চলতে ফিরতে দেখা ০১
১) জীবনে প্যারার কোন শেষ নেই। অামাদের বসের বেতন বাড়ছে না। তাই অামি স্যারের কাছে কায়দা করে বোঝাইতে গেছি। অার অমনি ফান্দে পড়ে গেছি। বিষয়টা এমন যার জন্য করি চুরি সেই বলে চোর চোর। বসের জন্য শুপারিশ করতে গিয়ে বস ভাবছে অামি তাকে ক্ষতির চেষ্টা করছি। অমনি বিভিন্ন ভাবে অামাকে ঝামেলাই ফেলাচ্ছে।
২) অামার কলিগ অার অামি একই ধরনের সমস্যাই পড়েছিলাম কয়দিন অাগে। ঘটনাটা এমন ছিলোঃ ২টা মহিলা এসে দাঁড়ালো। বিভিন্ন সমসার কথা বলছে। এমন ভাবে ধরেছে যে দাবি মানতেই হবে, যা হোক এক ফাঁকে কটা টাকা দেওয়া হলো। টাকা নিয়ে বলছে স্যার অামার টাকা গুলো একটু নোট করে দেন। টাকা নিয়ে পরে দেখা যাচ্ছে টাকা গুলা পুড়া। তাহলে মানুষ মানুষকে কিভাবে বিশ্বাস করবে। একদিকে টাকা সাহায্য নিচ্ছে অাবার অন্যদিকে নষ্ট টাকা দিচ্ছে। মানুষ দিনে দিনে কোথায় যাচ্ছে। কেও বা রিয়েল কথা বলে অাবার কেওবা করে অভিনয়। সরকার বা সিটিকর্পরেশন নতুন নতুন নিয়ম করেই খালাশ। কোন অাইনের বাস্তবায়ন নেই। এসব কেও দেখেনা। অামার মনে হয় এদের সিন্ডিকেট অাছে।
৩) সেদিন একটা বিষয় দেখে খুব খারাপ লাগলো একটা বাচ্চা লেগুনাই হেলফারি করছে। বাচ্চাটার বয়স সর্বোচ্চ ২/৩ বছর হবে। একটা ছবি দিলে বুঝতে সুবিধা হতো। তখন খুব খারাপ লাগছিলো। অামারা নিজেদের কে সভ্য দাবি করি, বলি অামরা অাধুনিক, অল্ট্রা অাধুনিক। বাস্তবতা হলো অামাদের মধ্যে কোন মানবিকতাই নেই। হায়রে অামার দেশ। এজন্য তুমি স্বাধীন হয়েছো...
৪) এলাকায় রাস্তা হচ্ছে ৩ বছর ধরে। অান্তঃজেলা সড়ক। যে ভাবে রাস্তা হচ্ছে তাতে অনুমান করলাম কমপক্ষে ২৫ বছর রাস্তা রিপেয়ার করা লাগবেনা হয়তো। ৫ইন্চি পুরু রাস্তা বেশ মজবুত। কদিন পরে দেখি তাও উঠে যাচ্ছে। ৩০ কিলোমিটার রাস্তা ৩ বছর রানিং চলছে, অাজ ও শেষ হয়নি। অথচ রাস্ত এক পার্শ্ব থেকে উঠে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী একটি নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন "শহরের গলি রাস্তা গুলো সিমেন্ট পাথরের হবে"। উদ্যোগ ভালো কিন্তু যারা কাজ করছেন তারা যদি ভালো না হন তবে কেমন হবে? হ্যাঁ, তাই হয়েছে এতো দিন পিজ বা বিটুমিনের পরিবর্তে কেরোসিন তেল ও পুড়া মবিল ব্যবহার করেছে অার এখন ৫ বস্তা সিমেন্টের যায়গায় ২ বস্তা লাগাচ্ছে। অাইন যতোই করেন যারা অাইন বাস্তবায়ন করবে তারা যদি সৎ না হয় তবে পরিবর্তন হবে কি ভাবে?
৫) সৈয়দ মুজতবা অালি'র লেখা বিলেতের ৩৬৫ দিন (নাম ঠিক মনে পড়ছে না)। মুজতবা অালি একটা হোটেলে উঠেছেন। সেই হোটেল সংস্কার কাজ করছে এক মিস্ত্রী। তখন উনি তাকে বলছেন:
: অাচ্ছা তুমি তো সারাদিন কাজ করেই যাচ্ছো একটু বিশ্রাম নিবে না। তোমার মালিকতো দেখছে না।
: (শ্রমিক) কেন বসবো? অামিতো অামার কাজে জন্য পারিশ্রমিক পাচ্ছিই। মালিক দেখুক অার নাই দেখুক অামাকে অামার দ্বায়িত্ব যথাযথো ভাবে পালন করতে হবে।
জাতিগত ভাবে ইংরেজরা অনেক দ্বায়িত্ব সচেতন। অার অামাদের পরিচয় অামাদের কাজ দেখলেই পাওয়া যাচ্ছে। ইংরেজরা হার্ডিংজ লোহার সেতু তৈরী করেছে, ১০০ বছর পূর্তী হচ্ছে। অামরা যমুনা সেতু করেছি মাঝে মাঝেই ফেটে যায়। বাংলাদেশে বেশ কিছু লোহার সেতু হয়েছে, যার অনেক গুলা ভেঙ্গে পড়ে গেছে ফ্লাইঅভার করলে ভেঙ্গে যায়। সাদ তৈরীরে বাঁশ ঢুকাই। রাস্তা করলে বিটুমিনের পরিবর্তে পোড়া মবিল ঢুকাই। তবে দেশ কি ভাবে ভালো হবে???
অর্থ এমন একটা জিনিস, যতো হাতে অাসে ততো পেতে মন চাই। সৎ ভাবে অল্পো খেয়েও অনেকে সুখে অাছে। তারাও বাংলাদেশি। অাবার অনেক পিওন কোটি টাকার মালিক।
অাশা করি অামরা অামাদের দ্বায়িত্বের ব্যপারে সচেতন হবো।
এগিয়ে যাবে দেশ।
হবে সোনার বাংলাদেশ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২২