পেইচিং, শুধু যে নতুন চীনের রাজধানী তা নয়। তা ৭'শরও বেশী বছর সময়কালের দশভাগের নয়ভাগ সময়ই চীনের রাজধানী ছিল। এ কারণে পেইচিংয়ে অনেক অর্থবহ পুরাকীর্তি বজায় রয়েছে। পেইচিংয়ে আরোও একটি বিশেষ 'পেইচিং সংস্কৃতি' রয়েছে, আর তা হলো স্থানীয় জনগণের রীতিনীতি। এ রীতিনীতির কথা লিখে সুক্ষ্মভাবে প্রকাশ করা যায় না, তবে চীনের অন্য অঞ্চলের মানুষ পেইচিংয়ে এসে স্থানীয় লোকজনের সাথে মেলামেশার পর তারা পেইচিংয়ের সংস্কৃতির বিশেষ দিকটিকে অনুভব করতে পারে।
অন্য কয়েকটি শহরও একসময় চীনের রাজধানী ছিল। কিন্তু সেসব রাজধানী শহরগুলো ছিল প্রাচীনকালের। তবে রাজধানী হিসেবে পেইচিং অতীতকালেও ছিল এবং আজও পেইচিং চীনের রাজধানী। তারপরও পেইচিং হচ্ছে নতুন চীনের রাজধানী। 'পেইচিংয়ের সংস্কৃতি'র ইতিহাস আগেও ছিল এবং তা এখনও তার নিজস্বত সংস্কৃতিকে ধরে রেখেছে। আজ, পেইচিং হচ্ছে চীনের অন্যতম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। (জিনিয়া ওয়াং)
২.সিয়ামেন(Xiamen)
ফুচিয়ান প্রদেশের সিয়া মেন শহর
শহরের স্লোগান: যৌথভাবে সাংস্কৃতিক শহর নির্মাণ করা, সম্মিলিতভাবে সুন্দর বাসভবন উপভোগ করা
শহরের অবস্থান: চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফুচিয়ান প্রদেশের একেবার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলে অর্থাত্ তাইওয়ান প্রণালীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। সমুদ্র এ শহর ও তাইওয়ান প্রদেশ বিভক্ত করেছে। অন্য কথায় বলা যায়, সিয়া মেন শহর সমুদ্রের উপর গড়ে উঠেছে এবং সমুদ্র শহর অতিক্রম করে চলে গেছে। সিয়া মেন শহর হচ্ছে সমুদ্রের মধ্যে সৌন্দর্য্যময় একটি বাগান। বিদেশী বৈশিষ্ট্যের স্থাপত্য শহরের সঙ্গে ভালভাবে মিশে গেছে। সারা বছরই এখানকার আবহাওয়া বসন্তকালের মতো, দৃশ্যও অতি মনোরম। সিয়া মেন চীনের সবচেয়ে ভালো পরিবেশসমৃদ্ধ শহরের অন্যতম। এখানকার বায়ু নির্মল। হাজার হাজার বকপাখি শহরের বাগানে বাস করার জন্য এখানে এক বিশেষ প্রাকৃতিক দৃশ্য তৈরি হয়েছে। সিয়ান মেনের ভৌগলিক আকার আকাশ থেকে দেখতে একটি বকপাখির মতো। এ জন্য মানুষ এটাকে বকপাখি দ্বীপ বলে ডাকে।
বিখ্যাত পর্যটন স্থান: কুলাং দ্বীপ, কুইলাই ভবন, সিয়ামেন বিশ্ববিদ্যালয়, চিমেই মেলা পার্ক, দক্ষিণ ফু থুও মন্দির ইত্যাদি।
এখানে রয়েছে সিয়ান মেনে আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর, সিয়া মেন বন্দর, কাওছি বিমান বন্দর। এখানকার পরিবহন ব্যবস্থা খুবই সুবিধাজনক।
(আমি সিয়ামেন বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়াশুনা করছি)
ছবি ব্লগ-চীন (না দেখলে মিস)
শিয়ামেন ইউনিভার্সিটি,ফুজিয়ান,চীন এ মাতৃভাষা দিবস উদযাপন(+ছবি ব্লগ)
চীনের দিন গুলো(ছবি ব্লগ)
আমার চীন যাত্রা (ছবি ব্লগ)
৩.ছেংতু
ছেংতু হল দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের সিছুয়ান প্রদেশের রাজধানী। ছেংতু হল একটি প্রচীন শহর। আগের লিপিবব্ধ ঐতিহাসিক বিবরণ থেকে জানা গেছে খ্রীষ্টপূর্ব ৩১১ সালে ছেংতু প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু ২০০১ সালে ছেংতুতে ৩ হাজার বছর আগের চিনশা উত্তরাধিকার আবিশ্কার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ছেংতু শহরের বয়স আরো কয়েক শো বছর বেড়ে গেছে।
