আমাকে উত্তর দিতে হয়, একটা পয়সাও নিজের খরচ করতে হয় না। পুরোটাই ইউনিভার্সিটি পে করে, উলটো থাকা খাওয়ার খরচ দেয় যেটা বাংলাদেশের টাকায় অনেক। যে সব ছাত্র খুব একটা অবস্থাসম্পন্ন পরিবার থেকে আসে নি, তারা তাদের সেই টাকা বাঁচিয়ে গ্রামের বাড়িতেও খচর পাঠায়।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিংগাপুরের রিসার্চ স্কলারশিপটা দেওয়া হয় মেধার ভিত্তিতে। পৃথিবীর অনেক দেশের ন্যাশনালিটি থেকে বাছাই করে ওরা দিয়ে থাকে। কোন বন্ড নেই। যারা স্কলারশিপ সম্পর্কে অবগত না, তারা অবাক হয়। বলে, 'তোমাকে লেখাপড়া করাচ্ছে, সব টিউশন ফি ইউনিভার্সিটি দেয়; আবার উলেটা টাকাও দেয় স্কলারশিপ হিসেবে - এর পেছনে কারনটা কি? ওদের কি পাগলে পাইছে।'
পাগলে পায় নাই। গ্র্যাজুয়েটদের করা রিসার্চ এখানে আলসে বসে থাকে না। সরাসরি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজে লাগানো হয়। যেমন আমি যে বিষয়ে কাজ করি সেই রিলেটেড কাজে এখানে ইউনিভার্সর্িটির একটা স্পিন অফ কোম্পানীও আছে যারা জার্মানী, জাপানের নামীদামী কমার্সিয়াল কোম্পানীর সাথে প্রোডাক্ট নিয়ে প্রতিযোগিতা করে। প্রায় সব রিসার্চ কোন না কোন ভাবে ইউনিভার্সিটিকে অথবা পুরো সিঙ্গাপুরকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আবার পাশ করার পরে অনেকেই এখানে চাকরুী করে। অনেক মেধাকে এভাবে দেশের ভিতরে কাজে লাগিয়ে নিজেদের অর্থনীতিকে সচল রাখে সিঙ্গাপুর। কারন এদের নলেজ বেইজড ইকোনমিতে মেধা ছাড়া উপায় নাই। কোন ন্যাচারাল রিসোর্স নাই এদের। সুতরাং দেশটার মূল শক্তিটাই আর এন্ড ডি, সার্ভিস ইত্যাদির উপরে যার জন্য ম্যানপাওয়ার খুব প্রয়োজন।
এসব কারনে পুরো নিজের গাটের পয়সা খরচ করে দেশের ইউনিভার্সিটিগুলো স্কলারশিপ দিয়ে থাকে।
যারা আন্ডারগ্রাজুয়েট শেষ করে বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যেতে চান তাদের জন্য একটা ভালো স্কলারশিপের খবর ওয়ালা ওয়েবসাইট হলো: [link|http://scholarshipz.blogspot.com/|B
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৬ দুপুর ১২:১১