জানি না কেমন হবে, কিন্তু অনেকদিন ধরেই কিছু কথা মাথা থেকে আঙ্গুলের ডগায় এসে খোঁচাখুঁচি করছে। কোন পরিপ্রেক্ষিতে আজ তাদের মুক্তি দিব ভাবলাম...!
ঠিক সময়টা প্রায় শতক বছর পুরনো, তারপর অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে একটা গোষ্টি তার মাত্রিভাষায় কথা বলার অধিকার অন্যের দ্বারা খর্ব হবে হবে অবস্থায় উদ্ধার পেয়ে গেলো। খুব সহজে কিন্তু না ! অসংখ্য মা সন্তানহারা হলেন, পিত্রিহারা হলো অনেক সন্তান। বিনিময়ে পেলেন "মাতৃভাষা বাংলা।"
তার লেজ ধরেই একসময় সেই ভাষাপ্রেমিকরা অনূভব করলো যে ভাষা যখন তাদের ভূমিটাও তাদের হওআ দরকার ! এই স্বাদটাও কিন্তু সহজে তৈরী হয়নাই, জ্বালা-নিপীড়ন সয়ে সয়ে ঠিক সেষ পর্যায়ে এসেই তাদের এই ইচ্ছার উদ্রেক হয়েছে।
হ্যাঁ অবশেষে তাও তারা পেয়ে গেলো। এখন "স্বাধিন বাংলা"র কাঠ-খড় পোড়ানোর কথায় আসি ! স্বাধিন বাংলা পাওয়ার লোভে সন্তান তার বৃদ্ধ "মা"কে ঘরে রেখে যুদ্ধে চলে গেছে যার ভরণ-পোষন দেয়ার কেউই ছিলোনা। সেই মায়ের অপেক্ষা হয়তো শেষ স্বাঃশ ছাড়া পরযন্ত ছিলো ! এভাবেই সবে 'বংশপ্রদীপ'এর শলতেতে আগুন জ্বেলে দেয়া পিতাও চলে গেছিলেন দেশ স্বাধিন করতে। আর সেই 'বংশপ্রদীপ' যখন প্রস্ফুটিত হলো তখন তার জন্মভূমির নাম 'গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ' যার ভিত্তি গড়তে তার পিতার অনুপুস্থিতি তাকে সইতে হচ্ছে।
তো আপনাদের স্বাধিন (!) দেশে স্বাগতম। আসেন সবাই স্বাধিনতা যুদ্ধে যে যেই পরিমান সম্পদ হারাইছেন তার বিনিময় নিয়ে যান ! কারন দেশটা আসলে স্বাধিনের বা* ও হয়নাই। এখন আপনার প্রশ্ন করা খুব স্বাভাবিক যেঃ
-তাহলে এইযে যুদ্ধু হলো
-ত্রিশ লক্ষ প্রাণ ঝরলো
-লাখো মা-বোন সম্ভ্রম হারালো
-বসতি হারালো
এসবের মানে কী ???
আসলে কি, এইসব ত্যাগের মাধ্যমে শুধুমাত্র শাসকগোষ্টির পরিবর্তন হইছে আর কিচ্চু না !
আমার এই ভাবনার পিছনের কারনঃ
* বিষয়টার প্রমান পাওয়ার জন্য সদ্য স্বাধিন হওয়া দেশটার বেশিদিন অপেক্ষায় থাকতে হয়নি ! ১৯৭৫ সালেই খলনায়কদের মুখোশ উন্মোচনের শুরু হয়। একে একে সবাই বিদায় নিলেন এই বাংলার অভিশাপ নিয়ে। মুক্তি পায়নি কোন বেহায়া !
* এইতো সেদিন দেশের প্রধানমন্ত্রির খুব হাস্যজ্জোল মুখেই 'আম জনতা'র কাছে জানতে চাইলেন "সব টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দিলে কেমন হয় ?" কথাটা তার পিতার ১৯৭৫ সালের কাজের সিমিলার মনে হচ্ছে ! আমার ভাবাটা হয়তো সৈরাচারির কাতার থেকে অনেক দূরে !
* বিরোধি দলের মনপুতো না হওয়া পরিস্থিতিকে বাগে আনার জন্য কিছু আবাল টাইপের দেশপ্রেমিক (!) গরুগুলারে রাস্তায় নামাইয়া দিছে। আর ছাগলগুলা বিবেকের মাথা খেয়ে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপরে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে (এই কুত্তামির রাজনীতি করেই তো তাদের পেট চলে তাই দেশটাকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বল্লাম). এটা কিন্তু শুধু এই বিরোধি দলের সময়ের কথা না সেই শুরু থেকেই এভাবে চলে আসছে !
*আর আমি এই স্বাধিন (!) বাংলার একজন নাগরিক হিসেবে কোন একটা কথা বলার প্রয়জন অনূভব করলেও মুখ বুজে থাকতে হয়, এখন তাতেও বাধা আছে ! আস্টে-পিস্টে শত প্রতিবন্ধকতায় যখন আবদ্ধ তখন কি করে বলি "এই বাংলা স্বাধিন" ???
তাই খুব সহজেই বলা যায়, এই বাংলা কখনো স্বাধিন হয়নি বরং সাধারণ মানুষের রক্তে হলি খেলে বারংবার শাসকগোষ্টির পরিবর্তন হয়ে আসছে। আর এখানের ছোট্ট শিশুটিও শোষিত !!!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