কয়েক হাজার বছরের মাধ্যমে চীনের বিভিন্ন স্থানের মানুষ তাদের সংস্কৃতি যেমন শিল্প সাহিত্য, ঐতিহ্য ও খাদ্য ছেংতুতে এসে মিশে যাওয়ায় বিশেষ সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।
ছেংতুতে তুচিয়াং নদীর বাঁধ ২ হাজার বছর পর এখনো ব্যবহৃত হয়। আপনি ছোট সড়কে সিছুয়ান সাটিন কেনা, নাটক ভবনে সিছুয়ান অপেরা দেখা ও চা ভবনে চা পানের পাশাপাশি কথাবার্তা বলার মাধ্যমে সিছুয়ানের নাগরিকদের জীবনকে অনুভব করতে পারবেন।
সিছুয়ান হল এমন একটি শহর যেখানে ভ্রমণ করা উচিত হবে অবশ্যই । (ছাই ইউয়ে)
৪.কুয়াং চৌ
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বৃহত্ একটি শহর হিসেবে কুয়াংচৌতে ১৮ শতাব্দীর শেষ ভাগ থেকে অসংগতিপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে। এক দিকে শহরটি চীনের বাণিজ্যিক আমেজসমৃদ্ধ শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম, আবার অন্য দিকে সেটা সামাজিক বিপ্লবের উত্পত্তিস্থান।
কুয়াং চৌ শহরবাসীরা সুখাবার এবং ধনসম্পদ অন্বেষণ করতে পছন্দ করেন। তাঁরা যেন নিজেদের জীবনের ওপর দৃষ্টি রাখেন। কিন্তু সেখানেই চীনের সবচেয়ে আমূল এবং গণ-চেতনাসম্পন্ন পত্রিকা জন্ম নিয়েছে। এসব পত্রিকা কুয়াং চৌ শহরবাসীদের ওপর নির্ভর করে অস্তিত্ব বজায় রয়েছে।
বস্তু ও ভাব-মানস, ব্যক্তি ও দেশ এবং একই ব্যাপারের দুটি অসংগতির চরমসীমা একটি বিন্দুতে বিস্ময়করভাবে মিলিত হয়েছে। এই জায়গার নাম হলো কুয়াং চৌ।
৫.তা লিয়ান
তা লিয়ান উত্তর-পূর্ব চীনের লিয়াও দো উপ-দ্বীপের সবচেয়ে দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। শহরটি হলো চীনের উত্তরাঞ্চলীয় বিখ্যাত উপকূলীয় শহর। তা লিয়ানের প্রাকৃতিক দৃশ্য নানা রকমের, যেমন নীল আকাশ, সবুজ সাগর, সবুজ পাহাড়, সাদা পাথর এবং বিশাল সৈকত। তা যেন আপনাদেরকে স্বাগত জানাচ্ছে। এক'শ বছর আগে, ফরাসি সংস্কৃতির ধারায় আগ্রহী হয়ে রাশিয়ার একটি প্রকৌশলী গ্রুপ প্যারিস শহর নির্মাণের নকশা নিয়ে তা লিয়ানে আসেন। তারা দূর প্রাচ্যের ভূমিতে পুনরায় 'প্রাচ্যের প্যারিস' নির্মাণের আশা রাখে। সে কারণে তা লিয়ানে একটি খুব বড় বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি হয়েছে—মহাচত্বরকে কেন্দ্র করে রাস্তা চার পাশে ছড়িয়ে যায়। এছাড়া, তা লিয়ানে রাশিয়া ও জাপানী বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অনেক বেশি রাস্তা ও অট্টালিকা রয়েছে। এসব অট্টালিকা এখনও সুন্দর করে বজায় রয়েছে, তা অনেক ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী পর্যটকদের আকর্ষণ করছে। তা লিয়ানের ভূমিতে পা দিয়েই প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতি বিনিময়নের মহাভবনে প্রবেশ করেছি বলে মনে হবে।
৬.কুইলিন
