"গান যদি রিমিক্স হইতে পারে তবে পোষ্ট কেন রিমিক্স হইবে না" - রিমিক্স পোষ্ট এর জনক রাজামশাই
এইটাও একটা টেস্ট । আদি পোস্ট হিসাবে নিজের পাঁচটা পোষ্ট নিলাম।
আজকের পোষ্ট পলাশ ও শিমুল ফুল নিয়া।
লতার "ও পলাশ ও শিমুল" গান টা বহু দিন ধইরা শুনতাছি, তাই এই গানটা দিয়াই পোষ্ট শুরু করি।
Click This Link
এইগানটা শুনলে আমার ফুলগুলা চেখে ভাসে। আসেন দেখি এই ফুলগুলা কেমন।
বাংলায় নামঃ পলাশ
অন্যান্য স্থানীয় নামঃ Flame of the Forest
বৈজ্ঞানিক নামঃ Butea monosperma Family: Fabaceae (pea family)
অন্যান্য প্রজাতিঃ Butea frondosa, Erythrina monosperma, Plaso monosperma
আবার আরেক প্রকার পলাশ দেখতে পাওয়া যায়। এর নাম রুদ্রপলাশ।এটা আমাদের পরিচিত পলাশ ফুল নয়।
এটার বাংলা নাম "রুদ্র পলাশ"
অন্যাণ্য স্থানীয় নাম: African tulip tree, Fountaintree • Hindi: Rugtoora
বৈজ্ঞানিক নামঃ Spathodea campanulata Family: Bignoniaceae (Jacaranda family)
আবার তপন চৌধুরীর কন্ঠে " পলাশ ফুটেছে শিমুল ফুটেছে" এই গানটা দারুণ লাগে।
Click This Link
কত রকম শিমুল পাওয়া যায় তা নীচে দিলাম -
এই ফূলটার বাংলায় নাম - সোনালী শিমুল
অন্যান্য স্থানীয় নামঃ Buttercup tree, Yellow slik cotton tree, Golden silk cotton tree
বৈজ্ঞানিক নামঃ Cochlospermum religiosum Family: Bixaceae (Annatto family)
এই ফুল টার বাংলায় নাম - শ্বেত শিমুল
অন্যান্য স্থানীয় নামঃ Kapok, Ceiba, White Silk-Cotton Tree ,Safed semal ,Kutashalmali.
বৈজ্ঞানিক নামঃ Ceiba pentandra Family: Bombacaceae (baobab family)
এই ফুলটার বাংলা নামঃ শিমুল ( এটাই আমাদের পরিচিত শিমুল)
অন্যান্য স্থানীয় নামঃ Silk Cotton Tree, Kapok Tree, Dumboil
বৈজ্ঞানিক নামঃ Bombax ceiba Family: Bombacaceae (baobab family)
অন্যান্য প্রজাতির মধ্যেঃ Salmalia malabarica
শেষ করি এইভাবে পুর্ণেন্দু পত্রীর কথোপকথনের কয়েকটা লাইন দিয়া
তুমি ফুল ভালোবাসো বলে
তোমাকে ফুলের বৃন্তে মাঙ্গলিক উৎসবরের মতো লাগে বলে
আমাকে ফুলের খুজে যেতে হয় পথ খুঁজে খুঁজে
সিন্ধুনদ, হিন্দুকুশ, হরপ্পার মতো দূরান্তরে।
সেই সব পথে বহু ভাঙ্গাচোড়া বিমান বন্দর
বহু যুদ্ধজাহাজের হাড়গোড়, মেশিনগানের কংকাল কবর,
রুঢ় কলকব্জা - কাঠ - কয়লা - খড়।
সেই সব পথে বহু পতাকার সার কিন্তু প্রাণ চিহ্ন নেই ।
দুরারোগ্য অসুখের শ্বাস কষ্টে বিদীর্ণ বাতাস
এবং পাথরও খুব বড় বড় ডাকাতের মতো পাথর ।
যেতে যেতে রক্তপাত হয়।
যেতে যেতে সর্বাঙ্গে উদ্যমে ও অভিলাষে, বাসনায় বাহুতে বন্কলে
নীল মরচে পড়ে।
অথবা এইভাবে
বৃক্ষের ভাগ্যকে ঈর্ষা করি।
নিজের বেদনা থেকে নিজেই ফোটায় পুস্পদল।
নিজের কস্তুরী গন্ধে নিজেই বিহ্বল।
বিদীর্ণ বল্কলে বাজে বসন্তের বাঁশরী বারংবার
আত্মজ কুসুমগুলি সহস্র চুম্বনচিহ্নে অলংকৃত করে ওষ্ঠতল।
আমি একা ফুটিতে পারি না।
আমি একা ফোটাতে পারি না।
রক্তের বিষাদ থেকে একটি আরক্তিম কুসুমও।
আমাকে বৃক্ষের ভাগ্য তুমি দিতে পারো।
বহুজন্ম বসন্তের অম্লান মঞ্জুরী ফুটে আছো।
নয়নের পথে দীর্ঘ ছায়াময় বনবীথিতল
ওষ্ঠের পল্লব জুড়ে পুস্প বিচ্ছুরন।
আমাকে বৃক্ষের ভাগ্য তুমি দিতে পারো।
তুমি পারো করতলে তুলে নিতে আমার বিষাদ
ভিক্ষাপাত্র ভরে দিতে পারো তুমি অমর সম্ভারে
সর্বাঙ্গ সাজিয়ে আছো চন্দ্রালোকে, চন্দনের ক্ষেত।
আমার উদগত অশ্রু অভ্যথর্না করে নিতে
পারো না কি তোমার উদ্যানে?
মোহিনীরা স্বভাবে নির্মম।
আর যারা ভালোবাসে
তারা শুধু নিজেদের আত্মার ক্রন্দনে ক্লিষ্ট হয়।
-পুর্ণেন্দু পত্রী
ধন্যবাদ
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:২৮