প্রিয় ব্লগারবৃন্দ শুভেচ্ছা নিন। অনেকদিন পর আবারও আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি একটি ব্লগোম্পোটেন্ট শিক্ষামুলক পোষ্ট নিয়ে। আজকের আলোচ্য বিষয় হলো, ক্যাচাল। আগে সারারাত জেগে ব্লগাররা নানা রকম সমালোচনা আলোচনায় অংশ নিতেন । এই ধরনের আলোচনা থেকে দেশ ও জাতি নতুন পথের সন্ধান পেত। তবে অধিক সন্নাসীতে যেমন গাঁজন নষ্ট তেমনি অধিক আলোচনায় মূল বিষয়ও নষ্ট হয়। আর মুল বিষয় যে প্রক্রিয়াতে নষ্ট হয় বা ভেস্তে যায় তাকেই ক্যাচাল বলে।
ক্যাচাল একটি অত্যন্ত দর্শনীয় বিষয়। সাধারন ব্লগাররা সকল ক্যাচালে দারুন আনন্দ পান। ক্যাচাল ছাড়া ব্লগ জীবন আর লবন ছাড়া তরকারি একই কথা। কিন্তু সঠিক ক্যাচাল করার নিয়ম না জানার কারনে অনেকেই ক্যাচাল করতে পারেন না। ফলে তারা খুব দুঃখজনক ভাবে বিদায় নেন। তাই আনন্দ লাভ এবং ব্লগিং অভিজ্ঞতাপূর্ন করার জন্য আপনাকে ক্যাচাল করা শিখতে হবে আর আর এই লক্ষেই আজকে এই পোষ্ট।
তবে, এই প্রসংঙে জানিয়ে রাখি, সামু ব্লগ এখন আর সেই আগের সামু নেই। এখানে এখন আর রাত জেগে, অফিসের কাজ ফাঁকি দিয়ে, সাপ্তাহ জুড়ে কোন ক্যাচাল হয় না। এই সম্পর্কে অনেকেই ফেসবুককে দায়ী করেছেন, তবে অত্যন্ত বিশ্বস্তসূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সেই স্বর্নযুগের নায়করা- যারা ব্যক্তিগত এবং সিন্ডিকেট উভয়ই বজায় রেখে দূর্দান্ত সব ক্যাচাল করতেন তারা প্রায় সবাই বিবাহ নামক সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই তারা এখন আর বেশি রাত জাগতে পারেন না। স্বীয় স্ত্রীদের সাথে "টক মিষ্টি ঝাল" টাইপের ক্যাচাল করতে করতে দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবেন, আহা আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।
ফলে প্রিয় পাঠক আপনাকে অতীতের সেই সব সেরা শিক্ষকদের শিক্ষাসেবা থেকে কিছুতা বঞ্চিত হতে হচ্ছে। তবে আশার কথা, যারা সেই সব ক্যাচাল দেখেছেন তার প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আজকের লেকচার সাজানো হয়েছে।
ক্যাচাল কি?
কাচ্যাল মানে হইল কাইজ্জ্যা। যদিও ক্যাচাল বা কাইজ্জ্যার সাথে সহনশীলতা বা ভদ্রতার কোন সম্পর্ক নাই তথাপি কাইজ্জ্যার একটা ভদ্র আভিধানিক শব্দ আছে যা হল ঝগড়া। লাঠালাঠি- হাতাহাতি- গোলাগুলি- চুলাচুলি যাপিত জীবনে এমন বহু রকম ক্যাচালের মতই আরেকটি আধুনিক ক্যাচাল হল ভার্চুয়াল ক্যাচাল।এই ক্যাচালের অকুস্থল ব্লগ কিংবা ফেইসবুক, অস্ত্র ভাষা কিংবা কুভাষা, মুলমন্ত্র " যে যাই বল ভাই -তাল গাছ আমার চাই" কিংবা মুই কি হনুরে।
