somewhere in... blog

ডেমোক্রেটিক এক্সেপশানালিজম

১৫ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ডেমোক্রেটিক এক্সেপশানালিজম।

মানে আমরা গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে চাই কিন্তু সবার জন্য বা সব ক্ষেত্রে না। আমরা মানবাধিকারের নিশ্চয়তা চাই কিন্তু সবার জন্য বা সব ক্ষেত্রে না। যারা আমাদের বিরোধী বাস্তবে তাদের গণতান্ত্রিক বা মানবিক অধিকার নাই। যতটুকু আমরা দিব তার বেশী না।

দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে বলছি, আমাদের পুলিশ ব্যবস্থা একটা ফ্রাংকেনেস্টাইনিয়ান ব্যবস্থা। আজ দলমত নির্বিশেষে এ কথার জোর আওয়াজ তুলতে হবে।

অস্ত্রধারীদের মধ্যকার সবচেয়ে ভয়ানক হচ্ছে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। অতীব দূর্ভাগ্যজনক হলেও অনেক ক্ষেত্রে এটি সত্য।

আপনি ভাবছেন ওদেরকে ধরেছে, আমাকেতো ধরে নাই। একদিন প্রতিবাদ করুন কোন পুলিশীয় অপকর্মের দেখবেন আমার কথা কতটুকু সত্য। লাইনের বাহিরে এসে এক পুলিশ টিকেট কাটতে উদ্যত হলে আমি বাধা দিয়েছিলাম। এক পর্যায়ে আমার পদ-মর্যাদা প্রকাশ করার পরেও আমাকে সেই পুলিশের হাতে নাজেহাল হতে হয়েছিল। ভাগ্যিস, গ্রেফতার করেনি। যদি আমি তাকে আলটিমেটলি টিকেট নিতে না দিতাম তাহলে হয়তোবা আমাকে ধরে মোবাইল চুরির মামলা দিয়ে রিমান্ড চাইতো।

আজ যেভাবে এক গ্রুপকে রিমান্ডে নিয়ে কথিত বিভিন্ন স্বীকারোক্তি আদায় ও গণমাধ্যমে তা প্রচার করা হচ্ছে বছর কয়েক আগে বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের কারো কারো প্রতি অনুরূপ আচরণ করা হয়েছিল। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের আবদুল জলিল ও শেখ সেলিমের কথিত স্বীকারোক্তির অডিও সিডির কথা মনে পড়ছে।

বাংলাদেশের আজকের বিদ্যমান বাস্তবতায় নায়মোলারের অনুশোচনা’র কথা আজ খুব মনে পড়ছে:

‘প্রথমে ওরা এসেছিল কমিউনিস্টদের ধরতে,
আর আমি প্রতিবাদ করিনি¬
কারণ আমি কমিউনিস্ট ছিলাম না;
‘তারপর তারা সোশ্যালিস্টদের ধরতে এসেছিল,
আমি প্রতিবাদ করিনি
কারণ আমি সোশ্যালিস্ট ছিলাম না;
তারপর তারা এলো ট্রেড ইউনিয়নপন্থীদের ধরতে,
আমি প্রতিবাদ করিনি¬
কারণ আমি ট্রেড ইউনিয়নপন্থী ছিলাম না;
তারপর তারা এলো ইহুদিদের ধরতে,
তখনো আমি প্রতিবাদ করিনি¬
কেননা আমি ইহুদি ছিলাম না;
তারপর ওরা আমাকে ধরতে এলো¬
তখন আর আমার হয়ে প্রতিবাদ করতে
কেউ অবশিষ্ট ছিল না।’
নায়মোলার প্রথম মহাযুদ্ধে দুর্ধর্ষ ইউ বোট (সাবমেরিন) ক্যাপ্টেন ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি নাৎসি ডিক্টেটরশিপের কঠোর সমালোচক হয়ে ওঠেন। সে জন্য ১৯৩৭ সালের ১ জুলাই তাকে গ্রেফতার করা হয়, কিন্তু আদালত তাকে হাল্কা সাজা দিয়ে ছেড়ে দিলে ক্রুদ্ধ হিটলার ব্যক্তিগতভাবে তাকে বন্দিশিবিরে আটক রাখার নির্দেশ দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যন্ত তিনি সে শিবিরে আটক ছিলেন¬ প্রায় নি:সঙ্গভাবে।
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইউনূস বিদেশে দেশকে করছেন অপমান-অপদস্থ

লিখেছেন sabbir2cool, ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৪৬


দুর্নীতির কারণে তার যাওয়ার কথা ছিল জেলে, গেছেন তিনি বঙ্গভবনে প্রধান উপদেষ্টার শপথ নিতে। এটা খোদ মুহাম্মদ ইউনূসের স্বীকারোক্তি ছিল। তার দেশশাসনের আট মাসে বিদেশে যখন গেছেন তিনি, তখন স্বীকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঈদের বাড়ি

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:২৭


রোজার ঈদে মাকে খুঁজতে যাব
পাঁচ হাজার টাকা রেখে দিয়েছি-
সিঁলিকের শাড়ি কিনবে বলে;
বাবা আর বিড়ি খাওয়া দায়ে
আমাকে নাক সেছুর দিবে না
কোন কোরবানী ঈদে-কোন
পথে যাবো- কোন ঈদ আসবে!
আর অপেক্ষা করতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এখানে আর নিরাপত্তা কই!=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:১৩


কোন সে উন্নয়নের পথে হাঁটছি বলো
এই গিঞ্জি শহর কি বাসের অযোগ্য নয়?
শূন্যে ভাসমান রাস্তা-নিচে রাজপথ
তবু কি থেমে আছে যানজট কিংবা দুর্ঘটনা?

দৌঁড়ের জীবন-
টেক্কা দিতে গিয়ে ওরা কেড়ে নেয় রোজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই শহর আমার নয়

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:০২




এই শহর আমার নয়
ধুলিমলিন, পোড়া ধোঁয়ায় ঘেরা
ধূসর এক স্বপ্নহীন চেহারা।
এই শহর, আমার নয়।

ঘোলাটে চোখে জমে হাহাকার,
চেনা মুখেও অচেনার ছাপ।
পথে পথে স্বপ্নরা পোড়ে,
আলোর ছায়ায় খেলে আঁধার।

এই শহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

টিউবওয়েলটির গল্প

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:০৪



এটা একটি টিউবওয়েল।

২০০৯ সালে, যখন আমি নানী বাড়ি থেকে লেখাপড়া করতাম, তখন প্রতিদিন এই টিউবওয়েল দিয়েই গোসল করতাম। স্কুল শেষে ক্লান্ত, ঘামাক্ত শরীর নিয়ে যখন ঠান্ডা পানির ঝাপটায় নিজেকে স্নান... ...বাকিটুকু পড়ুন

×