একটা উন্নত শহরে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের জন্য ভিডিও স্ক্রীন থাকতেই পারে। ক্ষেত্রবিশেষে তা শহরের সৌন্দর্যবর্ধন করে থাকে।
কিন্তু এগুলো স্থাপনের ক্ষেত্রে যথেস্ট কৌশলী হয়া প্রয়োজন।
এই মোড়েই বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বারডেম হাসপাতাল, পাবলিক লাইব্রেরী রয়েছে। এইসব স্থানে উচ্চমাত্রার নিরবতা কাম্য। আর এখানেই দেয়া হচ্ছে সারাদিন এড! সারাদিন ঘ্যান ঘ্যান শব্দ। সুস্থ্য দোকানদারেরই মাথা ধরে যায় আর সাধারন রোগী এবং ছাত্রদের কি অবস্থা হয় নিরেট বুদ্ধির সরকারি আমলারা কি তা ভেবে দেখেছে?
শাহবাগ হচ্ছে ঢাকা শহরের সবচেয়ে ব্যস্ত এবং দুর্ঘটনা পুর্ণ মোড়। প্রতি বছরই এই মোড়ে সাধারন পথচারী ও ঢাবির মেধাবী ছাত্রছাত্রী প্রান হারায়।
আর এখানে ভিডিও স্ক্রীন দিলে অবশ্যই গাড়ি চালকরা ও পথচারিরা সেদিকে তাকাবে (নিদেনপক্ষে না তাকালেও মনোযোগ বিঘ্নিত হবে, যেহেতু ভিডিও স্ক্রীন দেয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো পথচারীর দৃষ্টি আকর্ষন)। আর এর ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে চালকের দোষ নাকি সরকারের দোষ?
এটা দেখে যার পর নাই বিস্মিত হলাম যে এর উদ্বোধন করেছেন নির্বাচন কমিশনার। জনগনের প্রতি কতটা উদাসীনতা থাকলে সামান্য কয়েকটি টাকার বিনিময়ে এটা করার অনুমতি দেয়া হয়?
দেশে ইমার্জেন্সী না থাকলে এর বিরুদ্ধে হয়তো আন্দোলন হতো।
বিজ্ঞাপনকারীরা চাইবেই তাদের বিজ্ঞাপন প্রচারিত হোক যেকোনো ভাবে। কিন্তু সেটা যদি সাধারন জনগনের ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায় তখন তা বন্ধ করার দায়িত্ব সরকারের। আর কিনা এখানে সরকারের আমলা নিজেই সহযোগিতা করছে উদ্বোধন করে।
অবিলম্বে এই ভিডিও স্ক্রীন তুলে নেয়ার দাবি জানাচ্ছি বড় কোন দুর্ঘটনা (নাকি পরিকল্পিত হত্যা?) ঘটার আগেই।