সামনের নির্বাচন কিভাবে হবে তা নিয়ে টানাপোড়ন চলছে, আনেক দিন ধরেই।
বিরোধীদের মুল দাবি তত্তাবধায়ক সরকার, কিন্তু তত্তাবধায়ক সরকার হলেই সব অচলবস্থার অবসান আর পরিস্থিতি নরমাল হয়ে যাবে একথা ভাবার কোন কারন নেই।
তত্তাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা বহাল থাকলেও নির্বাচন নিয়ে এরচেয়ে বড় নৈরাজ্য ও অচলবস্থা থাকতো।
কারন ২০০৬ এর আওয়ামী আন্দলোন নকল করে বিম্পি-জামাত ২০১০ এ ঘোষনা দিয়ে রাখে যে পদাধিকার বলে প্রাপ্ত তত্তাবধায়ক সরকার প্রধান বিচারপতি খাইরুল হক এর অধিনে কোন নির্বাচনে যাবেনা। এটা তাদের ফাইনাল ডিসিশন। তার মানে একটা বড় অচলবস্থা!
বিচারপতি খাইরুল হকও ঘোষনা দিয়ে রাখলেন এইরুপ অনাস্থা অপমানের ভেতর পদাধিকার বলে প্রাপ্ত তত্তাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে তিনি থাকবেন না। দ্বিতীয় বিচারপতিও বললেন বিচারপতিদের বাদ দিয়ে অন্য কাউকে নেয়ার জন্য।
তার মানে সেই আবার একজন নিরপপেক্ষ লোক খুজে বের করার কাহিনী। একজন মানবে তো আরেকজন মানবেনা। সরকার বিহীন অবস্থায় থাকার মত।
তার মানে তত্তাবধ্যক থাকলেও বিম্পি-জামাতের ঘারামির কারনে তত্তাবধায়ক
সরকার ব্যাবস্থা একটি গুরুতর অচলবস্থার ভেতরেই দির্ঘদিন থাকার সম্ভাবনা ছিল। এই অস্থির অনিশ্চিত অবস্থা তত্তাবধায়ক সরকার থাকা না থাকা সমান।
হাসিনা জেনে শুনে এত বড় গর্থে পরতে চায়নি। দেখলো এই ডেডলক থেকে বের হওয়ার একটাই উপায়, তত্তাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা আগাম বাতিল করা। এতে হাতে থাকবে নিগোসিয়েশন পাওয়ারের অতিরিক্ত একটি মুদ্রা।
মামলা অনেক আগেই ছিল, তা চালু করা হয়। রায়ও হয়ে যায়।
তত্তাবধায়ক ব্যাবস্থা নিয়ে এসব টানাপোড়নের সব ব্যাপার বিম্পি-আম্লিগের ভাল ভাবেই জানা আছে, কিন্তু মুখ ফুটে কেউই বলেনা।
২০০৬ এ তত্তাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা ছিল। কিন্তু ছিল সাজানো উপদেষ্টা প্যানেল, এরপরও ছিল আজিজের মত বেয়াদব প্রধান নির্বাচন কমিশনার, দেড়কোটি ভুয়া ভোটার, ইইউ এর বিনামুল্যে দেয়া ট্রান্সপ্যারেন্ট ব্যালট বক্স প্রত্যাক্ষান করা হয়েছিল। ছবিসহ ভোটার তালিকা করা সময়ের অভাবে বাতিল করেছিল আজিজ!
তত্তাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা সম্পুর্ন একটি অকার্যকর অসুস্থ করে ফেলেছিল তৎকালিন বিএনপি-জামাত সরকার।
এখন দরকার উভয় দলের চারজনের একটি নির্বাচিত একটি প্যানেল গঠন করে ও নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালি করে একটি ভাল নির্বাচন।