কুইলিন কুয়াংশি চুয়াং জাতি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের উত্তরপূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। আশ্চর্য্য কার্স্ট চুণাপাথরের গুহা ও লিচিয়াং নদীর দুই তীরের সুন্দর দৃশ্যের কারণে প্রাচীনকাল থেকেই কুইলিন বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্থানের সুনাম অধিকার বহন করছে। এখানকার আশ্চর্য্য পাহাড়, নদী ও জলপ্রপাত এবং চুয়াং, মিয়াও ও ইয়াওসহ বিভিন্ন জাতির রীতিনীতি পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
চমত্কার ও সুন্দর কুইলিন একটি পবিত্র স্থান। দু'হাজার বছরের মধ্যে লাখ লাখ কবি এখানকার নানা ধরনের সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখেছিলেন এবং পাহাড় ও নদীর মধ্যে দু'হাজারেরও বেশি পাথরের শ্রেষ্ঠ কার্ভিং ও পাথরের ওপর লেখা রয়েছে, যা প্রাচীন ও সুন্দর স্থানের জন্য সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ভিত্তি সৃষ্টি করেছে।
প্রাচীনকালের সুই ও থাং রাজবংশের সময় কুইলিন 'ঘোড়ার গাড়ির ভীড়' বিখ্যাত পর্যটন স্থানে পরিণত হয়েছিল। বর্তমানে কুইলিন চীনাদের পর্যটনের সর্বপ্রথম স্থান এবং বিদেশী পর্যটকদের চীনে সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্থানের অন্যতম।
৭.পিংইয়াও
চীনের সেনসি প্রদেশে অবস্থিত পিংইয়াও প্রচীন নগরের ইতিহাস ২৮০০ বছরের। পেইচিং মহা গর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে পিংয়াও প্রচীন নগরটি অবস্থিত। বতর্মানে পিংইয়াও প্রচীন নগরে ৬০০ বছর আগে নির্মিত দেয়াল, বাগান, রাস্তা ও গণ স্থাপনাগুলো অক্ষত রয়েছে। ওখানে বসবাসরত আধিবাসীরা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ভ্রমণকারীদের সঙ্গে যত্নসহকারে এই প্রচীন নগরের সদ্ব্যবহার ও উপভোগ করছেন।
১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো আনুষ্ঠানিকভাবে পিংইয়াও প্রচীন নগরকে বিশ্ব সংস্কৃতি উত্তরাধীকার হিসেবে নির্ধারণ করেছে। এখন পিংইয়াও প্রচীন নগর 'বিশ্ব উত্তরাধিকার'-এর তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের পযর্টকরা এই প্রচীন নগরটি পরিদর্শন করতে আসেন। পিংইয়াও প্রচীন নগরে আসার আগে চীনের হান জাতির ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নেয়া ভালো। তাহলে পিংইয়াও যাওয়ার পর এ নগরটি সম্পর্কে আর কোন সন্দেহ থাকবে না। কেননা, পিংইয়াও প্রচীন নগরের যে কোন অংশই আপনাকে অবাক করে দেবে।
৮. লাসা
শহরের অবস্থানঃ চীনের পশ্চিমে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, তিব্বত পার্বত্যের মধ্যাঞ্চল, হিমালয় পর্বতের উত্তরাঞ্চল এবং ইয়া লু চাং পু নদীর শাখা লাসা নদীর উত্তর তীরে অবস্থিত।
শহরের শ্লোগানঃ পার্বত্য পবিত্র শহর
শহরের কার্ডঃ
লাসা হচ্ছে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানি। এটি চীনের একটি বিখ্যাত ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক নগর। তিব্বতী ভাষায় 'লা সা'র' অর্থ হচ্ছে পবিত্র স্থল বা বৌদ্ধ স্থল। দীর্ঘকাল ধরে লাসা তিব্বতের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মের কেন্দ্র। শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত পোতালা প্রাসাদকে এ তুষারাচ্ছন্ন শহর এবং সারা ছিংহাই-তিব্বত মালভূমির প্রতীক বলে অভিহিত করা হয়। একই সঙ্গে লাসা শহর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু শহর এবং সবচেয়ে জমকালো পোতালা প্রাসাদ তিব্বতের সংস্কৃতির বৈচিত্রের প্রতীক।
