একটা রূপক গল্প [ভালোবাসার গন্তব্য]
পৃথিবীর এক প্রান্তে এক দ্বীপ ছিলো। দ্বীপ বলেই তার চারদিকে ছিলো শুধু সাগর আর সেই সাগরের পানি। সেই দ্বীপে সব রকমের অ্যাবসট্রাক্ট বিষয় পাশাপাশি বাস করতো, যেমন- 'সুখ', 'দুঃখ', 'প্রাচুর্য', 'জ্ঞান', 'সৌন্দর্য', 'ভালোবাসা' ........ ইত্যাদি। একদিন তারা সবাই 'জ্ঞান'-এর কাছে জানতে পারলো যে, এই দ্বীপ খুব দ্রুত পানির নিচে ডুবে যাবে। সবাই যার যার নৌকা নিয়ে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে দ্বীপ ছেড়ে। শুধুমাত্র 'ভালোবাসা' দ্বীপে থেকে যেতে চায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। যখন সাগরের পানির নিচে দ্বীপটি প্রায় ডুবে যাচ্ছে তখন 'ভালোবাসা' সিদ্ধান্ত নিলো তাকে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য এখনই দ্বীপ ছেড়ে চলে যেতে হবে। সে তখন আশেপাশে সাহায্যের জন্য অন্যদেরকে খুঁজতে লাগলো।
এমন সময় 'ভালোবাসা' দেখতে পেলো যে, 'প্রাচুর্য' তার নৌকা নিয়ে যাচ্ছে। 'ভালোবাসা' তখন 'প্রাচুর্য'-কে বললো, "তুমি কি আমাকে তোমার নৌকায় একটু আশ্রয় দিবে?" 'প্রাচুর্য' উত্তর দিলো, "সরি, আমার নৌকা সোনা-রূপা দিয়ে ভরা। এখানে তোমার জন্য একটুকুও জায়গা নেই।"
এমন সময় 'সৌন্দর্য' খুব সুন্দর দেখে একটা নৌকা চালিয়ে পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো। ভালোবাসা তখন 'সৌন্দর্য'-কে বললো, "সৌন্দর্য, তুমি আমাকে একটু সাহায্য করো প্লিজ।" 'সৌন্দর্য' উত্তর দিলো, "না, আমি তোমাকে আমার সুন্দর নৌকায় নিতে পারবো না, তুমি পানিতে ভিজে একাকার, তুমি উঠলে আমার সুন্দর নৌকা নোংরা হয়ে যাবে।"
এরপর 'ভালোবাসা' দেখতে পেলো 'দুঃখ' তার পাশ দিয়ে যাচ্ছে। ভালোবাসা তখন 'দুঃখ'-কে বললো, "দুঃখ, তোমার সাথে আমাকে একটু নিয়ে যাও প্লিজ।" দুঃখ উত্তর দিলো, "আমি সত্যিই দুঃখিত, 'ভালোবাসা'। আমার মন খুব খারাপ। আমার এখন একা থাকতে ইচ্ছা করছে। তুমি বরং 'সুখ'-কে বলে দেখতে পারো।"
'সুখ'-কে পাশের নৌকায় দেখতে পেয়ে ভালোবাসা চিত্কার দিয়ে বললো, "সুখ, আমাকে বাঁচাও।" 'সুখ' তখন মহাসুখে গান গাইতে গাইতে যাচ্ছে। ফলে সে আনন্দের চোটে 'ভালোবাসা'-র ডাক শুনতেই পেলো না।
'ভালোবাসা' তখন আর কোন উপায় না দেখে কান্না শুরু করলো। এমন সময় সে শুনতে পেলো যে, কে যেন তাকে ডাকছে, "তুমি আমার নৌকায় চলে এসো 'ভালোবাসা', তুমি যেখানে যেতে চাও, আমি তোমাকে সেখানে নিয়ে যাবো।" 'ভালোবাসা' তখন তার নৌকায় উঠে বসলো। 'ভালোবাসা' চিনতে পারলো না যে, আসলে কে তাকে সাহায্য করছে।
পরে সে 'ভালোবাসা'-কে সুন্দর দেখে আর একটা দ্বীপে নামিয়ে দিলো। 'ভালোবাসা' সেই দ্বীপে দেখতে পেলো 'অভিজ্ঞতা'-কে। ভালোবাসা তখন 'অভিজ্ঞতা'-কে জিজ্ঞাসা করলো, "কে আমাকে সাহায্য করেছে?" 'অভিজ্ঞতা' তার ঝুলি থেকে উত্তর দিলো, "সময় তোমাকে সাহায্য করেছে।" 'ভালোবাসা' তখন আবার প্রশ্ন করলো, "শুধু 'সময়'-ই কেন আমাকে সাহায্য করলো?" 'অভিজ্ঞতা' তখন মৃদু হেসে বললো, "কারণ একমাত্র 'সময়'-ই জানে 'ভালোবাসা'-র কতটা মূল্য। 'সময়'-ই 'ভালোবাসা'-র গন্তব্য ঠিক করে দেয়।"
এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা ............
স্বাধীনতার ঘোষক কে?
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ১৯৫৭ সালের কাগমারী সম্মেলনে "আসসালামুয়ালাইকুম" বলে পাকিস্তানকে বিদায় জানানোর ঘটনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। তিনি তখন পূর্ব বাংলার জনগণের অধিকার, ভাষা, ও স্বাধীনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন
সেলিম অনোয়ারের ব্যান নিয়ে আপনি কিছু বলছেন না কেন?
এই ব্লগে কাকে ব্যান, সেমিব্যান, কমেন্ট ব্যান করলে আপনি খুশী হয়ে থাকেন? চাঁদগাজী/সোনাগাজীকে নিশ্চয়ই; এটা ভালো! চাঁদগাজী/সোনাগাজী "ব্যক্তি আক্রমণ" করে থাকে। সেলিম আনোয়ার কি আক্রমণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
ষড়যন্ত্র করে অন্য দেশের সাহায্য নেয়া আওয়ামীলীগের পুরানো অভ্যাস
বহুদিন পর্যন্ত এই দেশের লোক জানতো যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা মিথ্যা ছিল। জনগণের ধারণা ছিল শেখ সাহেবকে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে পাকিস্তানের শাসকরা এই মামলা সাজিয়ে ছিল। কিন্তু বেশ কয়েক... ...বাকিটুকু পড়ুন
খুনির মুখে ইতিহাস শিক্ষা ও অধঃপতিত মানস
বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি মেজর শরিফুল হক ডালিমকে প্রকাশ্যে এনেছেন আলোচিত ফেসবুক-সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন। গত রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে ইলিয়াস ‘বিশেষ লাইভে যুক্ত আছেন বীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
আবার আসিবো ফিরে.....
আবার আসিবো ফিরে.....
যেখানে গেলে অনেকদূর অব্দি মাঠ দেখা যায়, কচি রোদের তাপে পুড়িয়ে নেওয়া যায় পিঠ। রাতের আলো আঁধারিতে সমস্ত কোলাহল সরিয়ে রেখে খোলা যায়গায় দাঁড়িয়ে নিঃশ্বাস বন্ধ করলেই পোকাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন