somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোশারফ হোসেন ০০৭
বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

চাঁদের কালো জোছনার গল্প ।। ২য় পর্ব ।।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যারা প্রথম পর্বটি পড়েননি, তাদের জন্যই দেওয়া হলো প্রথম পর্বের লিংকঃ
চাঁদের কালো জোছনার গল্প ।। ১ম পর্ব ।।

মায়ের কথাটাই আসলে সত্যি । আসলেই রাত জেগে ঐ ফিফা গেমস খেলার নেশা হয়ে গেছে সিয়ামের । ওহ, ফিফা ছাড়া এক রাত থাকা !! ভাবাটাই কষ্ট । তবে ভয়ের ব্যাপারটাও একেবারে অমূলক না । সিয়াম যে বারান্দার কথা বলছিল, সেই বারান্দাটা এই বাড়ির তৈরি হওয়ারও আগে তৈরি । সিয়ামের দাদুভাই প্রথম এক তলা বিল্ডিং বানিয়ে তাতে টিনশেড দিয়েছিলেন । তার আবার বারান্দায় বসে চা খাওয়ার ভীষণ ব্যারাম ছিল । তাই তো, বাড়ির বারান্দাটা নিজের মত করেই বানিয়েছেন আর পরবর্তীতে সাজিয়েছিলেনও । এই বারান্দায় বসেই বিকেল থেকে সন্ধ্যা পার করে দিতেন সমির আলী, সিয়ামের দাদা । তখনও কোণার ঘরটা তৈরি করা হয়নি । এরপর সিয়াম যখন ক্লাশ এইটে পড়ে তখন দুনিয়া থেকে বিদায় নেন সমির আলী । সিয়ামের দাদী অবশ্য তারপরও দুই বছর বেঁচে ছিলেন ।
যাই হোক, সিয়ামের বাবা আয় করা শুরু করার পর, তিনি যখন বাড়ির কাজে হাত দেওয়ার মত সমর্থ হন, তখন তিনি প্রথম বারান্দা ঘেঁষে একটা ঘর তৈরি করেন । এটা সাধারণত গেস্ট রুম আকারে তৈরি করা হয়েছে । কোন আত্মীয়-স্বজন আসলে এই ঘরে থাকার ব্যবস্থা করা হয় । দুইতলা বিল্ডিং এর এক পাশ দিয়ে বারান্দা আর বারান্দা ঘেঁষে একটা মাত্র ঘর । বেশ ভালো ব্যবস্থা । সিয়ামের ফুফু দুইজন, চাচা নেই । ফুফু দুইজনও বাবার থেকে ছোট ।

সিয়াম আগে কোনদিন এই কোণার ঘরে রাতে থাকেনি । বেশ কয়েক বছর আগে সিয়ামের এক দূর সম্পর্কের দাদী এসেছিল গ্রাম থেকে, তখন সিয়ামের দাদা-দাদী দুইজনই বেঁচে ছিল । সেই দূরসম্পর্কের দাদীই এক রাতে হঠাৎ চিৎকার করে ওঠে, এই বাড়িতে নাকি ভূত আছে । গভীর রাতে বারান্দা দিয়ে কেউ হাঁটে বলে নাকি শব্দ পাওয়া যায় । সেই থেকে, বারান্দাটা একটু ভৌতিক হয়ে আছে বাড়ির সকলের জন্য । অবশ্য গেস্ট রুমে বাদবাকী আর যারা ছিল, তারা এমন কোনদিন শব্দ পায়নি, এমনকি ভৌতিক কিছুর অস্তিত্ব টেরও পায়নি ।

সিয়ামের আসলাম মামা অবশ্য ঠিক দুই ঘণ্টা পরই কলিংবেল চাপলো । সিয়াম এই দুই ঘণ্টায় ফিফার আরও কয়েকটা ম্যাচ খেলে নিয়েছে । দরজা খুলতেই আসলাম মামা হাসিমুখে ঘরে প্রবেশ করলো, হাতে দুই প্যাকেট মিষ্টি । দরজা খুললো সিয়ামের মা ই ।

