রাতজাগা লক্ষীপেঁচার নতুন কোন কম্পোজিশন ভাসছিল বৈদ্যুতিক তারে তারে-
তোমাদের শহরে তখনও সাঝবাতি জ্বলে নি,
এটাও হতে পারে যে ওখানে আলোর কার্ফু চলছে,
কিংবা নগরীর সবরঙের আলোরা চোখ নিভিয়ে প্রার্থনারত-
আবার খানিক আগেই কিশোরী আকাশ রাতে ঘুমোতে যাবার প্রস্তুতি হিসেবে
যতরকম রঙের শাড়ি চড়িয়েছিল গায়ে,
আলো আঁধারে লাজুক ড্রেসিং টেবিলের সামনে-
তার মোহ হয়ত কাটিয়ে উঠতে পারেনি সাঝের ছোকড়া ল্যাম্পপোস্টগুলো,
শহর থেকে দূরে, গহীনে, হরেক রকম অন্ধকারের মেলা যেখানে
কোন এক নতুন জেগে ওঠা চরে-
চাবুক হাতে দাঁড়িয়ে আছে আলো তাড়ানো হারিকেন,
তার চোখে ঈর্ষা জাগানো শহরের এই খানিক রঙিন অন্ধকার।
এইদিকে সুযোগসন্ধানী প্রেমিক-প্রেমিকাদের হুডতোলা রিকশাটা কেঁপে ওঠে-
সুনসান পার্কে প্রহরীর বাশি শুঁনে সংযত হয় উড়তে চাওয়া ওড়না
রাতকানা মুদি দোকানীর হাতে একটা ছেঁড়া বিশ টাকার নোট চালিয়ে দিয়ে-
শিষ বাজায় নেশা চড়ানো কোন ঠকবাজ,
নীড়ে যেতে যেতে ইচ্ছে করেই যেন আরও একটু ডানা ওড়ায় পাখিরা।
তুমি আর আমি, এইবেলা আড়াল হই,
উঁচু পাঁচিলের গা ঘেষে দাঁড়াই কিংবা বসি,
তৃষ্ণার্ত আঙ্গুলের হাতকড়া খুলে দেই, আলো জ্বালি কিছু-
আঁধারে ডুবে থাকা শহরের সব আলো আমাদের হয়ে যায়,
তুমি আমি, এইবেলা আড়ালে হাত ছুঁই, আলো দেখি, কন্ঠ মেলাই ঝিঁঝিঁদের গানে-
বিগত দিন, আসন্ন রাত্ আর থেমে থাকা গোধূলী আমাদের হয়ে যায়।
২৩/০৮/১৩