ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে সবাই হয়তো পছন্দ করে। জব্বার কাগু কেবলমাত্র ইউনিবিজয়কে অভ্রতে যোগ করাতে যেসব হ্যাকিং, পাইরেসি, ট্রেডমার্ক, কপিরাইট, প্যাটেন্ট, সাইট হ্যাকিং ইত্যাদি অভিযোগ করে শেষে লেজ গুটালেন। এই ঘোলা পানিতে শাহ আসাদুজ্জামান, মু আ হাকিম নিউটন এবং জিয়া (শাব্দিক নামক আরেকটি সফটওয়্যারের সত্ত্বাধিকারি) আরেক প্রোপাগান্ডা করে যাচ্ছেন অভ্র নাকি মোটেই অনবদ্য নয়। এটি নাকি পুরোই আইডিয়া চোরের কাজ। কোনো ইনোভেশন নেই এতে। মেহেদী শাব্দিকের আইডিয়া মেরে দিয়ে সব করেছেন। মু আ হাকিম নিউটন এটিই প্রমান করতে চাচ্ছেন তার সাম্প্রতিক পোস্টগুলোতে। Click This Link
প্রশ্ন হচ্ছে এতোদিন কোথায় ছিলেন? লোভী, চোর, জোচ্চোর, ছ্যাচ্চোর, বাটপার হলে মেহেদী নির্বাচন কমিশন থেকে ৫০টা হাজার টাকা নিয়ে আসতে পারতোনা? কেউ কিছু কইতো? আপনাদের ভাষায় যার ইনোভেশন জানা নাই (আপনারাই সব ইনোভেশনের প্যাটেন্টেড ওউনার), সে কি করে লোভ সামলালো?
আপনাদের শাব্দিক তো আগে পয়সা দিয়ে কিনতে হতো। পরে বিনামূলে্যর করেছেন। আপনাদেরটির নাম কয়জন জানে? এই সেদিনের ছেলে সিউল রায়হানও নতুন একটি কীবোর্ড তৈরি করে সবাইকে আহ্বান করেছে সেটি পরীক্ষা করে দেখতে। আপনারা অন্তত তার দেখাদেখি ব্লগে একটা পোস্ট দিয়ে আহ্বান করতেন আপনাদের অ্যালগরিদম বিশ্বসেরা। সিউল তো দাবী করছে তার অ্যালগরিদম গুগলের চেয়েও ফাস্ট।
মূলকথা হচ্ছে আপনারা মুনাফালোভী। তাই আপনার বন্ধু শাহ আসাদুজ্জামান(সচলায়তনে ক্রমাগতভাবে অভব্যভাবে মন্তব্য রেখে ট্রল হিসেবে ব্যানড) এবং আপনি ভাবতেই পারছেন না অভ্র মুনাফা চায়না। অমিক্রনল্যাব একটি প্রতিষ্ঠান নয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংঘ মাত্র। অভ্র কখনোই দাম দিয়ে কাউকে কিনতে হয়নি এটি শুরু থেকেই ফ্রি ছিলো।
আপনার লেখায় শিফট কী দু'বার চাপার বিষয়টি ইনোভেশন উল্লেখ করেছেন কিন্তু ব্যাপারটি তো ৯৬/৯৭ সালেই উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের 'এক্সেসিবিলিটি' এর অন্তর্গত ছিলো স্টিকি কী এর আদলে। স্টিকি কী এর আইডিয়াটি শাব্দিক টীম তাহলে মেরে দেয়নি? স্টিকি কী এর সাথে এর কোলিশনও হবার কথা।
দুটো ফিচারের কথা বলেই কাগুর সাথে এক হয়ে অভ্রের উপর চেপে বসতে চাইছেন? এখন বলছেন ইউনিবিজয় বিজয়ের কপি। হ্যাঁ কপি এটি বিজয়ের ইউনিকোড রূপান্তর মাত্র। জব্বার কাগু তো ন্যাশনাল থেকে শুরু করে অন্যান্য সফটওয়্যারে যুক্ত সরাসরি 'বিজয়' নামের লেআউটের বিরুদ্ধে টু শব্দটি করেননি। কারণ তার ৫কোটি টাকা এবং সেই সাথে ভবিষ্যতের আয়ের সম্ভাবনা বন্ধ হবার খলনায়ক 'অভ্র'।
NJ বাটনটি জব্বার কাগু বলেছেন কোনো দরকার নেই বাংলাতে। কিন্তু ওটা নন-জয়েনার হওয়াতে অনেক সময়ই যুক্তাক্ষর দরকার নেই এমন ক্ষেত্রে ওটির দরকার। কাগু তো এমনকি ও-কার এবং ঔ-কার কেও বাংলায় অত্যন্ত অল্প ব্যবহৃত বলেছেন। কারণ???? কারণ হলো ইউনিজয়ে ওখানেই কিছু ইনোভেশন করা হয়েছে জনাব!!
এ-কার, ক এর বদলে ক, এ-কার = কে
এ-কার, ক, ও-কার এর বদলে ক, ও-কার = কো
অথচ জব্বার কাগু তা অস্বীকার করতে চাইছেন।