ভার্চুয়াল ক্যাচাল মানে হলো যুক্তি তর্কের সম্বনয়ে অপরকে ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত জ্ঞান দেয়া। একজন আদর্শ ক্যাচালবাজ হিসেবে নিজেকে প্রমান করতে চাইলে শুধু মনে রাখতে হবে দিনশেষে তালগাছটিই আপনার। নানাবিধ ক্যাচালে যখন সকল প্রকার যুক্তিতর্কের অপমৃত্যূ ঘটবে তখনই সেখানে আবির্ভাব হবে দ্বিপাক্ষীয় কিছু সৃজনশীল অশ্রাব্য শব্দের দূর্দান্ত অশ্লীল কারুকাজ। এই ধরনের পারিবারিক পরিচয়সম্পন্ন সৃজনশীল শব্দে আম-ব্লগারগন খুশি হলেও ব্লগের তৃতীয় শক্তি হিসেবে পরিচিত মডু সাহেব কোন ভাবেই খুশি হন না। তৃতীয় শক্তির এই ধরনের অযাচিত হস্তক্ষেপে ক্যাচালকারীরাও নাখোশ। ফলে “সমগ্র ক্যাচালকারী ভাই ভাই- ক্যাচালবাজদের ভয় নাই" টাইপের কিছু নাটকীয় স্লোগানের অবতারনার মাধ্যমে ঐ তৃতীয় পক্ষের আগত এবং অনাগত চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করা হয়। আর এইভাবেই ঘটে জমজমাট কোন ক্যাচালের অপমৃত্যু।
যাই হোক, প্রিয় ব্লগারগন বাঁচতে হলে যেমন জানতে হবে তেমনি ক্যাচাল করতে হলেও আপনাকে ক্যাচালের কিছু কিছু শ্রেনীবিভাগ এবং টিপস জানতে হবে। এই ক্ষেত্রে সাবেক, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের কিছু ক্যাচালবাজের মতামত নিয়ে একটি গাইড লাইন প্রস্তুত করা হয়েছে যা আপনাকে ভার্চুয়াল ও একচুয়াল লাইফে একজন ক্যাচালবাজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করবে। চলুন দেখে নেয়া যাক কিছু জনপ্রিয় ক্যাচালের শ্রেনী বিভাগ সমূহ।
আস্তিক নাস্তিক ক্যাচালঃ
রাজনৈতিক ক্যাচালঃ
সাহিত্য ক্যাচালঃ
স্পর্শকাতর ক্যাচালঃ
ছাইয়া মাইয়া ক্যাচালঃ
লুলীয় ক্যাচালঃ
প্রেমিক প্রেমিকা ক্যাচাল
পাবলিক প্রাইভেট ক্যাচাল
পায়ে পাড়া দিয়া ক্যাচাল
আবেগী ক্যাচাল
আস্তিক নাস্তিক ক্যাচালঃ
শিরোনামেই বুঝতে পারছেন এখানে একপক্ষ ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাসী অপর পক্ষ বিশ্বাসী নয়। এখানে মূল দ্বন্দ বিশ্বাস নিয়ে। প্রত্যেকেই তার যুক্তি অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে চায়। একপক্ষ সব কিছুতেই যুক্তি ও প্রমান চায়, আবার অন্যপক্ষ যুক্তিহীন সকল কিছুতেই বিশ্বাস করে। বলা বাহুল্য উভয়ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ “এক্সিটিমিস্ট” ব্যক্তিরাই এই ক্যাচালগুলোতে কোমর বেঁধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ফলে একপক্ষ সারাজীবন নিজের সঠিক জন্ম পরিচয় নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগে এবং অপর পক্ষ চাঁদে জনৈক ব্যক্তির ছবি দেখে ধর্ম বিশ্বাস খোঁজে। যদিও সুষ্ঠ যুক্তি প্রয়োগ হলে এই ধরনের ক্যাচাল থেকে অনেক কিছুই শেখার থাকে।
রাজনৈতিক ক্যাচালঃ
ইহা মূলত হেন করেংগা তেন করেংগা টাইপ ক্যাচাল। আমার দল ক্ষমতায় থাকলে এই হত, তোমার দল ক্ষমতায় থাকা কালে এই হইছে এই সব নিয়ে এখানে মূল ক্যাচালটি হয়। তবে নিজ নিজ দল ক্ষমতায় থাকা কালে মানুষ কিভাবে পোংগা মারা খাইছে সে সংক্রান্ত কোন আলোচনা হয় না। “দিন শেষে তালগাছটি আমার” টাইপের মনোভাব সবচেয়ে বেশি এখানেই দেখা যায়। সুষ্ঠ ক্যাচাল হলে এখান থেকে অনেক সত্যই জানা যেত। তবে অধিকাংশ সত্যই তিতা হিসেবে অনেকেই গ্রহন করতে পারত না।
সাহিত্য ক্যাচালঃ
ইহা মূলত উচ্চ মার্গিয় কিছুটা আঁতেল শ্রেনীর ক্যাচাল। এই ধরনের ক্যাচালে পড়লে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত রাম রাম বলে সেখান থেকে পালিয়ে যেতেন কিংবা নজরুল বলতেন, ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি। যাই হোক এই ধরনের ক্যাচাল যারা করে থাকেন, শুনতে পাওয়া যায় তাদের অনেকেরই নাকি বাথরুমে সমস্যা আছে। প্রাকৃতিক কাজে বাধা পড়লে মন মেজাজ খিচড়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
স্পর্শ-কাতর ক্যাচালঃ
এর অপর নাম সিন্ডিকেট ক্যাচাল। এই ধরনের ক্যাচালে অন্যের সমস্যা নিজের উপর টেনে আনা হয় এবং আক্রান্ত ব্যক্তির পাশে থেকে তাকে সাহায্য করা হয়। বিশেষ করে নারী ব্লগারদের কোন একটি পোষ্টে, পোষ্ট সংক্রান্ত নেতিবাচক কিছু বললে সেখানে এক শ্রেনীর স্পর্শকাতর পুরুষ ব্লগারের সন্ধান পাওয়া যায়। এই ধরনের ক্যাচালে সবচেয়ে বেশি মারনাস্ত্র হচ্ছে, নারীর অধিকার, নারী অবমাননা। এই ধরনের ক্যাচালে অধিকাংশ সময়েই স্পর্শ-কাতর সিন্ডিকেটের জয় হয়। কথিত আছে এই স্পর্শ-কাতর ক্যাচাল থেকে নাকি “ধন্যবাদ ভাইয়া ” নামে নতুন সিন্ডিকেট ও ক্যাচালের সৃষ্টি হয়।
ছাইয়া মাইয়া ক্যাচালঃ
উল্লেখ্য এই জাতীয় ক্যাচালে কিছু নারী বিশেষজ্ঞ পুরুষরাই অংশগ্রহন করেন। নারীত্বের বিভিন্ন লক্ষন গুলি তারা সুনিপুন ভাবে ব্যাখ্যা করে প্রমান করতে চেষ্টা করেন অভিযুক্ত নিক একটি ছাইয়া নিক। উল্লেখ্য ব্লগিয় পরিভাষায় ছাইয়া মানে হল, মেয়ে রুপী পুরুষ। স্বাভাবিক ভাবে এই ধরনের ছাইয়া নিক খুঁজে পেলে গদামের ব্যাপারে কারোই কোন আপত্তি নেই, তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সুবিধা না করতে পারার কারনে ইচ্ছাকৃত ভাবে কোন মেয়েকে ছাইয়া ট্যাগ দেয়ার যে অপচেষ্টা সেখান থেকেই এই ছাইয়া মাইয়া ক্যাচাল সৃষ্টি হয়।
লুলীয় ক্যাচালঃ
কোন পুরুষ ব্লগার যদি ব্লগে এসে পাত্রী চাই মনোভাব নিয়ে শুধু নারী ব্লগারদের ব্লগে যান, প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে নিম্নমানের লুলামী করেন, তাকে গদাম দিতে এই ধরনের ক্যাচালের সুত্রপাত হয়। আপাত দৃষ্টিতে এই ধরনের ক্যাচালে কোন সমস্যা নেই। অন্যকে লুল প্রমান করে নিজে নিষ্পাপ সাজার মজাই অন্যরকম। এই ধরনের ক্যাচালে ভালো মন্দ, লুল, সুশীল, সুযোগের অভাবে চরিত্রবান ইত্যাদি সকলেই অংশগ্রহন করে। সবাই সর্তক ভাবে পর্যবেক্ষন করে অভিযুক্ত ব্যক্তি কিভাবে ধরা খেল। স্মার্ট লুলরা এই জাতীয় ভূলের ব্যাপারে সদাসর্তক থাকে।
