মুলত জামাতের চাপেই বিএনপি আলোচনায় বা নির্বাচনে আসছে না।
সেদিন সন্ধায় ছেচড়ার মত নিষিদ্ধ জামাতের নেতাদের সাথে নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে গেলেন, অতচ জামাতের নিবন্ধন বাতিল ও আগামি নির্বাচনে অযোগ্য একটি দল
বিএনপির জামাত নির্ভরতা নতুন কিছু না।
এর আগেও ২০০৮এ বিএনপি নিশ্চিত পরাজয় জেনে নির্বাচনে যেতে চায়নি।
তখন জামাত নেতা মোজাহিদ খন্দকার দেলয়ার কে সাথে নিয়ে জেলে খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করে, সেদিনও মোজাহিদকে বিএনপির ২য় প্রধান হিসেবে মনে হয়েছিল। মুলত জামাত নেতাদের চাপেই সে সময় নির্বাচনে রাজি হয় বিএনপি।
এবার জামাত নিজের অস্তিত্ত টিকিয়ে রাখতে আওয়ামীলীগকে নির্বাচনের আগেই মনস্তাত্তিক ভাবে পরাজিত করে জয় নিশ্চিত করতে চায়।
এ জন্য চাই লাগাতার বিধ্বংশি হরতাল, বিভিন্ন কারনে হরতাল দেয়া সম্ভব না হলেও পাকি স্টাইলে সিতাকুন্ডের পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে গেরিলা কায়দায় চোরাগুপ্তা হামলা, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আগুনে বোমা দিয়ে নিমিষেই ট্রাক জালিয়ে দেয়া। দশদিন বেশ দক্ষতার সাথেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ রাখতে পেরেছে। আর গাজিপুর-আশুলিয়া অঞ্চলের কিছু শ্রমিককে উচ্চহারে নগদ প্রদানের মাধ্যমে বিরামহিন সহিংশতা চালিয়ে উত্তরবংগের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে।
বিএনপি জানে আলোচলা করে তাদের মুল দাবি - 'হসিনা অন্তবর্তিকালিন সরকার প্রধান থেকে সরে যাওয়া' আদায় সম্ভব, হাসিনার দুএকজন মন্ত্রী স্পষ্ট ভাবেই একাধিকবার আভাস দিয়েছিলেন।
কিন্তু কট্টর জামাতিদের চাপে বিএনপি সেটা পারলো না।
প্রবল আন্দলোন বিরামহিন সহিংশতা নাসকতা চালিয়ে প্রতিপক্ষের মনস্তাত্তিক বা দৈহিক পরাজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কোন আলোচনাও নয়।
যুদ্ধক্ষেত্রের মত সব বিধ্বস্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে না যেতেও বদ্ধপরিকর এরা। এর জন্য যত লাশ বা ঝলসে যাওয়া দেহ দরকার ... তত!
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