লাসায় স্ববৈশিষ্ট্যসম্পন্ন প্রাকৃতিক ও মানবিক সম্পদ রয়েছে। শহরের পর্যটন সম্পদও প্রচুর। শহরের কেন্দ্রস্থলের পোতালা প্রাসাদ ও 'পা চিয়াও' সড়ক এবং লাসা নতুন নগর, টেলিযোগাযোগ ভবন, তথ্য ভবন, লাসা রেস্তোরাঁ, তিব্বত হোটেল, জাতীয় বৈশিষ্টসম্পন্ন বসতবাড়ি ও আধুনিক ভবন সবকিছুই যে কারোর দৃষ্টি কাড়বে।
রাস্তায় জড় হন তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গার মানুষ। তাঁদের মধ্যে অনেকেই তাদের নিজস্ব জাতির ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেন। বৌদ্ধ ধর্ম তাদের জীবন-যাপনের নিত্যদিনের পদ্ধতিতে পরিণত হয়েছে। তিব্বতীরা একসাথে তিব্বতী নববর্ষ পালন করেন এবং তুষারাচ্ছন্ন পার্বত্যাঞ্চল ভ্রমণ করেন।
লাসার পানির গুণগত মান বেশ ভাল এবং বায়ু বেশ পরিষ্কার। গোটা চীনের মধ্যে লাসায় দূষণের মাত্রা সবচেয়ে কম এবং পরিবেশের দিক থেকে সবচেয়ে ভাল শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। তিব্বত অপেরা স্ববৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। গান ও নৃত্যের মধ্য দিয়ে তাতে পুরোপুরিভাবে জাতীয় বৈশিষ্ট প্রতিফলিত হয়। তিব্বত জাতির খোদাই করার মান বেশ উচ্চ পর্যায়ের। তিব্বত জাতির নিজস্ব ভাষা ও শব্দ আছে। লাসা শহরের জনপ্রিয়তার মান অব্যাহতভাবে বাড়ানো হচ্ছে। লাসা 'চীনের একটি শ্রেষ্ঠ পর্যটন শহর', 'ইউরোপীয় পর্যটকদের সবচেয়ে পছন্দের পর্যটন শহর' এবং পোতালা প্রাসাদ 'ইউরোপীয় পর্যটকদের সবচেয়ে পছন্দের পর্যটন স্থান' নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়া ২০০৬ সালে লাসা আবারও সারা চীনের তপ্ততা প্রতিরোধ সংক্রান্ত ৩০টি শহরের মধ্যে অন্যতম একটি নির্বাচিত।
৯.ছিংতাও
শহরের স্লোগান: পালতোলা জাহাজ নগরী, ছিংতাও অতীব মনোহর
শহরের অবস্থান: চীনের পূর্বাঞ্চলের শানতুং প্রদেশের শানতুং উপদ্বীপের দক্ষিণ দিকে, হলুদ সমুদ্র উপকূলীয় সীমান্তে অবস্থিত ।
ছিংতাও হচ্ছে চীনের পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী এবং বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সামুদ্রিক ছুটি কাটানোর প্রসিদ্ধ শহর । ছিংতাও পর্যটনের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল সমুদ্র ভ্রমণ ও অবকাশকালীণ পর্যটন ।
সমুদ্রের প্রথম বিখ্যাত পাহাড় নামে পরিচিত লাওশান পাহাড় হচ্ছে চীনের বিখ্যাত তাও ধর্মীয় পবিত্র স্থান । প্রতি বছর ছিংতাও আন্তর্জাতিক হালকা মদ উত্সব হচ্ছে চীনের সবচেয়ে মনোহর ও গুরুত্বপূর্ণ উত্সবের অন্যতম । ছিংতাও সমুদ্র উত্সব,সৈকত উত্সব,সাকুরা উত্সব ছিংতাও'র বিশেষ দৃশ্য দেশী বিদেশী পর্যটককে আকর্ষণ করে ।
ছিংতাও চীনের পালতোলা জাহাজ নগরী ও এশিয়ার সবচেয়ে চমত্কার নৌবিহারের শহরের সুনাম বহন করে , ২০০৮ সালে ২৯তম পেইচিং অলিম্পিক গেমস ও ১৩তম প্রতিবন্ধি অলিম্পিক গেমসের পালতোলা জাহাজ নগরী প্রতিযোগিতার আয়োজকের ভূমিকা পালন করে ।
১০.নানচিং
