somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মরক্কোর নীল শহর

৩১ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দরজা-জানালা, রাস্তা, সিঁড়ি, দেয়াল-সবই যেন
নীল রঙের চাদরে মোড়া। নীলে ভরা সুন্দর এ
শহরের নাম শেফশেওয়েন। 'নীল মুক্তো' নামে
বিখ্যাত মরক্কোর উত্তরের এ শহরটির
আপাদমস্তক ঢাকা নীল রঙে। তবে শহরের
পুরনো ভাগেই নীল রঙের চল বেশি দেখা যায়।
এদিকটা পরিচিত মেদিনা নামে।
পুরো শহর নীল রঙে এমনিই রাঙানো হয়নি। এর
পেছনে রয়েছে অনেক ইতিহাস। ১৪৭১ সালে গড়ে
ওঠা শেফশেওয়েন শহরে একসময় নানান ধর্মের
মানুষ একসঙ্গে বাস করত। বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধ,
বিশেষ করে ১৯৩০-এর দশকে হিটলারের ভয়ে
ইহুদিরা পালিয়ে আশ্রয় নেয় মরক্কোর এ শহরে।
সে সময়ই ইহুদি শরণার্থীরা নিজেদের ঘরবাড়ি
থেকে শুরু করে পুরো শহর নীল রঙে ঢেকে ফেলে।
তাদের কাছে নীল রংটি ছিল আকাশ আর স্বর্গের
প্রতীক। তাই আকাশের নীলটুকু যেন মর্ত্যে
নামিয়ে আনতেই শহরজুড়ে নীলের ছড়াছড়ি।
অবশ্য শহরের সব কিছু নীল রং হওয়ার পেছনে
আরেকটি খুব মজার কারণও থাকতে পারে বলে
মনে করে অনেকে। আর তা মশার হাত থেকে
নিস্তার পাওয়ার একটা চেষ্টা। এর কারণ, মশারা
নাকি টলটলে নীল জল একটুও পছন্দ করে না।
নীল মেদিনা শহর দেখলে আর রাস্তা ধরে হাঁটলে
মানুষেরই যদি নীল সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়ার
অনুভূতি হয়, তবে মশারা ধোঁকা খেতেই পারে। শুধু
তা-ই নয়, নীল রং দেওয়ায় নাকি ঘরের ভেতরে সব
সময়ই পানির মতো এক ঠাণ্ডা আমেজ বয়ে যায়,
এমনটা দাবি করে মেদিনার লোকজন।
১৯৪৮ সালে বেশির ভাগ ইহুদি ইসরায়েল চলে
গেলেও শহরের নীল রংটি রয়েই যায়। শুধু তা-ই
নয়, প্রতিবছর বসন্তের সময় শহরের বাসিন্দারা
একবার করে পুরো শহরে নীল রঙের প্রলেপ
দেয়। স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকেও শহরের
পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখার সব রকম চেষ্টা করা
হচ্ছে।
নীলের সঙ্গে খানিকটা গোলাপি, হলুদ আর সবুজ
রঙের দেখা মিললেও নীলের রাজত্বে ওগুলো
বড্ড ফিকে। এখানকার বাসিন্দারাও যেন শহরের
রঙের সঙ্গে মিলিয়ে গায়ে নীল রঙের কাপড়
চড়িয়ে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে।
শহরের নীলে ঢাকা সরু অলিগলি ঘুরতে গেলে মনে
হয়, এ যেন এক গোলকধাঁধা। ৪০ হাজার মানুষের
বসতির শেফশেওয়েন শহরে সারা বছর ধরেই
পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়েরও বড় কারণ এই
নীল রং। অবশ্য শহরের অনাবিল সৌন্দর্য আর
এখানকার মানুষের ব্যবহার এবং খাবারেরও
রয়েছে দারুণ সুনাম।

সংকলিত
www.kalerkantho.com/print-edition/mogoj-dholai+/2015/05/31/227961
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:৫৬
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্থানীয় নির্বাচন নাকি জাতীয় নির্বাচন আগে - ব্লগারেরা কি বলেন?

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৩২

স্থানীয় নির্বাচন নাকি জাতীয় নির্বাচন আগে? এই নিয়ে এখন বিতর্ক দেখা যাচ্ছে, যেহেতু কোথায়ও নির্বাচিত কেহ নাই, ফলে এই বিতর্ক স্বাভাবিক। আমি নিজেও এই নিয়ে কিছু সময় চিন্তা করেছি, কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূরের প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে সেক্সুয়াল অভিজ্ঞতা

লিখেছেন এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো, ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৫৭



এটা রাজীব নূর নিজে কোরাতে দিয়েছে। আমার মনে হয় সামুতেও থাকতে পারে।

প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে কারো সেক্সুয়ালি অভিজ্ঞতা থাকলে শেয়ার করেন।

হ্যাঁ এই অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। টানা চার বছর আমাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ৩২ নম্বর তো ভাঙা হলো, এবার কী ভাঙবেন?

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৫



ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি, গণভবন, এবং আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট আরও কিছু ভবনকে উপাসনালয় হিসেবে উপস্থাপন করে রাজনীতি করার ফলে মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ জমা হয়েছে তারই প্রতিফলন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় ব্লগার যারা ব্লগে জ্ঞান বিতরণ করেন তাদের কে বলছি

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২৫


মানুষ সমাজবদ্ধ জীব/প্রাণী যাই বলা হোক না কেন মানষ সমাজবদ্ধ ভাবে বসবাস করবে সেটাই স্বাভাবিক এবং তার প্রতিবেশি থাকবে সেটাও স্বাভাবিক। প্রতিবেশির সংগে ঝগড়াঝাটি হবে মিলমিশ হবে, এসব নিয়েই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের ফুটনোট.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪২

ইতিহাসের ফুটনোট.....

বিদ্যুৎ বিভ্রাট তথা লোডশেডিং আমাদের দেশের একটা কমন প্রব্লেম। লোডশেডিং থেকে কিছুটা উপশম পেতেই আমরা আইপিএস, জেনারেটর ব্যবহার করি। কিন্তু জেনারেটর আবিস্কার হয়েছিল মূলত লোডশেডিং থেকে রক্ষা পেতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×