চলতে ফিরতে অনেক ঘটনায় ঘটে অামাদের জীবনে। তেমনই কিছু কথা অাজ শেয়ার করার চেষ্টা করছি।
১) রাজবাড়ি থেকে কুষ্টিয়া ফেরার পথে। গোয়ালন্দ স্টেশনে অাসলাম। এক পুলিশ ডাকলো। ভাবছি হয়তো ব্যাগ চেক করবে। কাছে গিয়ে দেখি ধারনা ভুল।
বলে কোথাই যাবে? বললাম কুষ্টিয়া। অামাকে একটা রুম দেখিয়ে দিলো। বললো এখানে বসো। অামি বললাম, অাচ্ছা ঠিক অাছে একটু পরে অাসছি। এর মধ্যে টিটির সাথে দেখা বলছে কোথাই যাবে? অামি বললাম কুষ্টিয়া। তখন বলছে ৯০ টাকা ভাড়া হয় ৭০ দাও। সাথে একটা দালাল ছিলো, তার বিশেষ সুপারিশে অারো ১০ টাকা কমাতে রাজি হলো।অামি বললাম অাচ্ছা পরে অাসছি।
ফ্রেস হয়লাম,নাস্তা করলাম, অামার সাথে ২ জনের পরিচয় হলো।ওদের কেও অফার করা হয়েছে। অামি বললাম টাকা অামি ওদের হাতে দিচ্ছি না। যা যায় সরকারি খাতে দিবো, টিকেট নিবো।
টিকেট কাউন্টারে গেলাম। ১০০ টাকা নিলো। টিকেট পকেটে রাখলাম। কি মনে হলো বের করলাম। দেখি ৮৭ টাকা লেখা। পরে কম্পিলেন করলে বলছে কেটে লিখে দিয়েছি। সেখানে ৯৭ টাকা লিখা। কিন্তু নিয়েছে ১০০ টাকা। ৩ টাকা ফেরত দেয়নি। উত্তর পেয়ে অামি চলা শুরু করলাম ...
এখানে অামি চেষ্ট করলে ৫০/৬০ টাকায় যেতে পারতাম। কিন্তু টিকেট কাটায় ৮৭ টাকার ভাড়া ১০০ দিতে হলো।অার টিটির কাছে বোকা সাজলাম। অনেক কেই অামার সামনে এমন করতে দেখেছি।
হায়রে সোনার দেশ অামার...
২) পরে মনে হলো এদেরতো দোষ নেই। একটা ঝাড়ু দারের চাকুরিতেও ১০-১২ লক্ষ টাকা লাকছে। এদেরও তো টাকা উসুল করার দরকার।
৩) খালাতো ভাই সিংগাপুর থেকে কিছু দিন অাগে দেশে এসেছেন। তার সাথে অনেক কথা হলো। ভাই সিংগাপুরের একটা ঘটনা বললেনঃ
" অফিস টাইম। সবাই অফিসে যাচ্ছে। অাগেই বলে রাখি সিংগাপুরে চায়নাদের প্রভাব অনেক বেশি। সেদিন সকাল বেলার কথা। সিংগাপুরে রেল যোগাযোগটা একটু বেশি। এক ভদ্র মহিলা ২ সিট দখল করে রিলাক্সে বসে অাছেন, (এমন যায়গায় বসেছে যে ২ টা সিট কভার করে অাছে)। হতে পারে ইচ্ছে করে অথবা, ভুল করে। যাই হোক, একজন এটাকে ছবি উঠায়ে ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে একজন মহিলা বসে অাছেন ২টা সিট দখল করে। অার বেশ ক'জন দাড়িয়ে অাছেন। শুধু একটা ছবি। অতপরঃ ২ঘন্টার ব্যবধানে সেই চায়না মহিলা গ্রেফতার।"
এটা অামাদের দেশে কল্পোনাও করা কষ্ট।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৫