নিজের সাথে ঘটে যাওয়া অভিগ্যতা থেকে বলছি:- প্রায় ৩ মাস আগে অনলাইনে একটা তথ্য পাই(BTRC কর্তিক)কিভাবে NID কার্ডের শেষের চার অক্ষর দিয়ে একবারে বের করতে পারব কয়টি সিম রেজিস্টার হয়েছে আমার NID দিয়ে।
তথ্য টা পেয়েই আমি কাজে লাগালাম -কিন্তু যখন SMS পেলাম আমি অবাক হয়ে দেখলাম ১৩ টি সিম রেজিস্টার করা হয়েছে, আর মাত্র ২ টা সিম রেজিস্টেশন করা যাবে।
তখনি মনে মনে ভাবতে লাগলাম- রিয়ান+রাতুলকে (চাচতো ভাই) বায়োমেটিক করে দিছি ৩ টা(১ বাংলালিংক,১ গ্রামিন,১ এয়ারটেল)।
আর ১ জনকে দিয়েছি ১ টা রবি,আমার ৩ টা বংলালিংক- রবি+এয়ারটেল ২ টা ,টেলিটক ১ টা।
মোট ৩+১+৬=১০
তবে ১৩ টা কিভাবে হয়.!
পরে খেয়াল করে দেখি এয়ারটেল ৩ টা সিম রেজিস্টেশন বেশি এবং নম্বর ৩ টা খুব মিল।
কিছু দিন পরে গেলাম সিম গুলো রেজিঃ ডিলেট করতে আমাদের জেলা (মাদারীপুর) এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ারে।
সেখানে গিয়ে ডিলেট করার কথা বললাম।
তারা ব্যর্থ মূলক উত্তর দিয়ে আমাকে বলল- এখানে ডিলেটের সিস্টেম নেই,যদি ডিলেট করতে হয় তবে বরিশাল যেতে হবে।আমি তাদের কাছে ৩ টা নম্বরের সম্পুর্ন চাইলাম তাও বলল তাদের হাতে নেই সেই অপসন।
এমতা অবস্থায় কিছু পাঠক ভাববে-আমার থেকে বার-বার মানে ৩*৪=১২ বার চিটিং করে ফিংগার নিয়ে নিছে।
(আমি Airtel একটি সিম কিনে ছিলাম মাদারীপুরের বাদামতলা বড় দোকান থেকে ও আরেকটি বায়োমেটিক করেছি ঐ কাস্টমার কেয়ার থেকেই)
তখন বার বার ফিংগারিং দেয়া এমন কোন ফিংগারিং ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
তবে সুস্থ মস্তিষ্কে বলা যায় এটা কপি-পদ্ধতি বা দূর্নিতি।
যেখানে আমি কত লোককে ফিংগারিং বিষয়ে সচেতন করেছি,ঐ ঝামেলা টা আমাকেই পোহাতে হল!
বায়োমেটিক নামক কঠিন সিকিউরিটি দিয়ে কি লাভ যদি থাকে দূর্নিতির ফাক..?
আমার আর বরিশাল যাওয়া হল না।
এইতো ১২-১৩ দিন আগে গেলাম এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ার,শহিদ ফারুখ সড়ক রোড,যাত্রাবাড়ি,ঢাকা।
সেখানেও সেই একই কথা তাদের ডিভাইসে কপি করার কোন পদ্ধতি নেই।নিজেকে নিজেই একটা যুক্তি দিয়ে মনটা সান্ত করার চেস্টা (যার নুন খাবে তারইতো গুন গাবে ভাউ)। তবে NID নম্বর দিতেই বের করে দিল কিছু নম্বর,আমার কাছে vip নম্বরই মনে হল।
01636660346
01636660347
01636660348
এবং সে বলল আপনি চাইলে নম্বর তিনটি রিপ্লেস করে তুলে নিতে পারেন।
আমার নম্বর দেখে একটা নম্বর তোলার শখ হল, কিন্তু ছবি ও কোন নম্বর নিব তা নির্ধারন করার জন্য পরের দিন আসতে চাইলাম।
বাসায় এসে ওই নম্বরে কল দিয়ে দেখি নম্বর গুলো সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
পরের দিন যাওয়া হল না-গেলাম ১ দিন পরে এলাকার চাচাত ভাই শাওন কে নিয়ে আবার সেই কাস্টমার কেয়ারে।
তখন আমি বললাম 348 নম্বরটি তুলে বাকি সব গুলো ডিলেট করে দিতে।
কিন্তু তখন সে বলল এটা সম্ভব না নম্বর গুলো ব্লক করা এটা কোন কাস্টমার কেয়ার থেকে কাটা যাবে না।
তারপরে ২ জন মিলেই তর্ক করলাম কিছুক্ষণ।
বললাম হেড অফিসেও পারবে না.!!
সে বলল 'না'
আমিঃ-তবে কি এভাবেই থাকবে.??
সেঃ-হেড আফিসে গিয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে দেখুন...
আমিঃ-যেখানে চিট করে ফিংগারিং নিয়ে রেজিস্টেশন করা-সেটার সঠিক তথ্য কি আর দেব(লাস্ট কল,রিচার্য,FNF)।
এক সময় চলে আসতে হল-আমাদের।
বাসায় এসে ২২২ তে ফোন-
অভিযোগ দিতে চাইলাম,
তারা বলল : আমাদের এখানে এমন কোন অভিযোগ নেয়া হয় না।
দ্বিতীয়তে ৯৯৯ এ ফোন-
সেখানে সুনলাম তাদের সার্ভিস পুলিশ,ফায়ার-সার্ভিস ও এম্বুলেন্স।
১০৬ এ কল দিয়ে দূর্নিতি দমন কমিশনে অভিযোগ :-
কিন্তু অভিযোগ গ্রহন করা হল না,
ফোনের ওপাশ থেকে এক ভদ্র মহিলা বলেন তাদের ১০৬ অভিযোগ কেন্দ্রে সুধু মাত্র সরকারী প্রতিষ্ঠানের দূর্নিতি বিষয়ে অভিযোগ গ্রহন করা হয়।
এক সংবাদিককে এই বিষয় টা তুলে ধরতে বলি কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি।
হয়তো বিশ্বাস-ই করেনি !
অথবা মান সম্মত খবর হয়নি তাই।
আমি জানি এটাতে আমার কতটা ক্ষতি হতে পারে।
আমি মনে করি এটা সুধু আমার সাথে না,আমার চেয়ে আনেক সচেতন ব্যাক্তির সাথেও হয়েছে।
আমি মনেকরি দেশের সবার এই বিষয়ে সজাগ হওয়া জরুরী
*16001# ডায়েল করে আপনার NID কার্ডের শেষের 4 ডিজিট দিয়েই পরিক্ষা করে নিন।
যদি আমার মত এমন কারো হয়, তবে বিষয় টা ছড়িয়ে দিন।
////একটি অনলাইন পত্রিকায় লেখাটি পাবলিষ্ট করানোর জন্য হাইট করা হয়েছিল সামু থেকে/////
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