নানচিং পূর্ব চীনে ইয়াংসি নদীর মধ্য ও নিম্নাঞ্চলে অবস্থিত। নানচিং, সিআন, পেইচিং এবং লুওইয়াং হল চীনের চারটি প্রাচীন রাজধানী। চীনের ইতিহাসে বহু রাজবংশের রাজধানী ছিল নানচিং। সেজন্য নানচিংয়ে চীনের বিভিন্ন রাজবংশের সংস্কৃতি প্রতিফলিত হয়। এর মধ্যে মিং ও ছিং রাজবংশ এবং মিনকুও সময়ের বৈশিষ্ট্যই বেশি।
নানচিংয়ে প্রাচীন উত্তরাধিকার এবং পাহাড় ও নদীর সুন্দর দৃশ্য রয়েছে। মিং রাজবংশের প্রাচীর সুরক্ষিত। চীনের আধুনিক সংস্কারের পূর্ব লক্ষণ সুন চংশানের সমাধি নানচিংয়ের চিচিন পাহাড়ে অবস্থিত। চীনের বিখ্যাত্ ছিনহুয়াই নদী নানচিং শহরের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে। ছিনহুয়াই নদীর দু'পাশে সাদা প্রাচীর ও কালো ছাদের স্থাপত্য রয়েছে। এ সব কিছুর ভেতর দিয়ে নানচিং শহরের ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক দৃশ্য অনুভূব করা যায়।
১১.শাওশিং
শাওশিং ইয়াংসি নদীর বদ্বীপে অবস্থিত। চীনের বিখ্যাত লেখক লু শুনের জন্মস্থান। শাওশিং 'প্রাচ্যের ওয়েসিস' নামে সুপরিচিত। নগরটির ইতিহাস প্রায় ২৫০০ বছরের। শাওশিং এর আগে জাতিসংঘের মানুষের বাসযোগ্য শহরের পুরস্কার পেয়েছে। ২০০৮ সালে নগরটি চীনের সবচেয়ে সুখী শহর হিসেবে নির্বাচিত হয়।
শাওশিং একটি সুন্দর নগর। নদীর পানি নগরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদীতে বেশ কয়েকটি বৈচিত্রময় পাথরের তৈরী সেতু আছে। শাওশিংয়ের তৈরী মদ দেশের বাজারে যথেষ্ট সমাদৃত। মেঘাচ্ছন্ন বা বৃষ্টির দিনে নদীর তীরের রেস্তোরায়ঁ বসে মদ খেয়ে আর আড্ডা মেরে স্থানীয় লোকজন ও পযর্টকরা বেশ আনন্দ পান। শাওশিংয়ের সাংস্কৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম। সম্ভব হলে নগরের গলির অভ্যন্তেরর চীনের বৈশিষ্টসম্পন্ন চিত্রকলা কিনে নিয়ে যাওয়া সত্যিই আনন্দের।
১২.ছেংতে
ছেংতে উত্তর চীনের একটি আকর্ষণীয় পর্যটন শহর। রাজধানী পেইচিং থেকে সড়কপথে এ শহরের দূরত্ব মাত্র ২শ' কিলোমিটার। ছেংতে হচ্ছে চীনের গ্রীষ্মকাল কাটানোর সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। পাহাড় পরিবেষ্টিত এ শহরের উত্তর দিকে রয়েছে তৃণভূমি। গ্রীষ্মকাল কাটাতে প্রতিবছর জুলাই মাসের পর বহু পর্যটক ভীড় করেন এখানে।
ছেংতের অসাধারণ অভ্যন্তরীণ সাংস্কৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে। এটা ৫ হাজার বছর আগেকার প্রাচ্য 'লাল পাহাড় সংস্কৃতির' কেন্দ্রস্থল এবং উত্তর চীনের যাযাবর জাতি ও কৃষি আবাদি জাতির মিলনভূমি।
ছেংতে ছিল চীনের ছিং রাজবংশের সহায়ক রাজধানী। ওই রাজবংশের শাসনকালে প্রতি বছর যখন গ্রীষ্মকাল আসতো, তখন সম্রাটরা পেইচিংয়ের 'নিষিদ্ধ নগর' ত্যাগ করে ছেংতেয়ে গ্রীষ্মকাল কাটাতেন এবং শিকার করতেন। আজ ছেংতে অধিবাসীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের সঙ্গে তাঁদের জীবনযাপন ও সংস্কৃতি ভাগাভাগি করতে চান।
১৩.তা লি
তা লি চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইয়ুন নান প্রদেশে অবস্থিত। এর পুরো নাম তা লি পাই জাতির স্বায়ত্তশাসিত বিভাগ।
