অামাদের বর্তমান শিক্ষা ববস্থা দেখলে বড় কষ্ট লাগে। অামারা কি শিখছি। অার কি চাকুরি করছি।
ব্যাংকের চাকুরিতে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করা হচ্ছে। কি দরকার তবে এতোটাকা সরকারের খরচ করা??? বুয়েট থেকে পড়ে INO, SP, DC ইতাদি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনো শেষ করে হা হা কার করছে। সরকারকে অবশ্যই ·গুলো দেখতে হবে।
অামাদের ছেলেদের মেধা অাছে। দরকার কাজে লাগানো।
কিভাবে ছেলেরা শিখবে? যাও কিছু প্রতি।ষ্ঠানে প্রাকটিক্যাল বাবদ বিজ্ঞানের ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ অাসে। শিক্ষকরা মেরে দেন
শিক্ষা মন্ত্রী লক্ষ লক্ষ বেকার বসে বসে কি করবে??? চাকুরি দিন। কর্ম ক্ষেত্র সৃষ্টি করুন। এসব শিক্ষা ব্যাবস্থাদিয়ে দেশকে উন্নত করা সম্ভব নয়য।উদ্ভট নিয়ম চালু করেও লাভ হবে না।
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কারিগরি। শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত করেনিন।
চীনের একটি ঘটনাঃ
চীনে দিন দিন বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা বাড়ছে। আর এই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে তরুণরা। দেশটিতে প্রতি পাঁচ দিনে গড়ে একজন করে বিলিওনিয়ার হচ্ছে (এক বিলিয়ন ডলার=৮০০০ কোটি টাকা)।
বিপ্লবের পর চীন অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য প্রায় ১২ বছর তাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়েভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিলো। চীন সরকারের বক্তব্য ছিল, এত ছেলেমেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে কি করবে? কোথায় চাকরি পাবে? কেই বা চাকরী দিবে? এত হাজার হাজার বেকারকে চাকরী দেয়ার মত প্রতিষ্ঠান চীনে নেই।
এই সময়টায় চীন ছাত্রছাত্রীদের আধুনিক প্রশিক্ষন দিয়েছিল নানা ধরনের ট্রেড কোর্সে। স্বল্প মেয়াদী ট্রেড কোর্স শিখে চীনের ছেলেমেয়েরা স্বাবলম্বী হয়ে গেলো। প্রতিটি বাড়ি গড়ে উঠল এক একটা করে ছোট ছোট কারখানায়। পরিবারের সবাই সেখানে কাজ করে। বড় ফ্যাক্টরী করার আলাদা খরচ নেই। ফলে পন্যের উৎপাদন খরচ গেলো কমে। বর্তমানে যে কোন পন্য স্বস্তায় উৎপাদন করার সক্ষমতায় তাদের ধারে কাছে কেউ নেই। পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলে চাইনিজ পন্যের প্রসার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে তারা হয়ে উঠেছে বিশ্ব বানিজ্যের এক অপ্রতিরোধ্য পরাশক্তি। উপযুক্ত মুল্য দিলে তারা এমন জিনিস বানিয়ে দেবে যার গ্যারান্টি চাইলে ১০০ বছরও দিতে পারবে।
গত সেপ্টেম্বরে চীনের টেক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে এক বৈঠকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং উদ্যোক্তা ও নতুন নতুন আবিষ্কার করাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহবান জানিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
লি বলেছে, ‘কলেজ পাশ করা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সকলের প্রতি সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হয়। কে দেশের কোন অঞ্চল থেকে এসেছে, তা বিবেচনা করা হয় না।'