প্রেমিক প্রেমিকা ক্যাচালঃ
এটা এমন এক ধরনের ক্যাচাল যার কোন সঠিক কারন জানা যায় নি। এই ক্যাচালের সূত্রপাত হতে পারে প্রেমিকার টিপ হারানোতে প্রেমিকের কোন শোকগাথা মালা স্ট্যাটাস না থাকার কারনে, অন্য কোন মেয়ের ছবিতে প্রেমিকের লাইক দেয়ার কারনে কিংবা প্রেমিকা অন্য কোন ছেলের সাথে হেসে হেসে কথা বলার কারনে অথবা ফোন ওয়েটিং থাকার কারনে। তবে ধারনা করা যায় প্রয়োজনের অধিক বেশি “অপশন” থাকায় এবং পারস্পরিক বিশ্বাসের ক্ষেত্র ক্রমেই ছোট হয়ে আসার কারনে এই ধরনের ক্যাচাল বাড়ছে।
পাবলিক প্রাইভেট ক্যাচালঃ
ইহা অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ক্যাচাল। পাবলিক ভার্সিটি এবং প্রাইভেট ভার্সিটির ছাত্রছাত্রীদের মাঝেই মূলত এই ক্যাচাল চলে। এর অপর নাম দেশি মুরগীর সাথে ফার্মের মুরগীর ক্যাচাল। কিভাবে নিজেদের মার্কেটিং করতে হয় তা এই ক্যাচালে না আসলে আপনি হয়ত বুঝতে পারবেনা। তাছাড়া প্রতিটি ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের রেফারেন্স টানা যে আমাদের একটি নিয়মিত অভ্যাস তা এই ধরনের ক্যাচালে আসলেই কেবল বুঝতে পারবেন।
পায়ে পাড়া দিয়া ক্যাচালঃ
এই ধরনের করার জন্য উপযুক্ত কারন এবং সুনির্দিষ্ট যুক্তিতর্ক থাকার দরকার নেই, কিচ্ছু না ভাল্গালে পাবলিক যেমন গাড়ি ভাঙ্গে তেমনি কারো কিছু ভালো না লাগলেই তিনি ক্যাচাল শুরু করে দিতে পারেন। ধরেন, কেউ একটা কবিতা লিখল। উপমা দিয়ে জনৈক কবি অশ্লীল একটি শব্দকে শিল্পসম্মত ভাবে তুলে ধরার সুন্দর প্রচেষ্টা করেছেন। চারিদিকে বাহ বাহ ধ্বনি। হঠাৎ আপনার মনে হলো, আপনি আল্লামা শফির খুব কাছের কেউ হন। ব্যাস! তৎক্ষনাৎ শুরু হবে যাবে বিশাল যুক্তি তর্ক। তবে এই প্রক্রিয়ায় যখন অংশ নিবেন তখন ভুলেও নিজের ইনবক্সে ঢুঁ মারবেন না। আর মারলেও অতীতে কারো সাথে চ্যাট হিস্টোরী দেখবেন না। তাহলে আপনি অদ্ভত বিভাজনে পড়ে যাবেন।
আবেগী ক্যাচাল
বলাবাহুল্য এই ধরনের ক্যাচাল হবে আবেগ নির্ভর। অর্থাৎ সাধারন কোন ক্যাচাল পোষ্টে আপনি অতি আবেগ তাড়িত হয়ে অদ্ভুত স্যাটায়ার ভিত্তিক কমেন্ট করলে আপনাকে সকলক্যাচালকারীরা বিনোদনের খোরাক বানিয়ে মজা নিবে। এই ধরনের ক্যাচাল শেষ হয় সাধারন, আমি ব্লগ ছেড়ে দিলাম টাইপের ঘোষনা দিয়ে অথবা সকল পোষ্ট ড্রাফট করে। তবে কথিত আছে, এত এত হাজারো ব্লগারের ভীড়ে যখন কেউ কারো অভাব অনুভব করেন না, তখন ব্লগের প্রেমে আবারও তারা ব্লগে ফিরে আসেন।
