somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিরিশিরি

১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বিরিশিরি বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার সুসং দুর্গাপুর থানার ঐতিহ্যবাহী একটি গ্রাম। ইংরেজ শাসন আমলে স্থাপিত শত বছরের পুরনো বয়েজ ও গালর্স হাই স্কুল, সরকারী কালচারাল একাডেমী, সুমেশ্বরী নদী, সাগর দিঘী, দূর্গাপুর রাজবাড়ী, পুরাকীর্তি নিদর্শন মঠগড়, মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ আর দর্শনীয় স্খানগুলোর কারনে পর্যটকদের কাছে এটির যথেষ্ট সুনাম আছে। স্থানীয় অধিবাসীদের ৬০ ভাগ গারো আদিবাসী ৩০ ভাগ মুসলিম, বাকি ১০ ভাগ হিন্দু ও অন্যান্য জনগোষ্ঠি।


সীমান্তের অপরূপ মায়াঘেরা ছায়াঢাকা গ্রাম বিরিশিরি। নেত্রকোনা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। বিরিশিরিতে আছে শান্ত-স্বচ্ছ সোমেশ্বরীর সুনির্মল জল, আছে উজ্জ্বল বালুকাবেলা, সাদা কাশবন আর আছে গারো-হাজংদের বৈচিত্র্যময় জীবনধারা।

বিচিত্র সাংস্কৃতিক আবহাওয়া, কংশ-টেপা-সোমেশ্বরীর কাশবন আর দূরে আকাশে হেলান দিয়ে গম্ভীর গারো পাহাড়ের ধ্যানমগ্ন প্রতিকৃতি সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই সৌন্দর্যপিপাসুদের মন কেড়ে নেয়। বর্ষায় সোমেশ্বরীর তীরবর্তী বিরিশিরির সৌন্দর্য বেড়ে যায় আরো কয়েক গুণ।


দূরের পাহাড় থেকে নেমে আসা উত্তাল ঢলের রুদ্ধরূপ বর্ষায় বিরিশিরি ঘুরতে আসা পর্যটকদের দেখায় তার বন্য সৌন্দর্য। বিরিশিরিতে আছে পাহাড়ী কালচারাল একাডেমী। আধিবাসীদের শতকরা ৬০ ভাগই গারো, হাজং ইত্যাদি নৃগোষ্ঠীর। এখানে আছে টুঙ্কা বিপ্লবের কয়েকটি স্মৃতিস্তম্ভ। হাজং ভাষায় তেভাগা আন্দোলনের আরেক নাম টুঙ্কা বিপ্লব।

তেভাগা আন্দোলনের কিংবদন্তি কমরেড মনি সিংহের স্মৃতিভাস্কর আছে এখানে। অপেক্ষাকৃত কোলাহলমুক্ত ছোট্ট একটি বাজার। বিরিশিরিতে পা রাখতেই অন্য রকম এক অনুভূতির পরশ বুলিয়ে যায় সারা গায়। এখনে আছে পাহাড়ী কালচারাল একাডেমি। শান্ত-স্নিগ্ধ, সবুজে ঢাকা ছিমছাম পরিবেশ। পর্যটকদের চাপ বেশী থাকেনা। এখানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় সবাই পাহাড়ী-গারো, হাজং। এখানকার পাহাড়ী বা পাহাড়ীদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রস্থল এই কালচারাল একাডেমী। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় এটি পরিচালিত হয়। খ্যাতিমান কবি, লেখক রফিক আজাদ দীর্ঘদিন এর পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। পাহাড়ীদের সাংস্কৃতিক পরিচয় পাওয়া যাবে একাডেমীর জাদুঘরে। দুটি লাইব্রেরী আছে বেশ সমৃদ্ধ। পাহাড়ীদের ওপর লেখা সব বইপত্র, জার্নাল এখানে রক্ষিত। এখান থেকেও একটি সাময়িকী নিয়মিত বের হয়।


