মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা ব্যবসায়ী আওয়ামীলীগ দলীয় সরকারের অর্থমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে শাহ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রস্তাবিত মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মাণ হচ্ছে না।
যে দলটি ভোট হারাবার ভয়ে পূর্বে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নামে হলের নামকরণ করতে পারেনি; যে দলটি ক্ষমতায় যাবার লোভে রাজাকার আলবদরদের সাথে একই টেবিলে বসে সরকারী দলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পিছপা হয় নি; যে দল ক্ষমতায় যাবার লোভে ইসলামী আন্দোলন নামক অখ্যাত একটি দলের সাথে ক্ষমতায় গেলে শরীয়া আইন বাস্তবায়ন করবে বলে লিখিত চুক্তি করেছিল; সর্ব শেষে আগামীতে ক্ষমতায় আবারও আসার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের সাথে মিউচুয়াল করে সেই দলের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মাণ করে ভোট হারানোর রিস্ক নিবে এটাতে অন্যরা অবাক হলেও আমি হইনি।
রাজনীতি নামক অভিনয় জগতের সবচেয়ে বড়-বড় অভিনেতারা এই দলের সদস্য। ভোটের পূর্বে মানুষের আবেগ নিয়ে খেলে কিভাবে ক্ষমতায় আসতে হয় বাংলাদেশে সেটা এই দলের মানুষদের চেয়ে ভাল কেউই জানে না।
শাবিপ্রবির সাবেক ছাত্র হিসাবে আপনাদেরকে জানাতে চাই যে ১৯৯৮-১৯৯৯ সালে যখন আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল সেই দলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ, ও স্পিকার হুমায়ুন রশিদ চোঃ এর ভূমিকাও ঠিক বর্তমান অর্থমন্ত্রীর মত ছিল যখন সেখানে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নামে একটি ছাত্রী হলের নামকরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
শাবিতে ভাস্কর্য নির্মার্ণ হচ্ছে না: অর্থমন্ত্রী
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২১