আজ থেকে কত বছর আগে দেবীদ্বারে কে বা কারা ইসলামের আলো জ্বেলেছিলেন তার কোন দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। তবে ঐতিহাসিক মসজিদগুলোর দিকে খেয়াল করলে সহজেই বুঝা যায় এখানকার মুসলিম সভ্যতা অনেক দিনের পুরানো। কারন এক/দু'জন লোক মুসলমান হলে সেখানে পাকা বা অন্যভাবে নির্মিত একটি মসজিদ গড়ে উঠেনা। সম্মিলিত ভাবে জুম্মার নামাজ আদায়ের জন্য প্রয়োজন একটি মুসলিম সমাজ। এমনই একটি মুসলিম সমাজের চিত্র পাওয়া যায় কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার নূরমানিকচর গ্রামে।
এ মসজিদটি সাতগম্ভুজ বিশিষ্ট। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ১০ ফুট, প্রস্থ্য ০৫ ফুট। একসঙ্গে ২০/২৫ জন নামাজ আদায় করতে পারেন। চুন-সুরকী দিয়ে নির্মীত মসজিদটির ভেতরে অপরুপ কারুকাজ রয়েছে। মসজিদের ছাদে রয়েছে ১১টি গম্বুজ, এর মধ্যে মূল ছাদে রয়েছে ৭টি এবং বাকী চারটি গম্বুজ রয়েছে মসজিদের চারকোণায়। তবে সংরক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে সবকটি গম্বুজই ধ্বংশ প্রায়। পরিচর্যার অভাবে মসজিদের বাহিরের আস্তরগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। অধিকাংশ জায়গা থেকে আস্তরগুলো খসে পড়ছে। বৃষ্টির পানিতে মসজিদের দেয়ালে শেওলা জমে মসজিদের শ্রী'নষ্ট হয়ে গেছে। নূরমাকিচর মসজিদটি কুমিল্লা শহর থেকে পশ্চিমে ১৮কিলোমিটার এবং 'ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক'র নূরমানিকচর বাস স্টেশনের আধা কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
স্থানীয়রা জানান, মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ নূর আহম্মেদ আল কাদেরী পীর সাহেব একজন ধর্মপ্রাণ ও দানবীর ছিলেন। তিনি মসজিদ ছাড়াও ডাকঘর, মক্তব, পাঠশালা নির্মান ও দিঘী খনন করে গেছেন।