'মা'-এর জন্য গল্প ............
প্রায় আট ঘন্টা আগে বাবার জন্য একটা ছোট্ট গল্প পোষ্ট করেছিলাম। আপনাদের দেওয়া রেটিং ও কমেন্ট দেখে পোষ্ট-টা করা সার্থক মনে হয়েছে। এজন্য মন থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের। তার ফলশ্রুতিতে এবার আর একটা ছোট্ট গল্প পোষ্ট করতে যাচ্ছি। এবারের গল্পটা অবশ্য 'মা'-এর জন্য। গল্প শুরু করার আগে একটা কথা, যারা বাবার জন্য লেখা গল্পটা মিস করেছেন তারা যদি গল্পটা পড়তে ইচ্ছুক হন তবে নিচের লিংক-এ ক্লিক করুন।
এই গল্পটা শুধুমাত্র 'বাবা'-দের জন্য ............
আগের গল্পের মতো এই গল্পেও স্থান বিষয়টা সম্পূর্ণ আপেক্ষিক। হতে পারে গল্পটা অ্যামেরিকার, অথবা অস্ট্রেলিয়ার, আবার হতে পারে গল্পটা আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের। তবে এক্সাক্ট পজিশন অনুযায়ী গল্পের খাতিরে ধরে নেই একটা 'ফ্লাওয়ার শপ' থেকে এই গল্পটার শুরু।
গল্পটার শুরু এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তিকে দিয়ে। ধরা যাক, তার নাম 'জন'। তার বয়স ২০-ও হতে পারে আবার ৩০-ও হতে পারে। জন এখন লং ড্রাইভ করে বাড়ি ফিরছে। ধরা যাক, এখন বাসা থেকে জনের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার আর তার বাসায় এক 'মা' ছাড়া আর কেউ নেই। রাস্তার পাশে একটা "ফ্লাওয়ার শপ" দেখে জন তার গাড়ি থামালো। তার মায়ের জন্য কিছু ফুল নিয়ে যাওয়া দরকার।
ফ্লাওয়ার শপে কিছু রজনীগন্ধা ফুল কেনার সময় জন দেখতে পেল শপ-এর দরজার সামনে একটা ৭-৮ বছরের পিচ্চি মেয়ে মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে। জন তার কাছে গিয়ে বললো,
- "বাবু, কি নাম তোমার? মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছো কেন?"
---"আমার নাম জেনী। আমি আমার মায়ের জন্য একটা গোলাপ কিনতে এসেছিলাম। এখানে একটা গোলাপের দাম ২ ডলার করে। কিন্তু আমার কাছে মাত্র ১ ডলার ২৫ সেন্ট আছে।"
- "এটা কোন সমস্যা না। তুমি আমার সাথে এসো। আমি তোমাকে একটা গোলাপ কিনে দিচ্ছি।"
এরপর জন জেনীকে একটা গোলাপ কিনে দিলো আর তার নিজের মায়ের জন্য ৫ টা রজনীগন্ধা ফুলের স্টিক কিনলো। চলে যাওয়ার সময় জন জেনীকে বললো, "চলো বাবু, তোমাকে আমি তোমার বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দেই।" জেনী মাথা নেড়ে সম্মতি জানিয়ে বললো, "হ্যাঁ, তুমি আমাকে আমার মায়ের কাছে পৌঁছিয়ে দাও, প্লিজ।"
জন জেনীকে নিয়ে তার গাড়িতে উঠলো। জন গাড়ি চালাচ্ছে আর জেনী জনকে রাস্তা দেখাচ্ছে। এভাবে রাস্তা দেখাতে দেখাতে জেনী জনকে একটা গ্রেভ-ইয়ার্ড এর সামনে নিয়ে এলো। গাড়ি থামানোর সাথে সাথে জেনী গাড়ি থেকে নেমে এক দৌড়ে নতুন বানানো একটা কবর-এর কাছে গেলো। জেনী তার লাল রংগের গোলাপটা কবরের একপাশে রাখলো আর চুপচাপ কবরের পাশে বসে থাকলো।
অবাক বিস্ময়ে পুরো ঘটনাটাই দেখতে পেলো জন। সাথে সাথে গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে আবার ফ্লাওয়ার শপের দিকে গেলো সে। জনের মনে হলো, তার এখন মায়ের জন্য ফ্লাওয়ার শপ-এর সবচেয়ে বড় ফুলের ঝুড়িটা কেনা দরকার।


মুহাম্মদ ইউনূসকে একঘরে করে দিন
জুলাই ষড়যন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। গত বছরের জুলাইয়ের মেটিকুলাস ডিজাইনড প্ল্যানে দেশবিরোধী যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, সেটার অপমৃত্যু ঘটতে যাচ্ছে। দখলদার ইউনূস সরকার প্রবল চাপে পড়েছে। এখন তাদের সব কূল... ...বাকিটুকু পড়ুন
নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না : ড. ইউনূসের মনে কেন এমন আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে ?
দৈনিক সমকাল থেকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর বরাতে আমরা জানতে পারি —প্রশাসন, পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের ওপর সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই—নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে এক গভীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার নাই
একটা পোস্ট দেখে লেখার সাধ জাগলো। যা নিয়ে লিখবো তা আমার নেই।
আমার দাদা-দাদি, নানা-নানি কেউ নেই। বাবা মা যখন ছোট ছিলেন তখনই তারা পরপারে উড়াল দিয়েছেন। বাবার বয়স যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজনৈতিক সংকটে বিএনপি খেলছে পিছনে থেকে, কিনতু কেন?
রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্বশীলতা শুধুমাত্র রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ এখনও ক্ষমতায় থাকত। রাজনীতি গড়ে উঠে গণমানুষের পারসেপসনের উপর ভিত্তি করে। প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিএনপির বৈঠকের পর... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি ই সঠিক
কিছু মানুষ পুরোপুরি ভুল ধারণার উপর ভিত্তি করে বাঁচে। তারা বারবার যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে চায় যে, তাদের কথাই একমাত্র সত্য। এই প্রক্রিয়াটি এক ধরনের লজিক্যাল ফ্যালাসি বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন