারন খুঁজিয়া পাইলো না মোখলেস। যথারীতি পূর্বনির্ধারিত দিন-ক্ষনে যথাস্থানে উপস্থিত হইল। কথাবার্তা বেশ ইতিবাচকভাবেই চলিল। কনেকেও বেশ সাধারণ ও স্বাভাবিক বলিয়া মনে হইলো।
এইবার মোখলেস টানেলের শেষে আলোকবিন্দু দেখিতে পাইলো। মনে মনে ভবিল, মেরা নাম্বার আ গ্যায়া। কিন্তু, দিন যায়, ঘটক আর রা-শব্দ করে না। কি ব্যাপার? ফোনে জানিতে চাহিল মোখলেস। "মেয়ের পাত্রকেই পছন্দ হয় নাই" কহিল ঘটক!
মোখলেস চুপ করিয়া শুনে আর দীর্ঘশ্বাস ফেলে!
৯.
মোখলেসের ফুরফুরে ভাবটা বেশ কমিয়া আসিয়াছে। কনে দেখার আগ্রহও মৃতপ্রায়। এমন সময় ঘটক একখানা কনের ছবিসহ বায়োডাটা আনিল। তা বেশ মনে ধরিল মেয়েটাকে। যেমন স্মার্ট, তেমনই দেখতে। যথারীতি পূর্বনির্ধারিত দিন-ক্ষনে যথাস্থানে উপস্থিত হইল। কথাবার্তা বেশ ইতিবাচকভাবেই চলিল।
দিন যায়, ঘটক আর রা-শব্দ করে না। কি ব্যাপার? ফোনে জানিতে চাহিল মোখলেস। "তাহারা মেয়ের বিবাহ এখন দিবেন না। পরে জানাইবেন।"
মোখলেস চুপ করিয়া শুনে আর দীর্ঘশ্বাস ফেলে!
১০.
মোখলেসের ফুরফুরে ভাবটা বেশ কমিয়া আসিয়াছে। কনে দেখার আগ্রহও মৃতপ্রায়। এমন সময় ঘটক একখানা কনের ছবিসহ বায়োডাটা আনিল। তা বেশ মনে ধরিল মেয়েটাকে। যেমন স্মার্ট, তেমনই দেখতে। নাহ...আবার সেই পূর্বের অভিজ্ঞতা স্মরণ করিয়া আগাইতে সাহস পাইলো না। কহিল "আমার বায়োডাটাখানি উহাদেরকে দিয়া তুরন্ত আমাকে সুসংবাদ দিন। দেখাদেখি পরে হইবে"।
দিন যায়, ঘটক আর রা করে না। কি ব্যাপার? ফোনে জানিতে চাহিল মোখলেস। "আপনার হাইটে প্রবলেম আছে। মেয়ের দীর্ঘাকায় ছেলে পছন্দ"।
শুনিয়া মোখলেস পুনরায় দীর্ঘশ্বাস ফেলে! তার সাড়ে পাঁচ ফুট হাইটের জন্য পিতামাতাকে অভিসম্পাত করিতে থাকে। কেন যে তাহাকে কমপ্ল্যান-বুস্ট না খাওয়াইয়া কেবল ভাত গিলাইয়াছে !?!
১১.
ক্ষণ যায়, দিন যায়...হঠাৎ একদা একখানা মায়াময় তরুনীর বায়োডাটা এক আত্মীয়ার মাধ্যমে মোখলেসের হাতে আসিল। সে ঘোষনা দিল "এই মেয়েকেই সে বিবাহ করিবে, তার পরিচয় যাই হউক না কেন, স্বভাব যেমনই হউক না কেন, পরিবার যেমনই হউক না কেন, দেশ যেথায়ই হউক না কেন"।
কিছুদিন পর আত্মীয়া ফোনে জানাইলো "তোমাকে দেখিয়া মেয়ের জামাই বলিয়া মনে ধরে নাই"।
শুনিয়া মোখলেস পুনরায় দীর্ঘশ্বাস ফেলে এবং মনে মনে মেয়েটাকে একটি কুৎসিত গালি দেয়।
পরিশিষ্টঃ
ইদানীং, বন্ধু-বান্ধবরা ভরা আসরে দেখিলেই বলিয়া ওঠে "ওহে, কবে বিবাহ করিবে? কেবল তেল বেচিয়া গেলেই কি হইবে? নিজের যন্ত্রেও মাঝে মধ্যে তো দিতে হইবে নচেৎ যন্ত্রে তো মরিচা ধরিয়া যাইবে হে!" শুনিয়া মোখলেস দাঁত খিচাইয়া তেড়িয়া যাইতে উদ্যত হয়। পরক্ষণেই নিজেকে সামলাইয়া লয়। বলা তো যায় না এখানেও তার সেই হবু কনে থাকিতে পারে। তাই বহু কষ্টে রাগ সামলাইয়া হাসি মুখে গুনগুন করিয়া গান ধরে "কাভি কাভি মেরে দিল মে খেয়াল আতা হ্যায়...!"