ভাইরাসটি এইচওয়ানএনওয়ান নামে পরিচিত। এটি বংশবৃদ্ধি প্রক্রিয়ার। ভাইরাসটি শূকরের জীবন্ত কোষে সুপ্ত অবস্থায় থাকে। মুখ অথবা নাক দিয়ে এটি প্রথমে মানুষের শরীরে ঢোকে। খোলা স্থানে ভাইরাসটি ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকে। ফলে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত মানুষের হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে ভাইরাসটি অন্য মানুষের দেহে খুব সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এই ভাইরাসের বংশানুগতির উপাদান মানবদেহের কোষগুলোর স্বাভাবিক আরএনএ/ডিএনএর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় এবং কোষগুলোকে শত শত ভাইরাস সৃষ্টির কাজে ব্যবহার করে। এরপর এটি কোষগুলোর দেয়ালে একটি পথ তৈরি করে এবং নতুন ভাইরাসগুলোকে সেখানে চেড়ে দেয়। এরপর নতুন ভাইরাসগুলো অন্যান্য কোষে আক্রমণ চালায়। এভাবে ভাইরাসগুলো গলা, ফুসফুস ও মাংসপেশিতে ছড়িয়ে পড়ে। দেখা দেয় সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা। এ রোগের উপসর্গ হচ্ছে, জ্বর হওয়া, মাথা ব্যথা, গলা ও শরীর ব্যথা করা, শ্বাসকষ্ট হওয়া, আলস্য বোধ করা, অসৃস্তি বোধ করা, ক্ষুধাবোধ না হওয়া, ওজন কমে যাওয়া প্রভৃতি। এই রোগে আক্রান্ত বেশির ভাগ মানুস কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়াই এক বা দুই সপ্তাহ পর ভালো হয়ে যায়। তবে যাদের হাঁপানি বা হার্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য এবং খুব বেশি বয়স্ক বা ছোট শিশুদের জন্য এই রোগ বিপজ্জনক। কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম থাকে। সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার পর যদি কারও দেহের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক রকমে বেড়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে যে তার দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটির বিরুদ্ধে কাজ শুরু করেছে।
ভাইরাসগুলো নিমূর্ল না হওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চলতেই থাকে। ভাইরাসটি ব্রংকাইটিস ও নিউমোনিয়ার মতো মারাত্মক রোগ বিস্তারেও সহায়তা করে। সূত্র, এপি ও এএফপি।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০০৯ ভোর ৬:৩৩