somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফটো ম্যানিপুলেশন কাহাকে বলে

১১ ই এপ্রিল, ২০১২ ভোর ৪:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(লেখার যাবতীয় কিছু একান্তই আমার ব্যাক্তিগত মতামত এবং কোন রকম পড়াশোনা ছাড়া একবসায় লেখা। লেখার মূল উদ্দেশ্য আপনাকে জানানো নয়, আরও জানার ব্যাপারে আগ্রহী করা। এটাকে কোথাও রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করলে বিপদে পড়বেন)

ফেসবুকের বুকে প্রো পিক দেয়ার জন্য সবারই কমবেশি ফটো এডিটিং করা/দেখা হয়ে গেছে। সামুতেই অনেক ফটোব্লগে কমেন্ট আছে যে এডিটিং খুব সুন্দর হইসে। এখন ব্যাপার হচ্ছে, এই জিনিসটাকে এডিটিং বলতে বেশিরভাগ ফটোগ্রাফারেরই আপত্তি আছে। এটাকে মূলত বলে পোস্ট প্রসেসিং, যেটার মধ্যে পড়ে কালার টোন চেন্জ করা, ক্রপ করা, লাইটিং চেন্গ করা, স্যাচুরেশন বাড়ানো কমানো, ডিজিটাল ফ্রেম লাগানো (আমরা সচরাচর যেগুলো করি আরকি)। আর এর চেয়ে বেশি, যেটা এক্সট্রিম পর্যায়ের, সেটাকে বলে ফটো ম্যানিপুলেশন। এখন পোস্ট প্রসেসিং এর সীমানা কোথায় শেষ আর ফটো ম্যানিপুলেশন এর সীমানা কোথায় শুরু এটা বলা দুষ্কর (আমি আসলে জানি না)। এটুকু বলা যেতে পারে যদি ছবিতে কোন এলিমেন্ট যোগ করা হয় যেটা আগে ছবিতে ছিল না বা ছবি থেকে কোন এলিমেন্টকে মুছে ফেলা হয় তাহলে সেটাকে ফটো ম্যানিপুলেশন বলা চলে। ফটো ম্যানিপুলেশন কথাটা শুনতে নেতিবাচক শোনালেও এই সময়ে ফটো ম্যানিপুলেশনকে আসলে ডিজিটাল আর্ট হিসাবেই বিবেচনা করা হয়। কেন, সেটা নিচের ছবিগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন।
ফ্লিকারে কয়েক ধরনের লোক আছেন, একদল ফটো জার্নালিস্ট, যারা এডিটিং (এই পোস্টে সবার বোঝার সুবিধার জন্য এডিটিং টাই ব্যাবহার করলাম) এর ধার ধারেন না (পেপারে প্রতিদিন যে ধরণের ছবি দেখেন আরকি)। অর্থাৎ ছবিতে যাকে দেখা যাচ্ছে আর সে যা করছে (এইসব ছবি সাধারণত প্রকৃতির হয় না) সেটাতেই আপানর মনোযোগ থাকবে। ছবি তোলার স্কুল পাঠশালাতে মূলত এই জিনিসগুলোই শেখানো হয়।এর উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের এই মুহূর্তের সবচেয়ে বিখ্যাত ফটোগ্রাফারদের একজন http://www.flickr.com/photos/mrhasan/
এম আর হাসানের ছবি দেখতে পারেন। শুরুর দিকের ছবিগুলো দেখে মনে হবে খুবই সাধারণ, কিন্ত বাংলাদেশের বেশিরভাগ ফটো এক্সিবিশনে উনি বিচারক থাকেন।

আবার একদল আছে ফটো আর্টিস্ট, তারা নিজেরা ছবি তোলেন, তারপর সেটাকে নানাভাবে "এডিট"/ম্যানিপুলেট করেন। সাধারণত ল্যান্ডস্কেপ ছবিই বেশী দেখা যায়। উদাহরণ হিসেবে http://www.flickr.com/photos/arifgraphy/
এই ছবিগুলো দেখতে পারেন। আমার খুব পছন্দ ওনার ছবিগুলো।
নতুন যারা ফটোগ্রাফার (যেমন আমি) তারা সাধারণত প্রথম দিকে দিকে কোনদিকে যাবে বুঝতে পারে না। তাদের ফ্লিকার প্রোফাইলে দেখা যায় কিছু ছবি মনভরে এডিট করা, আবার কিছু ছবিে ডকুমেন্টারি স্টাইল ফটোগ্রাফি।

এইখানে আরেকটা জিনিসটা বলে রাখি, এইমাত্র যেই শ্রেণীবিভাগ করলাম, সেটা সম্পুর্ণ আমার মনগড়া। ফটোগ্রাফির শেণীবিভাগ মূলত করা হয়, প্রোট্রেইট, ম্যাক্রো, ল্যান্ডস্কেপ, ডকুমেন্টারি, ফ্যাশন এইভাবে। আমি এইভাবে শ্রেণীবিভাগ করলাম বোঝানোর সুবিধার জন্য ।


তো যা বলছিলাম, ফ্লিকারে শেষ গ্রুপে আছেন গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা। ওনারা আসলে চিত্রশিল্পী, শুধু ক্যানভাসের জায়গায় ফটোশপে ছবি আকেঁন।
শুধু প্রথম গ্রুপের ফটোগ্রাফাররাই পুরষ্কার যেতেন এমনটা নয়, পরের দুই শ্রেণীর জন্যও প্রতিযোগীতা হয় (যদিও অনেক কম)।

নিচের ছবিগুলো একটা ফ্লিকার গ্রুপ Magnificent Manipulated Masterpieces থেকে নেয়া। এই গ্রুপে কিছুদিন পরপর একটা মজার প্রতিযোগীতা হয়। একটা ছবি দেওয়া হয় সোর্স ইমেজ হিসেবে তারপর গ্রুপ মেম্বারদের বলা হয় এটাকে ইচ্ছামত ম্যানিুপুলেট করতে। মনে রাখবেন এডিট নয় ম্যানিপুলেট করাটা ব্যধ্যতামূলক। একটাই শর্ত ছবিতে সোর্স ইমেজ টা থাকতে হবে।

এই বারে প্রতিযোগীতায় সোর্স ইমেজ ছিল এটা:




এইবার দেখেন সবাই মিলে এই ছবিটাকে ক্যামনে কোপায়:

এন্ট্রি ১: light from heaven




এন্ট্রি 2: Waiting





এন্ট্রি 3: É madrugada




এন্ট্রি ৪: The Night




এন্ট্রি ৫: Stairway to heaven





এন্ট্রি 6: Water world




এন্ট্রি ৭: Professor Godchaux's New Orleans School For Young Ladies






এন্ট্রি ৮: The Gatekeeper







এন্ট্রি ৯: Caitlyn and the Wolf





এন্ট্রি ১০: নাম নাই






এন্ট্রি ১১: নাম নাই





এন্ট্রি ১২: Once upon a time in Venice







এন্ট্রি ১৩: Legend of the Guardians





এন্ট্রি ১৪: La maison coquillage





এন্ট্রি ১৫: Apocalypse Now !





এন্ট্রি ১৬: Stairway to Heaven







প্রতিযোগীতা এখনো চলছে।

বাংলাদেশের ফ্লিকার গ্রুপ টিটিএল এ ও এ ধরণের একটা থ্রেড খোলা হয়, সেটার নাম পিপি বোনানজা। সেটার ছবি অন্য কোন একদিন।






(পোস্ট টা ব্লগার ফলে পরিচয়কে উৎসর্গ করা হল। শুভ জন্মদিন ফলে পরিচয়)
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ২:১০
১৪টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসরাইল ধ্বংসের পথ ‼️

লিখেছেন সরকার পায়েল, ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৩:০১

এক ইরান নিয়ে আমেরিকা ইসরাইলের ঘুম হারাম কে জানে আরবে আরও কত ইরান অপেক্ষা করছে পশ্চিমাদের জন্য ‼️ আগামী নয় তারিখ ইরান তার পারমানবিক সর্বশেষ অর্জনের ঘোষণা দিবে l... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন মানুষের মূল্য কত?

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:২২

একজন মানুষের মূল্য কত?
প্রশ্নটি ব্যঙ্গার্থে হলেও, বৈজ্ঞানিকের চোখে এ প্রশ্নটির একটি সুনির্দিষ্ট অর্থ আছে- সেই প্রসঙ্গে না যাই।

মাথাপিছু আয় বাড়ে, দ্রব্যমূল্য বাড়ে, মূদ্রাস্ফীতি বাড়ে। কিন্তু এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাধু সাবধান! দেশে অপরাধ বৃদ্ধির পেছনে পলাতক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী অপশক্তি!

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:০৬

সাধু সাবধান! দেশে অপরাধ বৃদ্ধির পেছনে পলাতক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী অপশক্তি!

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ কর্মসূচির মিছিল, প্রথম আলো অনলাইন থেকে সংগৃহিত।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, লুটপাট, ভাংচুর এবং বিভিন্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের কেটে কুচিকুচি-নিরাপত্তা চায় ভারত

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


বর্তমানে ভারতে ওয়াকফ সম্পত্তির পরিমাণ ৮৭০,০০০টি যার আয়তন ৯৪০,০০০ একর বা ৩,৮০৮ বর্গ কিমি জমি জুড়ে বিস্তৃত এবং এস সম্পত্তির মোট মূল্য ১,০০,০০০ কোটি রুপি বা ১২ বিলিয়ন মার্কিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিডনী রোগ নিয়ে ব্লগার গণ নিজেদের অভিজ্ঞতা ও সাজেশনস জানাবেন।

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৩২






আমার খুব কাছের (রক্তের), বয়স ৪৭, একজনের কিডনী সমস্যা ধরা পড়ে গত বছর জুলাইয়ে,তখন ক্রিয়েটিনিন ছিলো ৪.৩৩ ; পরে শরীর খারাপ হওয়ায় মেডিকেল ভর্তি থেকে ঔষধ সেবন করে ক্রিয়েটিনিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×