somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হারিয়ে যাওয়া ধ্বংস নগরী হেরেকুলেনিয়াম

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


গ্রীক বীর হারকিউলিসের নাম অনুসারে প্রাচীন রোমান জনপদ নিয়ে গঠিত হেরেকুলেনিয়াম শহর ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরি দ্বারা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। প্রাচীন এই শহরের একপাশে ছিল সাগর আর একপাশে ছিল সবুজ পাহাড়।


৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ৮০০ বছর ধরে ঘুমিয়ে থাকা ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরি যখন ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে তখন সেকেন্ডের ভেতর দেড় মিলিওন টন লাভা উদগিরন করলো আগ্নেয়গিরি এবং মুহূর্তের মধ্যে সেখানকার তাপমাত্রা হয়ে যায় ৫০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সেই আগ্নেয়গিরির লাভায় ধ্বংস হয়ে যায় পুরো নগরী। হারিয়ে যায় ১৬,০০০ তরতাজা প্রাণ। লাভার স্রোত আর খনিজ কাঁদার তৈরি ১৫-২০ মিটার স্তরের ভেতর তলিয়ে গেলো গোটা শহর।



পরবর্তীতে প্রায় ১৫০০-১৬০০ বছর পড়ে ১৭০৯ সালের দিকে কুয়া খুঁড়তে গিয়ে এই তলিয়ে যাওয়া শহরটি পুনরায় আবিষ্কার করা হয়। পাওয়া যায় শত শত নরকঙ্কাল যাদের মাথার খুলি অসহ্য গরমে বিস্ফোরিত হয়ে গিয়েছিলো।


পাওয়া যায় একজন আংটি পরা মহিলার কঙ্কাল যাকে পরে রিং লেডি নামে অভিহিত করে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল। এরপরে ১৮৬১ সাল পর্যন্ত এই শহর ইতালির কিংডম অফ দা টু সিসিলিস রাজ্যের অধীনে থাকে।


কিন্তু পরে ১৮৬১ সালে এই শহর রেসিনা নামে ইতালির নেপলস মহানগরীর একটি ছোট শহর হিসেবে ঘোষিত হয়।এরপরে ১৯৬৯ সালে এই ধ্বংস নগরীকে রেসিনা নামের বদলে এরকলানো নামে ইতালির প্রাচীন ধ্বংস নগরী হিসেবে নামকরন করা হয়। ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো এই শহরটিকে world heritage site হিসেবে মনোনীত করে।


প্রাচীন এই ধ্বংস নগরীতে বর্তমানে মাটি ফেলে বিভিন্ন গাছপালা লাগিয়ে প্রাণ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। সাথে কিছু পশু-পাখি, সরীসৃপ প্রজাতির বিচরণ শুরু করার প্রচেষ্টা চলছে।

সূত্রঃ তথ্য ও ছবি নেট থেকে সংগৃহীত
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
৩৮টি মন্তব্য ৩৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×