প্রায় দেড় বছর হয়ে এলো আমার শেষ পোষ্ট ছিল সামুতে।আমাকে যারা বার বার সামুতে লেখার তাগাদা দেন তাদের অন্যতম একজন ব্লগার হচ্ছেন মধুমিতা।তিনিও আমার মতো সৌদি আরবে সস্ত্রীক প্রবাসী।ঊনি যেমন আমার ‘কেমন আছি সৌদি আরবে –পর্ব ৩৫ ’ সিরিজের নিয়মিত পাঠক ছিলেন,আমিও তেমনি এখনো উনার ‘আরব ডায়েরি’র পাঠক।এভাবেই আমরা হয়ে যাই ব্লগার বন্ধু।বলা যেতে পারে এই দায়বদ্ধতা থেকেই আজকের এই পোষ্ট।
মধুমিতা ভাই
আমার দীর্ঘ প্রবাস জীবনে হঠাৎ করেই সুযোগ মিললো মধুমিতা ব্লগারের শহর ‘আল-আবহা’ ভ্রমনের।কারন আমাদের শহর থেকে উনার শহরের দুরত্ব প্রায় ১৩৫০কিমি।তাই ইচ্ছে থাকলেও এতো দূর যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠে নাই।আমার অফিসের কাজ মাত্র ঘন্টা দুয়েকের কিন্তু প্লেনের টিকিট কাটলাম চৌদ্দ ঘন্টার বিরতি নিয়ে,বাকি সময়টা হোটেলে এবং শহর দেখে কাটানোর জন্য।আমি ইনবক্সে খবর দিলাম,আসছি আপনার শহরে। ঐদিন ছিল মঙ্গলবার তিনি এবং ভাবী দুজনেই স্থানীয় কিং খালিদ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষক।
ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত কিং খালিদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
আমার ক্যামেরায় তোলা প্রশাসনিক ভবন
আমার ফ্লাইট ভোর ছটায় নামবে,তিনি ব্যস্ত হয়ে গেলেন আমাকে নিজে এসে নিয়ে যেতে,কিন্তু সকাল সাতটায় উনাদের ক্লাস! আমি তাকে নিশ্চিত করলাম অন্যান্য ভ্রমনের মতো এখানেও আমি একটা রেন্ট এ কার নেবো এবং নিজেই ড্রাইব করবো।যদিও রাস্তা ঘাট চিনিনা কিন্তু গুগল ম্যাপের সহায়তায় ঠিকই চিনে নেবো।
ভোরে এয়ারপোর্টে নেমেই একটা কার নিয়ে বেড়িয়ে গেলাম।আমার মিটিং সকাল এগারটায় কিন্তু আগে দেখে নেবো শহরের কোথায় অবস্থিত আমার সেই নির্দিষ্ট স্থানটি,তারপর হোটেল রূম নেবো।কিন্তু এরই মধ্যে মধুমিতা ভাইয়ের ফোন এলো,আমি পৌছেছি কিনা এবং তিনি জানালেন ভাবীকে অন্য গাড়ীতে ভার্সিটিতে পাঠিয়ে দিয়ে আমার জন্যই অপেক্ষা করছেন!
আবহা শহরের নয়নাভিরাম রাস্তা
উনার বর্ননা অনুযায়ী আমার ভ্রমনের নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানস্থল দেখে নিয়ে পৌছে গেলাম সিটি সেন্টারে।সেখানে তিনি এলেন এবং আমাকে নিয়ে একটি হোটেল রুম ঠিক করে দিলেন।তারপর বাঙ্গালী হোটেলের নাস্তা এনে দিয়ে,তিনি দ্রুতই নিজ কাজে চলে গেলেন।আর জানালেন দুপুর বারোটায় ছুটি নিয়ে এসে আমাকে তাদের শহরটা ঘুড়িয়ে দেখাবেন।কারন আজ সন্ধ্যাবেলাতেই আমার আবার ফিরতি ফ্লাইট।
চলবে --
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