- আসসালামু আলাইকুম আপা । কেমন আছেন ?
- এই তো ভালো রে । তোর শরীর কেমন ?
- অফিসের কাজে এত দৌড়াদৌড়ি !! শরীর ভালো রাখাই তো কষ্ট । তা দুলাভাইয়ের খবর কি ?
- হ্যাঁ, ভালোই । তোর দুলাভাই অবশ্য এখনও আসেনি ।
- না, আমি জানতাম এখন আসলে দুইলাভাইকে দেখতে পাবো না । সমস্যা নেই, হাতমুখ ধুয়ে খেতে বসার আগে দুলাভাই আর শালা মিলে একসাথে খেতে পারলেই হলো ।
- হুম, তা ঠিক । যা ফ্রেশ হয়ে নে । বাথরুমে আমি তোয়ালে দিয়ে রেখেছি ।

আসলাম মামা ফ্রেশ হতে চললো । আর মা রান্নাঘরে খাবার বাড়ার জন্য গেলো । মামা চলে এসেছে, তার মানে আজকে রাতের মত সিয়ামের নিজের ঘরে সিয়ামের রাজত্ব থাকলো না । কিন্তু তাই বলে কোণার ঘর !! নাহ, সিয়াম অন্যকিছু ভাবতেও পারছে না । টেবিলে খাবার বাড়তে বাড়তে সিয়ামের মা আরেকবার সিয়ামের দিকে তাকিয়ে চোখে চোখে ইশারা দিয়ে বুঝিয়ে দিলো, যা বলেছি, মনে আছে তো ? সিয়াম সেই ইশারা বুঝে খালি একবার ঢোক গিললো । অর্থাৎ, হ্যাঁ, মনে আছে । মায়ের সামনে থেকে সরে পরাটাই এখন ভালো হবে । হঠাৎ সিয়ামের লোপার কথা মাথায় আসলো । ছোটবোনটা কি করছে, সেটা দেখা দরকার ।

(বাকীটা আগামী পর্বে)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪০
১৫৭ বার পঠিত
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

১. ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন:


ফুল দেখে বুজে নিনি কি বলতে চাই

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা এখন আর মুক্তিযুদ্ধের গল্প উপন্যাস পড়তে চাইনা‼️(জোছনা ও জননী/হুমায়ুন আহমেদ)

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৪৫


মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হয়, তখন আমার বয়স তেইশ। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। কেমিস্ট্রিতে অনার্স থিয়োরি পরীক্ষা দিয়েছি, প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্যে অপেক্ষা। সুন্দর সময় কাটছে। আর মাত্র এক বৎসর—... ...বাকিটুকু পড়ুন

থানা হতে লুট হওয়া অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:১৮


দেশের রাজনীতিতে পুরাতন ও নতুন কাউয়ারা কা কা করছে। এতে জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো বারবার ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। জনগণ যে সব বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা সচতুর ভাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জ্বীন সম্পর্কে যদি আপনার ভালো জ্ঞান থাকে, আপনি বিশ্বে সবচেয়ে জ্ঞানীদের মাঝে ১ জন।

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৪:৩০


;
যেই স্পেসিসটা বাইওলোজীতে নেই, জু-লজিতে নেই, ইতিহাসে নেই, উহাকে আবিস্কার করেছে মুসলমান মোল্লারা; বাকী বেকুবরা ইহা নিয়ে ১টি শিল্প চালায়ে যাচ্ছে।

মুসলমানদের সবাই জ্বীন সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা... ...বাকিটুকু পড়ুন

সত্যের জয় চিরন্তন.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৩২

সত্যের জয় চিরন্তন.....

মানুষের বেশে ইবলিশ যখন টুপি পরা শুরু করে, ধরে নিবেন তারচেয়ে খাতারনাক আর কোন কিছু এই ধরাধামে নাই... উদাহরণ শেখ হাসিনা, শামীম ওসমান, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ... ...বাকিটুকু পড়ুন

তুমি আমার দূরে থাকা ভীষণ কাছের কেউ

লিখেছেন একাকি উনমন, ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:০৫

তুমি আমার দূরে থাকা ভীষণ কাছের কেউ,
তুমি আছো বলেই মনে খেলছে সুখের ঢেউ।
তোমার দেখা পাইনা যেন মেঘ লুকানো চাঁদ
তুমি আছো বলেই মনে ভাংছে সুখের বাঁধ।

তুমি যেন গভীর রাতের শব্দহীন এক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×