শিরিনের ঘড়িতে তখন রাত ১১:৩০ মিনিট বাজে । সেদিন সারাদিন অনেক পরিশ্রম গেছে শিরিনের শরীরের উপর দিয়ে তাই শরীরটা যেমন ক্লান্ত তেমন চোখে ঘুম শুধু বিছানায় টানছিল।বলা চলে বিছানায় শুয়ে পড়ছিলো শিরিন । এরই মধ্যে শিরিনে মোবাইলের রিংটনের শব্দটি বেঁজে উঠলো ফোনটি রিসিভ করে শিরিন হ্যালো বললো ও পাশ থেকেও হ্যালো কে সাহেদা শিরিন উত্তরে রং নাম্বার বলে ফোন কেটে দিলো ।
শিরিন বিছানায় শুয়ে পড়লো ।কেবলই কাঁচা ঘুম চোখে আবারো কয়েক মিনিট পরে মোবাইলের রিংটন কানে গেলো।শিরিন আবার ফোন রিসিভ করলো।হ্যালো জ্বি বলুন হ্যালো কে সাহেদ ।এবার শিরিন কিছুটা চোটে গেল।শিরিন তাকে বললো এর আগে ফোন দিলেন বললাম এখানে সাহেদ নামে কেউ থাকেনা। এবং সাহেদ নামের কাউকে আমি চিনিও না ।তার পরে আপনি আবারো ফোন দিলেন কেন আসলে আপনি চাচ্ছেন কি ? ফোনে ওপারে থাকা পুরুষ কন্ঠ থেকে মধু মাখা কন্ঠে বলা হলো আমি গত কালকেও এ নাম্বারে সাহেদের সাথে কথা বলছিলাম তাই আজ আবার ফোন দিলাম।
যাই হোক সাহেদকে যখন পাওয়া গেল না আর আপনার ফোনে কলটি ডুকে গেল তখন চলুন না আমরা দুজন দুজনার খুব ভালো কাছের বন্ধু হয়ে যাই।
বাহা আপনিতো আস্ত একটা বেহাইয়া লোক ।কি বললেন আমি বেহাইয়া ? শিরিন বললো বেহাইয়া না তো কি ? চেনা নেই পরিচয় নেই রং নাম্বারে ইচ্ছাকৃত ভাবে ফোন দিয়ে বলছেন দুজনে ভালো বন্ধু হবো। আরে মশাই আপনাদের মত এসময়ের পুরুষেরা এরকমই হয়। তাইতো লোকে বলে দুষ্ট লোকের মিষ্টি কথা।শিরিন আর বেশ কিছু চটা কথা শুনিয়ে দিল ।
প্রায় এক ঘন্টা ধরে কথা কাটা কাটি শেষে শিরিনের কাছে মোবাইল ফোনে কলকরা লোকটি তার নাম রুহুল বলে পরিচয় দিল ।
এবার শিরিন তাকে জিজ্ঞাসা করলো আচ্ছা তাহলে ফোনটি কি আপনার ইচ্ছাকৃত ভাবে দেওয়া নাকি অনইচ্ছাকৃত ভাবে দেওয়া? রুহুল বললো ইচ্ছা কৃতভাবে দেওয়া। শিরিন বললো যাক তাহলে সত্যতা মুখ থেকে বের করলেন ।রুহুল বললো না করে উপায় নেই ।শিরিন বললো কেন কেন ?রুহুল বললো যদিও আপনাকে দু নয়নে দেখি নি কিন্ত আপনার আপনার কন্ঠ শুনে বোঝা যাচ্ছে আপনি বেশ মিষ্টি সুন্দরি মায়াবিনী হবেন ।
(চলবে)