তা লির পূর্ব দিক এর হাই এবং পশ্চিম দিকে তিয়ান ছাং পাহাড়। এখানকার আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ, জমি উর্বর এবং পাহাড় ও নদীর মিশেলে সৃষ্ট দৃশ্য খুবই সুন্দর। এখানকার বিখ্যাত দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে সিয়া কুয়ান ফেং, শাং কুয়াং হুয়া, ছাং শান সুয়ে এবং এর হাই ইয়্যু। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সবার আগে উন্নত হওয়া একটি অঞ্চল হিসেবে তা লিতে ৪ হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে আদি মানুষের বসবাস ছিল।
তা লির স্থানীয় সংস্কৃতি সমৃদ্ধ এবং রীতি-নীতি সুগভীর। হাজার বছর ধরে ইয়ুন নান প্রদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে এবং এই প্রদেশটির পশ্চিমাঞ্চলের একটি বিখ্যাত শহর হিসেবে এখানে বহু বিখ্যাত পণ্ডিতের জন্ম হয়েছে এবং এখানে প্রচুর ঐতিহাসিক দলিলপত্র রয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয় জনসংখ্যার মধ্যে প্রধান অবস্থানে থাকা পাই জাতির অধিবাসীদের সাংস্কৃতিক মান বেশি বলে রাজবংশের সময়ে সে জাতির মধ্য থেকে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিকে দেখানো হয়েছে। বিশেষ করে চীনের মিং ও ছিং রাজবংশের পর তা লি চীনের ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক তথ্যভাণ্ডারে প্রচুর মূল্যবান দলিলপত্র প্রদান করেছে।
১৪.হাংচৌ
জেচিয়াং প্রদেশের হাংচৌ শহর
শহরের স্লোগান: প্রাচ্যের ভেনিস
শহরের অবস্থান: পূর্ব চীনের জেচিয়াং প্রদেশের উত্তরাঞ্চলে অর্থাত্ দেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত হাংচৌ শহর। এটি জেচিয়াং প্রদেশের রাজধানী। পাশাপাশি ইয়াংসি নদীর বদ্বীপ এলাকার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শহর।
হাংচৌ হচ্ছে চীনের সবচেয়ে বিখ্যাত দর্শনীয় স্থানসমৃদ্ধ শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। 'উপরে আছে স্বর্গ আর নিচে সুচৌ ও হাংচৌ' – এই প্রবাদের মাধ্যমে প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সে সুন্দর শহরের প্রতি মানুষদের আন্তরিক প্রশংসা প্রকাশিত হয়। হাংচৌ হচ্ছে চীনের ৮টি প্রাচীন শহরের মধ্যে অন্যতম এবং প্রথম দফায় দেশের জাতীয় ঐতিহ্যবাহী ও সাংস্কৃতিক নগর হিসেবে খ্যাতি পাওয়া শহরগুলোর একটি।
হাংচৌয়ে সমৃদ্ধ পাহাড় ও পানি সম্পদ রয়েছে। শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ১৩০টিরও বেশি নদী আছে। এ শহরকে প্রাচ্যের ভেনিস বলে গণ্য করা হয়। হাংচৌয়ে রয়েছে দুটো জাতীয় পর্যায়ের দর্শনীয় স্থান - পশ্চিম হ্রদ ও 'দুটি নদী একটি হ্রদ'। দুটো জাতীয় পর্যায়ের প্রাকৃতিক সংরক্ষণ অঞ্চলও রয়েছে এখানে। এগুলো হল থিয়ানমুশান ও ছিংলিয়াংফেং প্রাকৃতিক সংরক্ষণ অঞ্চল। ছিয়ানতাওহু, তাছিশান, উছাওশান, ফুছুনচিয়াং, ছিংশানহু ও ইয়াওলিন এ ছটি জাতীয় পর্যায়ের বন পার্কের অবস্থানও হাংচৌয়ে। এছাড়া এখানে রয়েছে প্রথম জাতীয় পর্যায়ের জলাভূমি - সিসি রাষ্ট্রীয় জলাভূমি পার্ক।
১৫.ছুইফু
