সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
শুভ আর মমতাময়ীরে ক্ষমা করি নাই
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
এমনিতে খুব ঘুরাঘুরির মইধ্যে থাকি। হঠাৎ সাদিক ফোন দিয়া কইলো লও ঘুইরা আহি। কই জিগাই না। ঘুরা মানে ঘুরা কই জিগাইয়া লাভ কি। অফিস ছুটি। ওইঠা পড়লাম ট্রেনে। ঝড়ো, সাদি আর আমি। তখনো জানতাম না আমাদের ওপর আর খানিকক্ষন পর কি গজব নাযিল হইব। এয়ারপোর্ট থেইক্যা এই গজব নাযিল হইল। প্রথম দেখাতেই শক খাই। মনে হইলো ইলেকট্রিসিটির মানুষ দেখতাসি। শুভর কথা কই। ঝড়োরে কই কানে কানে লোকটা অন্য রকম। তার খাসলত দেইখ্যা মনে হইল আমরা বুড়া মানুষ। মনে মনে কই ধূর বাচ্চা পোলাপানের লাহান করে ক্যা। এটা পরে বুঝতে পারি। শুভর আস্তানায় গিয়া। আমি খুব সহজে বিস্মিত হইনা। কারণ ভাবি যে সব অবস্থারে বিচার করতে হইব। এইখানে দেখি এসব খাটেনা। খুব দ্রুত শুভ সবাইরে অপারেশন কইরা শিশু বানাইয়া ফালায়। এর পর হাসো হাসো আর হাসো। ইশ্বর এ যুগে এই প্রাণী বাইচা আছে কেমনে। এরাতো হেই কবেই যাদুঘরে। শুভর বয়স বাড়েনা। সবসময় শিশু থাকে। সহজ মানুষের রঙ্গ তার চোখে, মনে। সহজ মানুষরে ভজতে কইছে লালনগুরু। আমি তারে চোরা চোখে দেখতে থাকি। লগে ঝড়ো। ঝড়োরে ট্রেনে কেমন নাগরিক নাগরিক লাগছিলো। কিন্তু পরক্ষনে দেখি সব লাফাত্তা। সেও শিশু হইয়া যায়। আর সাদিতো বটগাছ। আজন্ম শিশু। আমরা সবাই পোলাপান হইয়া ওঠি। শুভর কালেকশন থেকে লইয়া ডাংগুলি খেলি, চাকা চালাই, ফো ফো বাশি বাজাই। ধীরে ধীরে ঢুকতে থাকি নিজেদের শৈশবে। হাসতে হাসতে, খেলতে খেলতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। শরবত হাতে ডাক মারে মমতাময়ী।- অই পোলাপান রা আহ শরবত খাও। তাকাইয়া দেখি আরে মা ডাক দিছে। বড় বুবু ডাক দিছে। অরে তো আমি চিনি। আমার মা আর বোনের সাথে কোথায় যেন ওর মিল। এই আদর, এই ডাক তো হারায়া যাইতাসে দুনিয়াত্তুন। আমরা চারশিশু রান্নাঘরে ঢুকি। তার পর কিচেন খাইতে থাকি। আল্লাহ তুমি মানুষরে কত ধরনের খানা দিস। সবই দেখি আজ এই রান্না ঘরে। মমতাময়ী আমাদের একটার পর একটা পাতে তুলে দেয়। ঝড়ো, সাদি, আমি শুভ হাসতে থাকি হাসতে থাকি। কিন্তু আসলে ভেতরে আমার কান্না পায়। আমি জানি আজকেই আমরা আবার ঐ দুষিত নগরীতে ফিরে যাব। এই শিশুর এই মমতাময়ীর ক্ষনিকের এই শাসনের মায়া ভুলব কি করে। ভেতরের শিশুটি কাদতে থাকে নীরবে। ঘুরাঘুরির গল্পতো সাদি আর ঝড়ো বয়ান করলো। আমি অই শিশুরে অই মমতা ময়ীরে কোনোদিন ক্ষমা করমু না। এই অত্যাচার ভোলা যায়না। চুপি চুপি ভাবতে থাকি কিভাবে প্রতিশোধ নেয়া যায়।
১৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ভিসা বন্ধ করায় ভারতকে ধন্যবাদ।
ভারত ইদানীং ভিসা দিচ্ছেনা; তারা ভিসা না দিয়ে আমাদেরকে শিক্ষা দিতে চায়! তাদের করদ রাজ্য হাতছাড় হওয়া খুবই নাখোশ, এতোই নাখোশ যে মোদী মিডিয়া দিনরাত বয়ান দিচ্ছে এই দেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতের চিকিৎসা বয়কট এবং
ভারতের এক হাসপাতাল ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশের কোন রুগিকে তারা চিকিৎসা দিবে না। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো যে হাসপাতাল থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে সেই হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার জন্য বাংলাদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। চামচা পুঁজিবাদ থেকে চোরতন্ত্রে পরিণত হয়েছিল দেশ
চামচা পুঁজিবাদ থেকে দেশ চোরতন্ত্রে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা মিলে চোরতন্ত্র করেছে।
সোমবার... ...বাকিটুকু পড়ুন
শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরত পাঠাবে তবে............
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে বিচারের জন্য ভারতের কাছে ফেরত চাইতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশকে প্রতিহিংসামূলক বিচারপদ্ধতি বাদ দিতে হবে। বিচারে শেখ হাসিনা যাতে ন্যায় বিচার পান বাংলাদেশকে আগে তা নিশ্চয়তা... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারত সোনার ডিম পাড়া হাঁস হারিয়েছে
শেখ হাসিনা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র-অপপ্রচার করছেন। ভারত চাচ্ছে বাংলাদেশে একটি অশান্তি হোক। কারণ ভারত একটি মসনদ হারিয়েছে। সোনার ডিম পাড়া হাঁস হারিয়েছে।
আওয়ামী লীগ প্রতিদিন একটি সোনার ডিম পেড়ে নরেন্দ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন