ওরা অপরাধ স্বীকার করে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন। সত্য।
এখন সবই পরিষ্কার হয়ে আসছে।
তা না হলে পরিবারকে আবার দেখা করতে দেয়া হত না। পোলা কে জিজ্ঞেস করতে দিত না "আব্বা! এইটা কি করলা"?
যে ফরমে দরখাস্তটা তাঁরা করেছেন, সেটা হচ্ছে সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার যে ক্ষমতা, সেজন্যই আবেদন। সেই ফরমেটেই "দোষ স্বীকার করিয়াছি" এটা এডমিট করে স্বাক্ষর করেই বাকি লেখা লিখতে হয়, বাকি লেখাতে হয়ত ছিল বিচার বাতিল করে নতুন করে বিচার করার আবেদন .. ... ইত্যাদি বাল ছাল, এব্যাপারে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা প্রয়োগ করার জন্য তাঁরা আবেদন করেছেন। এটাই হয়েছে।
ম্যাজিষ্ট্রেটদ্বয় হয়তো একটু কৌশলের আশ্রয় নিয়ে মুচলেকাটি নিয়েছেন। সময়েই সব জানা যাবে।
সর্বশেষ খবর - এই প্রানভিক্ষা নাকচ করা হল, রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর সহ দরখাস্ত কারাগারে ফিরে এসেছে,। আইজি প্রিজন ও উপস্থিত ম্যাজিষ্ট্রেট এটা নিজ চোখে না দেখলে এদেরকে ঝোলানো যাচ্ছিলনা। সবার বোঝা উচিত এসব জালিয়াতি হয় না।
তার পরিবারের সদস্যরা প্রেসকনফারেন্স করে বড় বড় কথা বলছে। বলে বাবা প্রানভিক্ষা চাইতেই পারেন না।
অতচ সাকা-মোজাহেদের সাথে দেখা করে তার আগের দিন বলেছিল -
"তার পিতা প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি চাইবেন না সেটা আইনজীবির সাথে কথা বলেই সিদ্ধান্ত জানাবেন"
আইনজীবি নিয়ে বিকেল পর্যন্ত জেলগেটে ঘোরাঘুরি করেছে হুকা
তারা তো তখন একবারও বলেনি 'প্রাণভিক্ষা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না'। "প্রাণভিক্ষা চাওয়া হবে না"।
বরং মোজাহিদের স্ত্রী বলেছিলেন, আমাদের পিটিশন দেয়ার আগেই রাষ্ট্রপতির স্বপ্রনদিত ভাবে দন্ডমৌকুফ করতে পারেন।
তার মানে পিটিশন দেয়া বা না দেয়ার একটা সিদ্ধান্থীনতা ছিল।
"প্রাণভিক্ষা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না'। প্রাণভিক্ষা কখনোই চাওয়া হবে না" এটা তখনি বলা হলে এসব বিতর্ক এখন হয় না।
আজ ফাসির দিনে এসব নিয়ে কিছু একটা পাকিয়ে তুলতে চাইছে। আর্টিকেল 49 এ দরখস্ত অর্থই হচ্ছে দোষ স্বীকার করে প্রেসিডেনশিয়াল পার্ডনের আবেদন।
নথি এখনো সংরক্ষিত আছে। সাকা ইংরেজিতে লিখেছে (কারন সে আগেই ঘোষনা দিয়েছিল বাংলা তার মাতৃভাষা না)
৬ফুট ২ইঞ্চি লম্বা বেকুব শাকার সই সহ দরখাস্তটি দেখিয়ে কৌশলে মোজাহিদের কাছ থেকে একই ফরমেটে দরখাস্ত আদায় করা হয়।
মোজাহিদ বাংলায়ই লিখেছেন। এটা ১০০% রিজেক্ট হবেই নিশ্চিত জেনেই করেছেন। সুধু অনেকগুলো টেবিল ঘুরে দেরি হয়ে দুএক দিন সময় হাতে পাবে ভেবেছিল ওরা। নিরুপায় মৃত্যুপথযাত্রী ফাসি দুএকদিন ডিলে করতে খড়-কুটো যা পায় যেকোন পদ্ধতি অবলম্বন করবে (কারন মিলিয়ন ডলার মুল্যে লবিষ্টরা বলেছিল এবার ওবামাকে দিয়ে ফোন করাবে হাসিনাকে, থামাবে। আসলে াল ফেলেছে। মার্কিন ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট ফাসির নিন্দা করে মামুলি বিবৃতি দিয়ে দায় সেরেছে)
এরা বলে, জামাত একমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে কখনো মাফ চায়না,
এসব বলে ব্লগ সয়লাব করে ফেলছে।
কিন্তু দুবছর আগে এক হরতালে এয়ারপোর্ট রোডে আম্রিকান এম্বেসির গাড়ীতে ঢিলমেরে ফেসে গেছিল জামাত।
এরপর ক্ষতিপুরন দিয়ে কাফের মুসরিকদের কাছে মাফ চাইতে চাইতে রাস্তায় গড়াগড়ি খাইতে সবাই কি দেখে নাই?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৯