এখানেই শান্ত-স্বচ্ছ সোমেশ্বরী। ধীরে বয়ে চলা এ নদীটি অসাধারণ সুন্দর। শান্ত-নিবিড় সোমেশ্বরী ধীরলয়ে বয়ে চলছে। ওপারে উপচে পড়া সবুজের হৃদয়কাড়া হাতছানি। উত্তরের হিমেল হাওয়া এবং সোমেশ্বরীর স্বচ্ছ জলধারা নিমিষেই যেন সব ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। সোমেশ্বরীর গভীরতাও অবিশ্বাস্য রকমের কম। এই নদীতে কয়লা পাওয়া যায়। গ্রামবাসীরা পানির নিচে ডুব দিয়ে তুলে আনে কালো সোনা। এই কয়লা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয় কল-কারখানায়। রপ্তানি পণ্য হিসেবে এর সম্ভাবনা প্রবল।


ময়মনসিংহ থেকে বিরিশিরি পর্যন্ত রাস্তা মাত্র ৩৫-৩৬ কিলোমিটার। কিন্তু ভাঙা রাস্তা আর অসমাপ্ত একাধিক সেতুর কারণে এ রাস্তা পেরোতে গাড়িতেই লাগে তিন ঘণ্টা। যাদের নিজস্ব বাহন নেই তাদের ঢাকা থেকে বাসে ময়মনসিংহ, তারপর দুর্গাপুর যেতে হবে বাস বা ম্যাক্সিতে। জটিল এক যাত্রাপথ। কিন্তু সোমেশ্বরীকে দেখলেই সব কষ্ট নিমিষেই হাওয়া হয়ে যাবে।

যাদের নিজস্ব বাহন নেই তাদের ঢাকা থেকে বাসে ময়মনসিংহ, তারপর দুর্গাপুর যেতে হবে বাস বা ম্যাক্সিতে। জটিল এক যাত্রাপথ। দুর্গাপুরের হোটেল গুলশানে একটু সুস্থির হয়ে দুপুরের পর বের হওয়া। থাকার জন্য এ হোটেলের চেয়ে ঢের ভালো আদিবাসী সাংস্কৃতিক একাডেমি বা ওয়াইএমসিএর রেস্টহাউস

সূত্রঃ http://www.deshiinfo.com/বিরিশিরি/
https://www.facebook.com/BDTour.info
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:১৩
৩৭৫ বার পঠিত
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভিসা বন্ধ করায় ভারতকে ধন্যবাদ।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩



ভারত ইদানীং ভিসা দিচ্ছেনা; তারা ভিসা না দিয়ে আমাদেরকে শিক্ষা দিতে চায়! তাদের করদ রাজ্য হাতছাড় হওয়া খুবই নাখোশ, এতোই নাখোশ যে মোদী মিডিয়া দিনরাত বয়ান দিচ্ছে এই দেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতের চিকিৎসা বয়কট এবং

লিখেছেন পবন সরকার, ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৬


ভারতের এক হাসপাতাল ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশের কোন রুগিকে তারা চিকিৎসা দিবে না। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো যে হাসপাতাল থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে সেই হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার জন্য বাংলাদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। চামচা পুঁজিবাদ থেকে চোরতন্ত্রে পরিণত হয়েছিল দেশ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৩






চামচা পুঁজিবাদ থেকে দেশ চোরতন্ত্রে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা মিলে চোরতন্ত্র করেছে।

সোমবার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরত পাঠাবে তবে............

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪২


শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে বিচারের জন্য ভারতের কাছে ফেরত চাইতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশকে প্রতিহিংসামূলক বিচারপদ্ধতি বাদ দিতে হবে। বিচারে শেখ হাসিনা যাতে ন্যায় বিচার পান বাংলাদেশকে আগে তা নিশ্চয়তা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারত সোনার ডিম পাড়া হাঁস হারিয়েছে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫২



শেখ হাসিনা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র-অপপ্রচার করছেন। ভারত চাচ্ছে বাংলাদেশে একটি অশান্তি হোক। কারণ ভারত একটি মসনদ হারিয়েছে। সোনার ডিম পাড়া হাঁস হারিয়েছে।

আওয়ামী লীগ প্রতিদিন একটি সোনার ডিম পেড়ে নরেন্দ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×