সরকারের এমন অবস্থান নিঃসন্দেহে চীনের তরুণ উদ্যোক্তাদের দ্রুততম সময়ে বিলিওনিয়ার হতে সাহায্য করছে।
চীনের এসব বিলিয়নিয়ারদের মধ্যে টেকনোলজি সেক্টর থেকে এসেছে ১৯ শতাংশ, কনজ্যুমার এন্ড রিটেইল থেকে ১৫ শতাংশ এবং রিয়েল এস্টেট থেকে এসেছে ১৫ শতাংশ। চীনে ই-কমার্স এক অভ্যুত্থানের সৃষ্টি করেছে। মোটকথা চীনের নগরায়ণ ও ভোক্তা বৃদ্ধি পাওয়াতে সেখানে ব্যবসার দ্রুত প্রসার ঘটছে।
বাংলাদেশেও সিমফোনি, ওয়ালটনসহ বহু প্রতিষ্ঠান এই চায়নার বদৌলতেই কিছু করে খাচ্ছে। আমাদের উচিত চীনের মত একটা পদক্ষেপ নেয়া। চাকরী করে দেশের উন্নতি হয় না, আমাদের উদ্যোক্তা প্রয়োজন। চাই শিক্ষা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন, গুরুত্ব দেয়া উচিত কর্মমুখী শিক্ষায়। সরকার একটু সচেতন হলেই খুব অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই আমরা এই দেশের চেহারা পালটে দিতে পারি। কারণ জাতি হিসাবে আমরা বুদ্ধিমান ও পরিশ্রমী।
তথ্য সূত্র : ইউবিএস (ব্যাংক) এবং পিডব্লিউসি'র ২০১৫ সালের ‘বার্ষিক বিলিয়নিয়ার প্রতিবেদন।
চিত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্য
একনজরে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ
১) প্রাথমিক বিদ্যালয় -৬৩৬০১
২) মাধ্যমিক বিদালয়- ১৯৬৮৪
৩) কলেজ - ৩৯৮৫
৪) বিশ্ববিদ্যালয় -- ১২০ ( সরকারি- ৩৭, বেসরকারি -৮৩) [২০১৫ সালের তথ্য সুত্র]
৫) কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান - ৭৯২৫
৬)মাদ্রাসাঃ
ক)অালিয়া মাদ্রাসাঃ ২০২৮৫
খ) কওমি মাদ্রাসাঃ ১৩৯০২
একটা গল্পো শেয়ার করিঃ অামাদের বাসায় কাজ চলছিলো। বিল্ডিংয়ের কাজ। তো এক মিস্ত্রি বেশ গর্বো করে গল্পো করছিলো। ঘটনাটা বেশ অাগের। তার মেয়ের গল্পো। তার মেয়ে সব সাবজেক্টে ৯৮ এর উপরে নাম্বার পেয়েছে। কথাটা অাসলেই গর্বো করে বলার মতো। গরিব মানুষ, কষ্ট করে সন্তানকে পড়াচ্ছে। ভালোরেজাল্ট করলেতো অবিভাবকের বেশ খুশি হওয়ারই কথা। তবে কথা এখানেই শেষ নয়, অামার ছোট ভায়ের কাছ থেকে জানতে পারলাম ঐ রকম ৯৮ অাপ মার্কস পেয়েছে ১০ জন। ক্লাস হচ্ছে Class ২. এখানেই শেষ নয় ১৭ বছরে ইংরেজী শেখানো হয় অথচ একজন শিক্ষার্থী ভালো করে ইংরেজী বলতে ও লিখতে পারে না। অনেক কোচিং ইংরেজীতে পাশ করার কৌশল শিখিয়ে থাকে। দেখা যায় Golden ৫ পাওয়ার পরেও অামাদের ছেলেরা ভর্তি পরিক্ষায় ইংরেজিতে ফেল করে। অামাদের মেধা এমন নয় যে অামাদের ছেলেরা ফেল করবে।
সমস্যা কোথায়? সমস্যাটা অামাদের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রধানত। এধরনের খেচুড়ি মার্কা শিক্ষা ব্যবস্থা চললে দেশ ও জাতির কখনো কোন উন্নতি সম্ভব নয়।
সর্বপরি এ জাতির সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ হলো রাজনীতি বিদদের অদূরদর্শীতা।
হাজারও সমস্যার ভীড়ে যা কিছু সম্ভাববনা অাছে তারমাঝে অন্যতম হলো অামাদের অাছে বিশাল জন সম্পদ। তবে অদক্ষ বেশি। এই সম্পদকে যদি অামরা কাজে লাগাইতে পারি। তবে দেশ উন্নতির শিখরে পৌছবে তাতে কোন ভুল নেই। এজন্য কারিগরি শিক্ষার কোন বিকল্পো নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০