জামাতের প্রবল বাধায় কোন নিগোসিয়েশনে যেতে পারছে না বিএনপি!
সরকার থেকে বার বার আলোচনায় ডাকা হলেও, বেহায়া বিএনপি জামাত এর অনুমতি ছাড়া একপাও নড়তে পারছে না। সেনাকুঞ্জে প্রধানমন্ত্রী মির্জা ফকরুলকে সরাসরি আলোচনার আহবান জানানোর পরও মির্জা বিপাকে ছিল। বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানের কথা স্বীকার পর্যন্ত করেন নাই
পরদিন সরোয়ার্দি উদ্যানের সমাবেশেও এ ব্যাপারে কোন বক্তব্য নেই।
গতরাতেও জামাতকে লুকিয়ে গভীর রাতে আশরাফের সাথে গোপনে প্রাথমিক আলোচনার সুত্রপাত করতে হয়েছে। এরপরও সেই রাতেই তাকে ঘোষনা দিতে হয়েছে যে - 'কোন আলোচনা হয় নাই'।
জামাত পন্থি পত্রিকাগুলো সেনাকুঞ্জে ঘটনা ও গত রাতে 'গোপন আলাপ' ইত্যাদি খবর ব্ল্যাকআউট করেছে।
কারনটা খুবই স্পষ্ট। আলোচনা করে শান্তিপুর্ন নির্বাচনে জামাতের কোন লাভ নেই।
প্রবল সহিংসতা চালিয়ে সবকিছু বিধ্বস্ত করে আওয়ামীলিগকে কোনঠাসা না করা পর্যন্ত সুধু আলোচনা করে হাসিনাকে সরিয়ে নর্মাল শান্তিপুর্ন নির্বাচনে গেলে জামাতের রাজনৈতিক মৃত্যু হবে। সুধু এই কারনেই জামাত বিএনপিকে আলোচনা থেকে সরিয়ে রেখেছে।
সবকিছু ধ্বংশ করে বিজয়ী হয়ে ফিরে আসার জন্য জামাত প্রয়জনে ৩ বছর অপেক্ষা করবে। তবুও বিএনপিকে নির্বাচনে বা আলোচনায় যেতে দিবে না। বিভিন্ন কারনে হরতাল দেয়া সম্ভব না হলেও পাকি স্টাইলে সিতাকুন্ডের পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে গেরিলা কায়দায় চোরাগুপ্তা হামলা, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আগুনে বোমা দিয়ে নিমিষেই ট্রাক জালিয়ে দেয়া। গত দশ-বারো দিন হরতাল না হলেও এরা বেশ দক্ষতার সাথেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ রাখতে পেরেছে। ঢাকা আরিচা মহাসড়কও থেমে থেমে বন্ধ রেখেছে, গার্মেন্টস ওয়ার্কারদের দিয়ে হাঙ্গামা করিয়ে নতুবা পরিবহন মালিকদের দিয়ে গাড়ী বন্ধ রেখে। আজ সকালেও একজন মেয়ে শ্রমিক মারা গেছে এরকম একটি মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে নগত টাকা ছড়িয়ে একটি বিধ্বংশি হাঙ্গামা চালায় ঢাকা আরিচা মহাসড়কে।