আমরা যে প্যারাসিটেমল খাই সেটা আমাদের দেহ থেকে কিভাবে বের হয়ে যায় জানেন?সাধারনত প্যরাসিটেমল এর মেটাবলিজম লিভারে হয়।৩ টি পাথওয়ে আছে এই প্রক্রিয়ার-
১.গ্লুকোরনিডেশন- এ প্রক্রিয়ায় প্যারাসিটেমলের সাথে গ্লুকোরোনাইড যুক্ত হয়।এবং একটি ইনএক্টিভ কমপাউন্ড তৈরি করে।৬০% প্যরাসিটেমল এই পদ্ধতিতে দেহ থেকে বের হয়।
২.সালফেশন-এ প্রক্রিয়ায় প্যারাসিটেমলের OH গ্রুপের জায়গায় একটি সালফেট আয়ন যুক্ত হয়।এবং ইনএক্টিভ কমপাউন্ড হিসেবে বডি থেকে বের হয়ে যায়।
৩ নং পাথওয়ের মাধ্যমে বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে যদি ওভেরডোজ হয়। সাইটোক্রোম পি৪৫০ এনজাইম প্যারাসিটেমল কে মেটাবলাইজ করে এবং এন-এসিটাইলবেনজোইমিনোকুইনোন তৈরি করে যা কিনা গ্লুটাথায়োন এর সাথে কনজুগেট করে নন-টক্সিক যৌগ তৈরি করে।
কিন্তু ওভেরডোজ হলে ১ ও ২ নং পাথওয়ে এর মাধ্যমে সব প্যারাসিটেমল মেটাবলাইজ হতে পারে না।এবং যেহেতু বডিতে গ্লুটাথায়ন এর পরিমান নির্দিষ্ট তাই তারাও সব প্যারাসিটেমল কে ইনএক্টিভ করতে পারে না।তখন এন-এসিটাইলবেনজোইমিনোকুইনোন বডির হেপাটিক প্রোটিন এর সালফেট আয়নের সাথে বন্ড গঠন করে ।যার ফলে প্রোটিন কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।আর যেহেতু প্রোটিন আমাদের বডিতে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখে তাই এর ডিনেচারেশন আমাদের মৃত্যু ও ঘটাতে পারে।
রক্ষ পাবার উপায়:কেউ যদি ভুল করে অভারডোজ নিয়ে থাকেনতো ভয় পাবার কিছু নেই। এন-এসিটাইলসিস্টিন নিলে প্যারাসিটেমল টক্সিসিটি ওভারকাম করা যায়।এটি সালফহাইড্রিল গ্রুপ এন-এসিটাইলবেনজোইমিনোকুইনোনের সাথে বন্ড করে এবং এটিকে ইনএক্টিভ করে বডি থেকে বের করে দেয়
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