এছাড়াও আরো যে ক্যাচালের ব্যাপারে শোনা যায় তা হলো, টয়লেট ক্যাচাল, বাসা ক্যাচাল, পরকীয়া ক্যাচাল, হাসি ক্যাচাল, কান্না ক্যাচাল, 'বিশেষ রং' ক্যাচাল, গম ক্যাচাল, কালো বিলাই ক্যাচাল ইত্যাদি ইত্যাদি।
যাইহোক এবার জেনে নেয়া যাক ক্যাচালের কিছু টিপসঃ
ক্যাচাল টিপসঃ ক্যাচালের অস্ত্র সমূহ।
১) স্ক্রিন শটঃ
ইহা ক্যাচালের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ মারনাস্ত্র। সঠিক ভাবে এর প্রয়োগ করতে পারলে প্রতিপক্ষ একবারেই কুপোকাত। যেমন দেখুনঃ
এই ধরনের একটি অকাট্য প্রমানের পর আর কিছুই বলার দরকার নেই এবং এই একটি মাত্র স্কিন শটে আপনি প্রতিপক্ষকে ভেংগেচুরে গুড়ো গুড়ো করে দিতে পারবেন। উল্লেখ্য ইহা হবে দরবেশ বাবা টাইপ ক্যাচাল
বিঃদ্রঃ পূর্বের স্ক্রীর্ন শর্টটি মুছে দেয়া হয়েছে।
আবার দেখুন,
২) মাল্টি নিকঃ
মাল্টি নিক থাকার অন্যতম প্রয়োজনীয়তা হল ক্যাচাল। অনেক সময় কিছু পাবলিককে দেখবেন সামান্য একটা বিষয় নিয়ে ঘ্যান ঘ্যান শুরু করছে। তারে নিজ নিকে ভালো ভাবে বুঝিয়েও যখন সাইজে আনতে পারবেন না, তখন কিছুটা ডলা দেয়ার জন্য মাল্টি নিকের কোন বিকল্প নাই। যেমনঃ
যদি কিছুটা মানসিক হয়ে থাকেন তাহলে মাল্টি দিয়ে নিজের সাথে নিজেই ক্যাচালে জড়িয়ে পড়বেন। হীট এবং বন্ধু খুঁজে দেখার অন্যতম সহজ উপায়। এমন একটি মাল্টি নিক খুলুন, যা ছেলে কিনা মেয়ে সহজে বুঝা যাবে না। কোন মুখোসের ছবি দিন এবং থাকুন এনোনিমাস- ব্যাস তাহলেই আদর্শ একটি মাল্টি হয়ে যাবে। তবে যদি ছাইয়া নিকও চালান তাহলে সেখানে চেষ্টা করবেন এনিমেটেড কোন মেয়ে / বাচ্ছার ছবি দিতে। এই ধরনের ছবির ব্যবহার এখন খুব জনপ্রিয়।
৩) রেফারেন্স তৈরীঃ
ক্যাচালে সবাই রেফারেন্স জানতে চায়। যদি রেফারেন্স থাকে তো ভালো কথা। না থাকলেও চিন্তার কিছু নেই। হাতের কাছেই আছে প্রযুক্তি। হয়ে যান রেফারেন্স বিদ শিখে ফেলুন ফটোশপ, বানিয়ে ফেলুন মনমত রেফারেন্স, ছবি।
৪) ছাগুট্যাগঃ
এটা হলো সর্বশেষ অস্ত্র। ছাগুদের প্রতি আমাদের সকলের তীব্র ঘৃনাকে কাজে লাগিয়ে এখানে একশ্রেনীর মানুষ যাদেরকে পছন্দ করে না, বা যুক্তি তর্কে পরাজিত হয় তাদেরকে এই ট্যাগ দিয়ে চলে আসে। যারা বুদ্ধিসম্পন্ন তারা অন্যের উপর এই ধরনের মিথ্যে ট্যাগের তীব্র প্রতিবাদ জানায়, কেননা যত্রতত্র ছাগু ট্যাগ প্রকৃত ছাগুদেরকেই আড়াল করে। এই ধরনের মিথ্যে ট্যাগ যারা দেয় তারা সাধারনত মস্তিকে গোবর ধারন করে বিধায় কেউ এই সব পাত্তা দেয় না।
যাইহোক, আজকের ক্লাস এখানেই শেষ। আপনাদের জীবন হোক, ক্যাচালময়, ক্যাচালে জয়লাভ করুন, সামুতে দুর্দান্ত সেই সব আগের দিন ফিরে আসুক। মনে রাখবেন, আমরা ক্যাচাল না করতে পারি, কিন্তু ক্যাচালের ভালো দর্শক হতে পারি। এনজয়!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৪ ভোর ৬:২৮