ছুইফু সানতুং প্রদেশের দক্ষিণাংশে অবস্থিত। চীনের প্রচীনকালের মহান চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ ও কনফুসিয়াস তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা কনফুসিয়াসের জন্মস্থান। 'দয়া' কনফুসিয়াস চিন্তাধারার মূল মর্ম। এ চিন্তাধারা চীনের প্রাচীনকালের প্রধান সারর্গভ বিষয় যা চীন, পূর্ব এশিয়া তথা সারা বিশ্বের ওপর গভীর প্রভাব সৃষ্টি করেছে।
কনফুসিয়াসকে 'জ্ঞানসাধক' বলে গণ্য করা হয়। সুতরাং ছুইফুকে 'পবিত্র জায়গা' বলে মনে করা হয়। হাজার হাজার বছর ধরে, লোকজন কনফুসিয়াসের প্রতি অত্যন্ত ভক্তি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে আসছে। তাঁর জন্মস্থান ছুইফু চীনের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রচীন সাংস্কৃতিক জায়গাগুলোর অন্যতম। তাঁর সমাধি চীনের তিনটি বড় প্রাচীন স্থাপত্যের অন্যতম। কনফুসিয়াসের বাসভবনকে 'পৃথিবীর প্রথম পরিবার' বলে আখ্যায়িত করা হয়।
১৯৮২ সালে ছুইফু কে চীনের প্রথম ধাপের বিখ্যাত ইতিহাস ও সংস্কৃতিসম্পন্ন শহর হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। ১৯৯৪ সালে কনফুসিয়াস মন্দির, কনফুসিয়াস সমাধি ও কনফুসিয়াসের বাসভবনকে ইউনেস্কোর 'বিশ্ব সংস্কৃতি উপরাধিকার'-এর অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
১৬.ছিউয়ান চৌ
চীনের ৬০০টি বেশি শহরগুলোর মধ্যে ছিউয়ান চৌ একটি বড় শহর নয়। কিন্তু এটা সাংস্কৃতিক একটি শহর নিরঙ্কুশ। ছিউয়ান চৌর সাংস্কৃতিক অন্তঃসারে এ শহরের গৌরবময় ইতিহাস এবং ছিউয়ান চৌ নগরবাসী ইতিহাসকে সম্মান ও প্রতিরক্ষা আছে।
বিখ্যাত 'রেশম পথ' প্রাচীনকাল বিশ্বের পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে বাণিজ্যিক বিষয় এবং অন্য বিভিন্ন বিনিময়ের প্রধান পথ। ছিউয়ান চৌ চীনের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের তটসীমায় থাকে। এটাও সামুদ্রিক বাণিজ্য 'সামুদ্রিক 'রেশম পথ'এর পূর্ব দিকের সূচনাস্থল। ১৩তম শতাব্দীতে ছিউয়ান চৌ হলো চীনের বৃহত্তম এবং বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ একটি বন্দর হতো। তখন এই শহরে বিভিন্ন দেশ, বিভিন্ন জাতি এবং বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাসের লোকেরা বাস করত। এর জন্য ছিউয়ান চৌতে প্রচুর ঐতিহাসিক ঐতিহ্য আছে। এখন ইউনেস্কো ছিউয়ান চৌকে 'বিশ্ব সংস্কৃতি বহুবিধের প্রদর্শন কেন্দ্র' ও 'বিশ্ব ধর্মীয় জাদুঘর' নির্ণয় করেছে।
১৭.চিংতেচেন
চিংতেচেন চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চিয়াংসি প্রদেশে অবস্থিত, তা হল দেশবিদেশে বিখ্যাত চীনা মাটির শহর এবং এ কারণে তা চীনের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের ইতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক শহরের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
চিংতেচেন জেলার ১৭০০ বছরেরও বেশি চীনা মাটি তৈরীর ইতিহাস রয়েছে। চীনা মাটির এ প্রাচীন স্থানটি, চীনা মাটি তৈরীর প্রযুক্তি ও বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন চীনা মাটি শিল্পের রীতি চিংতেচেনের সাংস্কৃতিক পর্যটনের প্রাধান্য সম্পদে পরিণত হয়েছে।
চিংতেচেনের চীনা মাটির সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের গুরুত্ব শুধু আবিষ্কৃত ও মাটির ভেতর থাকা প্রচুর প্রাচীনকালের চীনা মাটির শিল্পকর্ম তা নয়, এর আরও শ্রেষ্ঠ বিষয় হল চিংতেচেন জেলায় প্রাচীনকালের ব্যাপক স্কেল ও অতন্ত জটিল চীনা মাটি তৈরীর ব্যবস্থাপনা রয়েছে, এ বিপুল চীনা মাটির ব্যবস্থাপনা কাঁচামাল উত্পাদনের স্থান, পরিবহন পথ, নৌ পরিবহন বন্দর, চীনা মাটি তৈরীর গুহা, ব্যবসায়ীদের বাসা এবং প্রযুক্তি ও রীতিনীতি নিয়ে গঠিত। প্রাকৃতিক পাহাড় ও নদীতে রয়েছে চিংতেচেন জেলার সামাজিক অর্থনীতি ও মানবিক মর্মের সুষম সংমিশ্রণ। তা মানবজাতি ও প্রাকৃতিক পরিবেশের সুন্দর সংমিশ্রনের প্রতীকে পরিণত হয়েছে।
১৮.ইয়াং চৌ
ইয়াং চৌ জেলা চীনের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত একটি সুন্দর পর্যটন শহর। এ জেলায় ইয়াংচি নদী ও পেইচিং-হাংচৌ মহান ক্যানেলের সাথে যুক্ত। ১০০০ বছর আগে থেকেই ইয়াং চৌ পূর্ব দেশসমুহের বিখ্যাত শহর। ৩০০ বছর আগে ইয়াং চৌ খুব সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে এবং চীনের অষ্টম বৃহত্তম শহরে পরিণত হয়। তখনকার সময় শহরের জনসংখ্যা ৫ লাখ, যা ১৮ শতাব্দি ও ১৯ শতাব্দির প্রথম দিকে বিশ্বের দশম শহরের অন্যতম ছিল।
দু'হাজার পাচ'শ বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য এ শহরে অনেক পুরাকীর্তি রয়েছে। এখানে চীনের সবচেয়ে পুরানো ক্যানেল, হান ও সুই রাজবংশের মাজার, থাং ও সোং রাজবংশের পুরানো নগর, চীনের দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলীয় স্টাইলের বাগান এবং পুরানো সড়ক ও বাসভবন রয়েছে। ইয়াং চৌ শহরে এসে আপনারা হেটে হেটে বাগান দেখেন, না হলে নৌযান ভ্রমণের মাধ্যমে ইয়াং চৌ শহর পরিদর্শন করেন, না হলে বিভিন্ন যাদুঘরে ইয়াং চৌ শহরের ইতিহাস খুঁজে বের করতে পারবেন।
১৯.থু লু ফান
থু লু ফান চীনের সিন চিয়াং হুই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের পূর্ব দিকের উপত্যকায় অবস্থিত। এটি চীনের মূলভূভাগ, সিন চিয়াং ও মধ্য এশীয় অঞ্চল এবং উত্তর ও দক্ষিণ সিয়া চিয়াং যুক্ত করার একটি পরিবহন সংযোগস্থল। পূর্ব ও পশ্চিমা দেশসমুহের সংস্কৃতি ও ধর্মের মেলামেশার স্থান এবং সিল্ক রোড পুরাকীর্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। তাছাড়া থু লু ফানের অন্যান্য অনেক পুরাকীর্তিও রয়েছে। তা হলো সিল্ক রোড সংক্রান্ত সংস্কৃতি এবং চীন ও মধ্য এশীয় অঞ্চলের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় আদান প্রদানের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল।
থু লু ফান চীনের পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন শহরের মধ্যে অন্যতম। সেখানে মরুভূমি, মরুদ্যান এবং গোবিসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্যের পাশাপাশি পুরোনো শহর, শিকু মন্দির, কবর এবং পাথরের ছবিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দৃশ্যও রয়েছে। তাছাড়া থু লু ফানে আঙ্গুরসহ অনেক ফল উদপাদিত হয়। আপনি যদি থু লু ফান অঞ্চল পর্যটনে আসেন, তাহলে আপনি অবশ্যই আঙ্গুর উপত্যকায় আসবেন। সেখানে সিন চিয়াং অঞ্চলের সুস্বাধু খাবার এবং সুন্দর নৃত্য উপভোগ করতে পারবেন।
চীন, ক্রিকেট দুনিয়ার নতুন অতিথি